বাইকের জল জ্বালানি।।২১ অক্টোবর ২০২৫
হ্যালো বন্ধুরা,
জলকে বাইকের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার ধারণাটি বহু বছর ধরেই বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। কারণ, জল পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রচুর এবং সহজলভ্য পদার্থগুলির মধ্যে একটি।তবে বৈজ্ঞানিকভাবে জলকে সরাসরি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব নয়,কারণ জল নিজেই একটি স্থিতিশীল যৌগ—এটি হাইড্রোজেন (H₂) ও অক্সিজেন (O₂) মিলিয়ে তৈরি।এই দুটি উপাদান একত্রে জ্বলে শক্তি উৎপন্ন করে এবং ফলে জল তৈরি হয়।অর্থাৎ, জলে ইতিমধ্যেই জ্বালানোর পরের “ফলাফল” অবস্থায় শক্তি বিদ্যমান নেই; বরং সেই শক্তি মুক্ত করার জন্য উল্টো প্রক্রিয়ায়, অর্থাৎ জলকে ভাঙতে আবার শক্তি দিতে হয়।
এই শক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকে বলে ইলেক্ট্রোলাইসিস (Electrolysis)।এখানে বৈদ্যুতিক প্রবাহের মাধ্যমে জলকে ভেঙে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাস আলাদা করা হয়।হাইড্রোজেন গ্যাস পরে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়, কারণ এটি খুবই শক্তিশালী এবং দহনশীল।একে অনেক সময় “হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল প্রযুক্তি”-তে ব্যবহৃত করা হয়, যেখানে হাইড্রোজেন বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে এবং এর উপজাত হয় কেবল জল।ফলে এটি পরিবেশবান্ধব এক জ্বালানি বিকল্প।তবে এই প্রযুক্তি এখনো ব্যয়বহুল, কারণ ইলেক্ট্রোলাইসিসে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ লাগে আর সেই বিদ্যুৎও অনেক ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে আসে।
কিছু পরীক্ষামূলক প্রযুক্তি আছে যেখানে “Water-fuel hybrid engine” ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে।এসব ইঞ্জিনে জলকে সরাসরি নয় বরং হাইড্রোজেন বের করে সেটিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, বাইক বা গাড়ি চালাতে জল নয়, জলের ভেতরের হাইড্রোজেনই আসল জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।কিছু উদ্ভাবক দাবি করেছেন যে তারা ইঞ্জিনে বিশেষ “হাইড্রোজেন জেনারেটর” ব্যবহার করে ইলেক্ট্রোলাইসিসের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে হাইড্রোজেন তৈরি করে তা ব্যবহার করতে পেরেছেন।তবে এসব দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বা ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়নি, কারণ বাস্তবে এটি শক্তি-দক্ষ নয় — আপনি যত বিদ্যুৎ দেবেন, তার চেয়ে কম শক্তি ফেরত পাবেন।
সুতরাং, বর্তমান বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, জলকে সরাসরি বাইকের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব নয়।তবে ভবিষ্যতে যদি বিদ্যুৎ উৎপাদনের আরও টেকসই, সস্তা ও সবুজ পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়,তাহলে জল থেকে হাইড্রোজেন আহরণ করে সেটিকে ইঞ্জিনে ব্যবহার করা বাস্তবসম্মত হতে পারে।অর্থাৎ, জল হবে পরোক্ষ জ্বালানি উৎস, সরাসরি নয়।
এই প্রযুক্তি যদি একদিন সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি পৃথিবীর জ্বালানি সংকট সমাধানে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে — কারণ তখন সমুদ্র, নদী, এমনকি বৃষ্টির জলও হবে সম্ভাব্য শক্তির উৎস।কিন্তু আপাতত এটি এখনও গবেষণা ও পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
এই গবেষণা সফল হলে দারুণ একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।জ্বালানি সংকট থেকে রক্ষা পেতে এটি খুবই কার্যকর হবে।অনেক অজানা কিছু জেনে ভালো লাগছে,ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর তথ্যবহুল পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।