গল্প-একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ১৯)||
আসসালামু আলাইকুম
আমি একজন বাংলাদেশী। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47 আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি ক্রাফট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।গল্প লিখতে বা পড়তে ভীষণ লাগে আমার।কিন্তু সময়ের অভাবে হয়তো সেটা হয়ে উঠে না।আজ আমি একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প (পর্ব ১৯) লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ১৯):

Source
হঠাৎ করে একদিন ছাবিনার বাসা থেকে ফোন আসে। ফোনটি করেছিল সাবিনার বড় ভাই। ফোন করে সে ভীষণ কান্না করে। কোন কথা সে বলতে পারছিল না। এরপর ছাবিনা ভাইয়ের কান্না শুনে সেও কান্না শুরু করে দেয়। বারবার জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে ভাইয়া।কেন কিছু বলছো না এভাবে কেন কান্না করছো।
ওর ভাই আরো জোরে কান্না করে। আর বলে বোন তুই তাড়াতাড়ি বাড়ি আয়।মা খুব অসুস্থ তোকে খুবই দেখতে চাচ্ছে। এরপর ছাবিনা অয়নকে বলে। আর আয়ন ছাবিনাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে তার বাবা বাড়ির উদ্দেশ্যে। ছাবিনা বাড়ি গিয়ে দেখে তার মা ভীষণ অসুস্থ।একদম বিছানায় পড়েছে।
টেনশনে তিনি এমন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন। তবে এইবার একটু বেশি অসুস্থ তিনি।ঠিক মতো কথা পর্যন্ত বলতে পারছেন না।শুধু কান্না করে যাচ্ছেন।এরপর ছাবিনা তার বাবা ও ভাইদের জিজ্ঞাসা করে কিভাবে এমন অসুস্থ হলো। তখন তার বাবা বলে হঠাৎ করে এমন হয়েছে মা কাল রাত পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল।
আসলে তোর মা তোকে নিয়ে একটু বেশি চিন্তা করে। ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করে না ।এই জন্য আরো শরীরটা বেশি অসুস্থ হয়েছে। এরপর ছাবিনারা সকলে মিলে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার মায়ের পেসার কিছুটা বেড়েছিল।মানসিক চিন্তার কারণে এমন চাপ পড়েছে।তার ছোট মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়া সব কিছু হঠাৎ করে হয়েছিল। আর ছোট্ট মেয়েকে পরের বাড়ি পাঠিয়ে মা খুবই চিন্তিত ছিলেন। তার মধ্যে রয়েছে তাদের অভাবে সংসার যার চিন্তার শেষ নেই। এদিকে বাবার অসুস্থতা তো রয়েছে। যদিও তিনি আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ আছেন।
এসব কিছু মিলিয়ে ওদের ওর মায়ের এই অবস্থা হয়েছিল। প্রায় দুই তিন দিন থাকতে হয়েছিল হাসপাতালে।এরপর বাড়ি ফিরে আস্তে আস্তে ছাবিনা মা সুস্থ হয়ে হয়ে যান। যেই কয়দিন তার মা অসুস্থ ছিল ছাবিনা পাশে থেকে সেবা করেছিল। সেই সাথে পড়াশোনাও করেছিল। অয়ন তার বই পত্র সকল কিছু সেখানে গিয়ে দিয়ে এসেছিল। কারণ তার অফিসের কাজ রয়েছে তাই সে বেশি থাকতে পারেনি। এভাবেই কেটে যায় ছাবিনার দিনগুলো। এরপর ছাবিনার পরীক্ষার সময় চলে আসে আর কেমন পরীক্ষা দেয় সেটি জানতে হলে অবশ্যই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আজ এই পর্যন্ত।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47। আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও ছবি তুলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কোন ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলেই আমি সেটির ছবি তুলে রাখি। নিত্য নতুন জিনিস বানাতেও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
ডেইলি টাস্ক:

https://x.com/Maria182143171/status/1962160972258513005?t=ejkMa42aPhKr5cv2TkLK7Q&s=19
https://x.com/Maria182143171/status/1962161361355710874?t=WvCNIIqhbCe5qUjMPt7q3A&s=19
https://x.com/Maria182143171/status/1962168100964663733?t=jGcLlUKQn7vOVd3Kb-JdoQ&s=19