||ভৌতিক গল্প:-আয়নার অপর দিক||

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"গল্প:-আয়নার অপর দিক" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

Source

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে গল্প:-আয়নার অপর দিক আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু পোস্ট শেয়ার করার। আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে।তো আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি করে গল্প পোস্ট শেয়ার করার।আসলে এমন অনেক গল্প রয়েছে যে গল্প গুলো পড়তে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে।বিশেষ করে রোমান্টিক এবং ভৌতিক গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।তো ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে একটি ভৌতিক গল্প শেয়ার করি।আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

রাতটা ছিল অদ্ভুত নিরব। বিদ্যুৎ নেই, শুধু মোমবাতির আলোয় ঘরটা ভেসে আছে এক অজানা ভয় আর রহস্যে। নিশাত নিজের ঘরে একা বসে পড়ছিল। হঠাৎ দরজায় টোকা পড়ল একটা, তারপর দুইটা, তারপর থেমে গেলো।সে চমকে উঠল। এত রাতে কে আসতে পারে? দরজা খুলে দেখে কেউ নেই। শুধু করিডরের শেষে একটা পুরনো আয়না পড়ে আছে, যেটা সে কখনো দেখেনি। কৌতূহলবশত আয়নাটা তুলে ঘরে এনে রাখল।মোমবাতির আলোয় নিজের প্রতিবিম্বটা অদ্ভুত লাগছিল। মনে হচ্ছিল, ওটা নিশাত নয়,আর কেউ। কিন্তু সে ভাবল, হয়তো ক্লান্ত চোখের ভুল। একটু পর ঘুমিয়ে পড়ল।

রাত দুইটা বাজে। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল তার। ঘর ঠান্ডা, জানালা বন্ধ। কিন্তু মোমবাতি জ্বলছে। আয়নার দিকে তাকাতেই রক্ত হিম হয়ে গেল,ওর প্রতিবিম্বটা হাসছে, অথচ নিশাতের ঠোঁট একদম স্থির।সে চোখ কচলাল, ভাবল হয়তো ভুল দেখছে। কিন্তু না, আয়নার ভেতরে নিশাত, ধীরে ধীরে হাত তুলল, আর আঙুল দিয়ে আয়নার ভেতর কিছু লিখল,আমাকে মুক্তি দাও।নিশাত পেছনে সরে গেল, গায়ে কাঁটা দিল। ভয় পেয়ে আয়নাটা কাপড়ে ঢেকে দিল। তবু সারারাত ঘুম আসেনি।

পরদিন সকালে সে আয়নাটা ফেলে দিতে চাইল। কিন্তু দরজার কাছে গিয়ে দেখে,আয়নাটা আবার টেবিলে ফিরে এসেছে! এখন এর ভেতরে কিছু ছায়া ঘুরছে, যেন কারো মুখ ফুটে উঠছে ধীরে ধীরে।দুপুরের দিকে সে পাশের বাড়ির দাদিকে জিজ্ঞেস করল,এই আয়নাটা কার?বুড়ি থমকে দাঁড়াল। তারপর ধীরে বলল,ওটা এই বাড়ির পুরনো মালিকের মেয়ের। বছর দশেক আগে ও আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে ভয় পেয়ে পাগল হয়ে গিয়েছিল। শেষমেশ সেই আয়নার সামনেই আত্মহত্যা করেছিল মেয়েটা। এরপর থেকে কেউ আয়নাটা রাখতে চায় না।

নিশাতের বুক ধকধক করতে লাগল। রাতে সে ভাবল আয়নাটা ভেঙে ফেলবে। কিন্তু রাত নামতেই ঘর জুড়ে ফিসফিস শব্দ,ভেঙো না,আমি এখনো বেঁচে আছি।মোমবাতির আলো নিভে গেলো। ঘর অন্ধকার। তখন আয়নার ভেতর থেকে আলো বের হতে লাগল। আর দেখা গেল মেয়েটার মুখ,চোখ লাল, মুখে রক্তের দাগ। সে হাসছে। নিশাত ভয়ে চিৎকার করল, কিন্তু কোনো শব্দ বের হল না।আয়নার ভেতর থেকে মেয়েটা বলল,তুমি আমার জায়গায় এসো, আমি বাইরে যাবো।

তারপর আয়নার ভেতর থেকে একটা হাত বেরিয়ে এলো,ঠান্ডা, সাদা আর হিমশীতল। সেই হাত নিশাতের গলা চেপে ধরল। সে লড়তে লাগল, কিন্তু কিছুই করতে পারল না।হঠাৎ সব অন্ধকার। পরের দিন প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঢুকে দেখে,ঘরে কেউ নেই। শুধু মেঝেতে পড়ে আছে একটা পুরনো আয়না, যার ভেতরে এখন দুটি মেয়ের প্রতিচ্ছবি,একটা হাসছে, আরেকটা কাঁদছে।কেউ আর সেই আয়নাটা ছোঁয়নি।শুনা যায়, রাতে কেউ যদি আয়নার সামনে দাঁড়ায়,তখন দ্বিতীয় প্রতিবিম্বটা ধীরে ধীরে নড়ে উঠে আর একসময় সেই মানুষটাকে টেনে নেয় ভেতরে,কেউ জানে না ওই আয়নার ভেতরে ঠিক কতজন বন্দি হয়ে আছে।যাইহোক গল্প টি এই পর্যন্তই।তো আপনাদের কাছে গল্প টি কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

---

ছবি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ

ডিভাইস	Tecno camon 20
ফটোগ্রাফার	@polash123
লোকেশন	দিনাজপুর

---

🌸আমার পরিচয়🌸

আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।

You can also vote for @bangla.witness witnesses

Vote for @bangla.witness