অসুখ যখন পিছু টা হাঁটে।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
১৮ এ অক্টোবর ২০২৫
|
|---|
বেশকিছুদিন যাবত বেশ অসুস্থ থাকার কারনে কোন রকম পোস্ট করতে পারিনি। ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া কোনটাই ছাড় দেয়নি এইবারের সিজনে।বেশকিছুদিন চিকুনগুনিয়া হওয়ার পর ব্যথা ব্যথা করতে করতে এখন আবার ডেঙ্গু পজেটিভ হয়েছে।এতদিন বেশ জ্বর ছিলো এখন কিছুটা কম। তবে ব্যথা টা এখনও কমেনি।আমার মনে হয় দুই অসুখ মিলিয়ে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ টা প্যারাসিটামল খেয়েছি।
ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। এটি এডিস মশা (Aedes aegypti) দ্বারা ছড়ায়, যা সাধারণত দিনে কামড়ায়। ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করলে জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে ব্যথা, বমি, ও চামড়ায় ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় রক্তপাতও হতে পারে, যা ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর নামে পরিচিত এবং এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
ডেঙ্গুর সবচেয়ে বড় কারণ হলো মশার বংশবৃদ্ধি। পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে, তাই বাড়ির আশপাশে ফুলের টব, ড্রাম, বালতি বা অন্যান্য পাত্রে জমে থাকা পানি নিয়মিত ফেলে দেওয়া জরুরি। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা, মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো এবং ফুলহাতা জামা পরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়ক।
ডেঙ্গু হলে রোগীকে প্রচুর পানি ও তরল খাবার খাওয়াতে হয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। এ রোগ প্রতিরোধে সবার সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ঘর ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা এবং মশা জন্মানোর স্থান ধ্বংস করাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ রোগ হলেও সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে এ রোগ থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
আসলে আমার বাসাটা নিচতলা হওয়াতে বাসাটা একটু অন্ধকার, যার জন্য একটু মশা আর পোকামাকড় একটু বেশিই।
ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ, যা মূলত এডিস এজিপ্টাই (Aedes aegypti) নামের একটি বিশেষ প্রজাতির মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায় এবং পরিষ্কার স্থির পানিতে বংশবিস্তার করে। ডেঙ্গু ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করলে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে ব্যথা, বমি, দুর্বলতা, এবং ত্বকে ফুসকুড়ির মতো লক্ষণ দেখা দেয়। অনেক সময় রক্তপাত বা রক্ত কমে যাওয়া দেখা দেয়, যাকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর বলা হয়। এই অবস্থায় রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরি।
ডেঙ্গুর সবচেয়ে বড় কারণ হলো আমাদের অসচেতনতা ও পরিবেশে জমে থাকা পানি। ফুলের টব, ড্রাম, বালতি, ডাবের খোসা, পুরনো টায়ার বা বোতলে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। তাই এই পানি নিয়মিত ফেলে দেওয়া বা ঢেকে রাখা খুবই জরুরি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো পরিবেশ পরিষ্কার রাখা, মশার বংশবিস্তার রোধ করা এবং নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মশারি ব্যবহার করা, মশা প্রতিরোধক লোশন ব্যবহার, ফুলহাতা জামা পরা এবং বাড়ির আশপাশে পানি জমে না থাকতে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি কারও ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দেয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খাওয়া, বিশ্রাম নেওয়া এবং চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চললে বেশিরভাগ ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ। শুধু সরকারের উদ্যোগ নয়, জনগণের সম্মিলিত সচেতনতাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি। আমরা যদি সবাই মিলে ঘর-বাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখি এবং মশা জন্মানোর স্থান ধ্বংস করি, তবে ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ রোগ থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

