গল্প :- মা-বাবার চোখের মধ্যে পার্থক্য আছে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি জীবন গল্প শেয়ার করব। কারণ মা বাবার মধ্যে অনেক ধরনের পার্থক্য আছে। অনেকে বলে মা বাবার চোখ যদি সমান না হয় তাহলে সন্তানদের জন্য কষ্ট আছে। কারণ মা-বাবা যদি সমান চোখে ছেলেদেরকে এবং মেয়েদেরকে না দেখে তাহলে কারো কারো জন্য বিপদ হয়। আমাদের এলাকায় এরকম একটি ঘটনা আছে। আর এই ঘটনাটি কয়েক বছর আগে ঘটেছিল। কিছুদিন আগে আমি আমার জ্যাঠাতো ভাইয়ের মুখ থেকে শুনেছিলাম। কারণ একটি পরিবারের তিনটি ভাই ছিল। আর তিনজন ভাই ওই সময় বিদেশ থাকতেন এবং ইনকাম করতেন। এবং তিনজন ভাই বিবাহিত ছেলে সন্তান ছিল ছোট। আর তাদের বাবা মা দুইজন ছিলেন।
এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে মা-বাবাকে তারা ভাগ করে খাওয়া দাওয়া করাতেন। এবং এক ভাইয়ের কাছে মা-বাবা একমাস করে খাওয়া দাওয়া করতেন। আর তিন ভাইয়ের ওয়াইফ গুলো একটু ভিন্ন ভিন্ন রকমের। কারণ এক ভাইয়ের ওয়াইফ খুব শান্তশিষ্ট্য। আবার আরেক ভাইয়ের ওয়াইফ একটু গরম ছিল। এবং অন্য ভাইয়ের ওয়াইফ ছিল বুদ্ধিজীবী। যখন তাদের মা-বাবা যার ঘরে খাওয়া দাওয়া করতেন ওই সময় ওই ঘরে থাকতেন। আর মা-বাবাকে প্রথম ছেলের ওয়াইফ খুব যত্ন করতেন এবং মধুর মধুর কথা বলবেন। আর অন্য দুই ভাইয়ের ওয়াইফ তেমন কথা কম বলতেন শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে। তবে তিন ভাইয়ের বাবার কিন্তু ভালই সম্পত্তি ছিল।
আর ভাই গুলোর নাম হচ্ছে হাসান ও শাহাব উদ্দিন এবং হোসেন। তবে শাহাব উদ্দিন ছিল একটু চালাক মানুষ। সেই বিদেশ থেকে প্রায় সময় ফোন করে মা বাবার সাথে কথা বলতেন। তবে কোন এক সময় শাহাব উদ্দিন দেশে এসে তার মা-বাবা থেকে তাদের পুরো সম্পত্তি নিজের নামে করে ফেলেছেন। আর এই কথা ওই সময় কেউ জানতেন না। যখন একটি ভাই নতুন করে ঘর দেওয়ার জন্য চাইলেন। তখন শাহাব উদ্দিন তাকে ঘর দেওয়ার জন্য মানা করলেন। বলতে লাগলো তুমি এইখানে ঘর দিতে পারবে না। যদিও ওই সময় তার বাবা-মা এখনো জীবিত আছে। তখন ছোট ভাই বলতে লাগলো বাবা-মায়ের সম্পত্তি এইখানে আমারও ভাগ আছে আমি ঘর দেব।
প্রথমে শাহাব উদ্দিন ঘর দেওয়ার জন্য মানা করতে লাগলো অন্য কিছু বলল না। পরে শাহাব উদ্দিন বলতে লাগলো এই জায়গা সম্পত্তি তার। এইখানে বাবার কোন সম্পত্তি নেই। তখন তাড়াতাড়ি ভাই জানতে চাইলো কিভাবে সম্পত্তি তার। ওই সময় বড় ভাই ও দেশে ছিল সেও তাড়াতাড়ি জানতে চাইলো কিভাবে সম্পত্তিগুলো তোমার হল। পরে দেখতে লাগলো জায়গা সম্পত্তিগুলো বাবা তার নামে দিয়ে দিলেন। এবং মা-বাবাকে নাকি সেই বেশি ভালোবাসে শাহাব উদ্দিন। এই কারণে মা-বাবা তাদের সম্পত্তি শাহাব উদ্দিনকে দিয়ে দিলেন। যদিও পরবর্তী গ্রামের লোকজন মিলে সম্পত্তি নিয়ে বসলো। তখন শাহাব উদ্দিন বলতে লাগলো সম্পত্তিগুলো তার নামে সে আর দেবে না সম্পত্তিগুলো।
পরবর্তীতে তার মা-বাবাকে জিজ্ঞেস করল কেন সম্পত্তিগুলো শাহাব উদ্দিন দিয়ে দিলেন। তখন তাদের মা বাবা বলতে লাগল আমার ছেলের সব সময় আমাদের খোঁজ খবর রাখে। এবং আমাদের সাথে সুন্দর করে কথা বলে। বাকি দুই ছেলে তেমন সুন্দর ভাবে কথা বলে না খোঁজখবর রাখে না তাই। সম্পত্তিগুলো শাহাব উদ্দিন নামে দিয়ে দিলেন। তবে ছেলেগুলো বিদেশ করে সম্পত্তিগুলো বাবার নামে নিয়েছেন। আর তাদের কষ্টের টাকার সম্পত্তিগুলো বাবার ভুলের কারণে তার মেজো ছেলে মালিক হয়ে গেল। তবে এইখানে মা বাবার চোখ সমান ছিল না। তারা অন্য দুটি ছেলের কথা ভাবলেন না। এই কারণে দুই ছেলেকে তারা নদীতে ভাসিয়ে দিলেন সম্পত্তি না দিয়ে। আর কিছু কিছু মা বাবার কারণ ও ছেলে মেয়ে কষ্ট করে। এই হচ্ছে বাস্তব একটি গল্প। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1962746284554740172?t=ML3TAuHv6xT8cML_gAzQsQ&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1962744455397863791?t=GO8bm-ylUN6nx7yuKpNbEg&s=19
Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀
This is an automated message.
If you wish to stop receiving these replies, simply reply to this comment with turn-off
Visit here.
https://www.steempro.com
SteemPro Official Discord Server
https://discord.gg/Bsf98vMg6U
💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!
🟩 Vote for witness faisalamin
https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin
আসলে কিছু কিছু মা-বাবা আছে তাদের চোখ সমান নেই। কারণ তারা ছেলে মেয়ে সবগুলোকে সমান চোখে দেখেনা। এইখানে এই লোকটি ও তার তিনটি ছেলেকে সমানভাবে দেখে নাই। এই কারণে একটি ছেলেকে জায়গা সম্পত্তি দিয়েছেন। এবং তারা চিন্তা করে না অন্য ছেলে মেয়েদেরকে নদীর জলে ভাসিয়ে দিচ্ছে। পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।