ধন-সম্পদ বা ধনী বা দেখতে সুখী মনে হলেই সবসময় তা হয় না।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে ধন-সম্পদ বা ধনী বা দেখতে সুখী মনে হলেই যে সুখী হওয়া যায় না,সেই বিষয়টি সংক্ষিপ্ত পরিসরে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
source
আসলে সুখ হচ্ছে আপেক্ষিক বিষয়। যা ধরা বা ছোঁয়া যায় না। শুধু অনুভবের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। সুখী হতে কে না চায়।সুখী সবাই হতে চায়।কিন্তু সবাই কি সুখী হতে পারে।কেউ বিশাল সম্পদের মধ্যে থেকেও সুখ খুঁজে পায় না। আবার কেউ দুমুঠো খেয়েও সুখের মাঝে বসবাস করছে।
প্রিন্সেস ডায়নার একটা উক্তি ছিল -
আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবেসে ছিল। খুবই অদ্ভুত একটা দর্শন,যা বলেছে, যেটা আমরা বুঝি সেটা ওই মানুষটার সুখের কারণ না,বরং যেটা আমরা বুঝি না কেবল ওই মানুষটা নিজেই বুঝতে পারে, সেটা হয়তো তার সুখের কারণ হতে পারতো। কিন্তুু সুখ কি আর এত সহজেই ধরা দেয়?
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মরীচিকা কবিতার মতো
যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই,যাহা পাই তাহা চাই না।
১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই প্রিন্স চার্লস ও ডায়নার রাজকীয় বিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় দেখে পৃথিবীর মানুষ ভেবেছিল,আহা,ওরা কত সুখী, ওরা কত ভাগ্যবান,ওদের মতো যদি আমাদের জীবনটাও হতো?কিন্তু চার্লস ডায়নার কলহ, বিবাহ বিচ্ছেদ,ডায়নার বিয়োগান্ত মৃত্যু, আমাদের বুঝিয়ে দেয়,আমরা সুখকে যেভাবে বিচার বিবেচনা করি,সুখকে সেভাবে বিচার করা যায় না। সময় যেটা দেখায় সেটা আংশিক দেখায়,সময়ের শেষটা আরেকটু দেখায়,পুরোটা হয়তো কখনো মানুষকে দেখায় না,বুঝতে দেয় না।
ফোর্বস সম্প্রতি বিশ্বের যে দশজন ধনী ব্যাক্তির নাম প্রকাশ করেছে,এরা হচ্ছেন১,ইলন মাস্ক ২,বার্নার্ড আর্নল্ট ৩,জেফ বেজোস ৪,ল্যারি এলিসন ৫,ওয়ারেন বাফেট ৬,বিল গেটস ৭,মার্ক জাকারবার্গ ৮,ল্যারি পেজ ৯,স্টিভ বলমার এবং ১০,সেগেই ব্রিন এদের নাম আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন।আমাদের মতো সাধারণ মানুষ হয়তো মনে করছি,ওদের মতো এত সুখী পৃথিবীতে আর কেউ নেই।
এই ধনীদের তালিকাটি করা হয়েছে তাদের টাকার অঙ্কের উপর ভিত্তি করে, তারা কতটা সুখী সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।ধন-সম্পদ থাকলেই সুখী হওয়া যায় না,অভাব থেকেই সুখের জন্ম হয়। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো ধনীদের তালিকা করা গেলেও সুখী মানুষের তালিকা করা যায় না।কারণ সুখ ধন-সম্পদের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান।
সুখী মানুষ নিজেকে লুকাতে পারে,নিজের মতো করে নীরবে-নীভৃতে জীবনকে উপভোগ করতে পারে, ধনী মানুষ নিজেকে লুকাতে পারে না,যতই তারা ধনী হয় ততই তাদের মধ্যে ধনী হওয়ার লোভ বাড়তে থাকে।বাণিজ্যিক পৃথিবীর জৌলুশের নিচে চাপা পরতে পরতে একদিন তাদের ভিতরের মানুষটাই হারিয়ে যায়।
কিন্তু সময় থাকতে সেটা আমরা কজনইবা ভেবে দেখি।ধনী হওয়ার লোভে সুখী হওয়ার মতো অমূল্য সম্পদকে আমরা হারাই।যেদিন মানুষ বিছানায় পড়ে একা হয়ে যায়, সেদিন হয়তো বুঝতে পারে,মরীচিকার পিছনে ছুটতে ছুটতে জীবনের অমূল্য সম্পদগুলোকেই খুইয়ে ফেলেছে। অথচ তখন আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই থাকে না,সময় মানুষকে চেনে না,সময় মানুষকে তার কৃতকর্মকে চেনায়।
আর সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও হয়তোবা আপনাদের মাঝে বিষয়টি কিছুটা হলে ও বুঝাতে পেরেছি।যাইহোক আজ এই পর্যন্তই। অন্যদিন অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।আর বিষয়টি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে তবে আপনার মতামত দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করবেন এবং লেখার মাঝে কোন ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR




আসলে আমি একটি বিষয় খুব ভালোভাবে জানি। দুনিয়ার বুকে কোন মানুষ সুখী নয়। টাকা-পয়সা থাক বা ধন দৌলত থাকুক না কেন প্রত্যেকটা মানুষ কোন না কোন দিক থেকে অসুখী। যার টাকা-পয়সা রয়েছে দেখা যায় মনে শান্তি নেই বা বিভিন্ন রোগে অস্বস্তির মধ্যে থাকে। ঠিক এভাবেই প্রত্যেকটা মানুষ কোনো রকম ভাবে অসুখী।
ঠিকই ভাই,প্রতিটি মানুষ কোন না কোন ভাবে অসুখী। অনেকেরটা বোঝা যায়।আবার অনেকেরটা বোঝা যায় না। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এখন শুধু চারদিকে মানুষগুলো ভালো থাকার অভিনয় করছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কিন্তু কেউ সুখী নয়। সবাই শুধু সুখের অভিনয় করে যাচ্ছে। কেউই মুখ ফুটে তার দুঃখের কথাগুলো বলতে পারছে না। আপনি বিষয়টি নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনি বাস্তব কথা বলেছেন, আসলে ধন-সম্পদ থাকলে যেই সুখী হয়ে থাকে তা কিন্তু নয়। আসলে ধন সম্পদ টাকা পয়সার মাঝে প্রকৃত সুখ নির্ভর করে না। সুখ নির্ভর করে হৃদয়ের আত্মতৃপ্তির উপর। বাস্তবে সবাই সুখে থাকার অভিনয় করে কিন্তু কেউ সম্পূর্ণভাবে সুখী নয়। বেশ সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন। এত চমৎকার বিষয় আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
হা ভাই ধনসম্পদের মধ্যে সুখ নেই। সুখ তো মনের বিষয়।সবচেয়ে বড় বিষয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।তবে চাহিদার তো আর আমাদের সীমাবদ্ধতা নেই। একটাই বড় সমস্যা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সুখ সে তো সোনার হরিণ। আসলে কি সবাই সুখি।মনে হয় না কেউ তার নিজ নিজ অবস্থানে সুখি।উপর থেকে সুখি সুখি লাগলেই যে সে সুখি তা কখনোই নয়।খুব সুন্দর ডায়নার উদাহরণ দিয়েছেন আপনি।সুখি কেউ নয় কোন না কোন ভাবে অপূর্ণতা এসে সুখকে কেড়ে নিয়ে যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
সুখ সোনার হরিণ বলেই তো সবার কাছে দেখা না।কেউ কিছুটা সুখ পায়, কেউ বা সুখী থাকার ভান করে।আসলে আমরা যাই করি সবকিছুর মূলই কিন্তু সুখী হওয়ার জন্য। কিন্তু সুখী হবার জন্য যা প্রয়োজন হয়তোবা আমরা তা করতে ব্যর্থ হই।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সবাই সুখী হতে চাই কিন্তু সুখ কয়জনের কপালে থাকে। তবে এটিই ঠিক সুখ ধরা যায় না অনুভব করা যায়। অনেক টাকা পয়সাওয়ালা লোকো সুখে নেই আবার যারা দু-মুঠো ভাত খেয়ে ও অনেক সুখে আছে। এটি ঠিক প্রিন্স চার্লস ও ডায়নার রাজকীয় বিয়ে দেখে অনেকে ওই সময় অনেক ধরনের মন্তব্য করেছে। অথচ তাদের দাম্পত্য জীবন এমন ভাবে ভেঙে গেছে কল্পনার বাইরে। আপনি খুব মূল্যবান একটি পোস্ট করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন সম্পদ মানুষকে সুখ দেয় না। অনেকে কুঁড়েঘর থেকেও দিনে এনে দিনে খেয়ে তারা অনেক সুখে থাকে। তবে অনেকে টাকা পয়সার পিছনে ছুটতে ছুটে অনেক কিছু করতে পারে কিন্তু সুখ পায় না। তবে এটি ঠিক সুখ চোখে দেখা যায় না অনুভব করতে হয়। অনেক বড় বড় ব্যক্তি গুলো বিয়ের সময় অনেক বড় করে অনুষ্ঠান করে এবং অনেকে মনে করে তারা অনেক সুখী। তাদের জীবনে এমন অশান্তি দেখা যায় তাদের সংসার পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায় যেমন আপনার উদাহরণটি। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি মূল্যবান পোস্ট করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টে লেখা মূল্যবান কথাগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে সময় প্রত্যেক মানুষের কৃতকর্ম চেনায়। তাই আমাদের সকলের উচিত সবসময় সঠিকভাবে এবং সঠিক পথে থেকে কাজ করে যাওয়া। অত্যন্ত শিক্ষামূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।