মহাকর্ষ ও আইনস্টাইন এর নিজস্ব মতামত।।২২ আগস্ট ২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি মহাকর্ষ ও আইনস্টাইনের সারফেস টেনশন নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মহাকর্ষ (Gravity) এবং আইনস্টাইনের ত্বকের টান (Surface Tension) তত্ত্ব আসলে ভিন্ন ভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করে এবং এদের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে দুইটি বিষয়ই পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ধারণা।
মহাকর্ষ (Gravity):
মহাকর্ষ হলো একটি প্রাকৃতিক শক্তি যা দুটি ভরযুক্ত বস্তুকে পরস্পরের দিকে আকর্ষণ করে। এটি ব্রহ্মাণ্ডের সব বস্তুতে প্রভাব ফেলে এবং এর শক্তি ভরের উপর নির্ভর করে। ১৬৮৭ সালে স্যার আইজ্যাক নিউটন তাঁর "প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা" গ্রন্থে মহাকর্ষের সার্বজনীন সূত্র প্রকাশ করেন। নিউটন অনুসারে, মহাকর্ষের শক্তি দুটি বস্তুর ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং তাদের মধ্যে দূরত্বের বর্গফলের ব্যস্তানুপাতিক।
আলবার্ট আইনস্টাইন মহাকর্ষকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব (General Theory of Relativity) অনুসারে, মহাকর্ষ আসলে সময় এবং স্থান (space-time) এর একটি বক্রতা বা বাঁকানো অবস্থা। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, একটি বিশাল ভরযুক্ত বস্তু, যেমন একটি গ্রহ বা নক্ষত্র, তার চারপাশের স্থান ও সময়কে বিকৃত করে এবং এই বিকৃতি বা বাঁকনের কারণে অন্য বস্তুরা তার দিকে আকৃষ্ট হয়। এই তত্ত্বটি নিউটনের চেয়ে আরও সঠিকভাবে মহাকর্ষীয় ঘটনা, যেমন বৃহৎ আকারের মহাজাগতিক ঘটনা, ব্যাখ্যা করতে সক্ষম।
ত্বকের টান (Surface Tension):
ত্বকের টান হলো একটি পদার্থের পৃষ্ঠে কাজ করা বাহ্যিক বল যা পৃষ্ঠের অণুগুলিকে একত্রে রাখে এবং সেই পৃষ্ঠকে সংকুচিত রাখে। এটি সাধারণত তরল পদার্থের ক্ষেত্রে ঘটে এবং এই বাহ্যিক বলের কারণে তরলের পৃষ্ঠে এক ধরণের পাতলা ত্বক তৈরি হয়। এই ত্বকের টানের কারণে পৃষ্ঠে পানি বা অন্য কোনো তরল অল্প পরিমাণে ঘন হয়ে থাকে এবং বুদবুদের আকার ধারণ করে।
তবে আইনস্টাইন ত্বকের টান সম্পর্কে সরাসরি কোনও তত্ত্ব প্রদান করেননি। আইনস্টাইন মূলত আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মাধ্যমে মহাকর্ষ, স্থান ও সময়ের সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি কোয়ান্টাম তত্ত্বেও কিছু অবদান রেখেছেন, তবে ত্বকের টান একটি ভিন্নধর্মী প্রক্রিয়া যা মূলত তরলের আচরণ ও বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্পর্কিত।
সংক্ষেপে:
- মহাকর্ষ: এটি একটি প্রাকৃতিক শক্তি যা ভরযুক্ত বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ তৈরি করে এবং এটি সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের মাধ্যমে স্থান-সময়ের বক্রতার কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।
- ত্বকের টান: এটি তরলের পৃষ্ঠে কাজ করা বাহ্যিক বল যা অণুগুলিকে একত্রে ধরে রাখে এবং তরলের পৃষ্ঠকে সংকুচিত রাখে।
এই দুই ধারণা পদার্থবিজ্ঞানের আলাদা আলাদা শাখায় পড়ে এবং তাদের মধ্যে সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বরাবরের মতো আজকেও বেশ তথ্যবহুল একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। মহাকর্ষ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা ছিলো,তবে এই পোস্টটি পড়ে আরও কিছু ধারণা পেলাম। মহাকর্ষ সম্পর্কে আইনস্টাইন এর মতামত জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এমন তথ্যমূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মহাকর্ষ সম্পর্কে মোটামুটি একটু ধারণা আছে, তবে ত্বকের টান সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না দাদা। তোমার পোস্ট পড়ে মোটামুটি কিছুটা ধারণা পেলাম। বরাবরের মতো আজকেও তুমি দাদা একটা শিক্ষামূলক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছো। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা তোমাকে, এত সুন্দর একটা লেখা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
তথ্য বহুল লেখা, যতই পড়ছি ততই যেন শিখছি। ধন্যবাদ ভাই, পোস্টটা শেয়ার করার জন্য।