গল্প-একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ২৬)||
আসসালামু আলাইকুম
আমি একজন বাংলাদেশী। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47 আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি ক্রাফট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।গল্প লিখতে বা পড়তে ভীষণ লাগে আমার।আজ আমি একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প (পর্ব ২৬) লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ২৬):

Source
দরজা খুলতেই দেখা যায় দরজার ওপারে ছাবিনার বাবা-মা ও ভাই ভাবীরা দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারা তাদের একমাত্র বোন ও বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ের এমন সাফল্যের জন্য খুবই আনন্দিত।ছাবিনাকে তারা শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে।তাদের চোখে মুখে যেন হাসির ছোঁয়া।কি যে আনন্দ মাখা মুখ ছিল তাদের।
এরপর সকলের রুমের ভিতরে আসে এবং ছাবিনার কাছে চলে যায়।ছাবিনা তো তাদের দেখে খুবই খুশি।সে খুশিতে তাদের জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।এরপর বাবা মাকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে।জীবনের এক ধাপ এগিয়ে গেল ছাবিনা।এরপর তাকে দেখিয়ে দিতে হবে সে বড় কিছু করতে পারে।
বাবা মায়ের কষ্ট গুলো যে তাকেই দূর করতে হবে। মুখে হাসি ফুটিয়ে তাদেরকে সুস্থ সবল ভালো রাখার দায়িত্ব যে তারও রয়েছে।শুধু ছেলেরাই যে দায়িত্ব পালন করবে ঠিক তা নয়।আর এমন অভাব অনটনের সংসারে তাকেও যে এবার সুখের ঘর বাঁধতে হবে।বাবা মায়ের হাসি মুখটা যেন অতি প্রিয়।সে সব সময় এমন মুখ দেখতে চায়।
তাদের মুখের হাসি ছাবিনার বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ। পৃথিবীর সকল সুখ একত্র করলেও তাদের মুখের হাসির দেখার মত সুখ আর কোনদিন সে পাবে না। যখন তারা মলির মুখে ছিল তখন ছাবিনার সব থেকে বেশি কষ্ট হতো।শরীরের কষ্ট মনের কষ্ট তাকে দুর্বল করত না। কিন্তু বাবা-মায়ের মলিন মুখগুলো তাকে কুড়ে কুড়ে শেষ করে দিত।
ছাবিনা বাবা-মাকে দেখে এতটাই খুশি ছিল তার মুখ থেকে কোন কথায় বের হচ্ছিল না। সে শুধু মুগ্ধ হয়ে বাবা মার মুখের হাসি গুলো দেখছিল।এরপর তার বাবা ও মা তাকে মাথায় হাত দিয়ে অনেক দোয়া করে। আর বলে মা তোর স্বপ্নগুলো তুই নিজের মতো করে পূরণ কর। আমরা জানি তুই একদিন ঠিক পারবি ভালো কিছু করতে। তার ভাইয়েরাও যেন বুঝতে পেরেছে তাদের বোন সত্যিই অনেক কিছু করে দেখাতে পারে।তারাও খুশি বোনের এমন সাফল্যে। পরিবারের সকলে মিলে এক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করে পুরোটা সময়।বেশ হইহুল্লোড় খাওয়া-দাওয়া আনন্দ হয়েছিল সেদিন। সেদিন ছাবিনার পরিবারের সকলেই ছিল অয়নদের বাসায়।এরপর সকালে সবাই চলে যায়।শুরু হয়ে যায় ছাবিনার নতুন জীবনের লড়াই।ছাবিনার নতুন জীবনের লড়াই কেমন হতে যাচ্ছে সেটা জানতে হলে অবশ্যই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আজ এই পর্যন্ত।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47। আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও ছবি তুলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কোন ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলেই আমি সেটির ছবি তুলে রাখি। নিত্য নতুন জিনিস বানাতেও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।

ডেইলি টাস্ক:

https://x.com/Maria182143171/status/1982103046822993922?t=m64jzM4tCH6oVsq2lBrbSA&s=19
https://x.com/Maria182143171/status/1982104580570984779?t=AnUE2jfOWHFIhwiqGLCmvw&s=19