গল্প :- কিছু কিছু ছেলে মেয়ে আছে মা-বাবার দায়িত্ব পালন করে না। (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


father-and-son-2258681_1280.jpg

এর আগেও এই গল্পের প্রথম পর্ব আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আজকে আবারো দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। বড় ছেলে রাসেল তার ওয়াইফ যেটা বলে সেটাই শুনে। এবং রাসেলের ওয়াইফ তার মাকে একটা টাকা দেওয়ার জন্য মানা করলো। রাসেল এই কথা চিন্তা করে না তার মা তাকে কিভাবে মানুষ করেছে। এবং মহিলাটি তার ছোট ছেলে রাকিবের টাকা দিলে সুন্দর মতে খাওয়া দাওয়া করে। এবং মাঝেমধ্যে তার মেয়ে আসলে তাকেও সেই আপ্যায়ন করে। এদিকে ছোট ছেলে মোটামুটি কয়েক বছর হওয়ার পর দেশে আসার জন্য বলল। তখন তার মা বলল সে আসলে আসার জন্য। এরপর ছোট ছেলের রাকিব দেশে এসে তার মামাতো বোন বিয়ে করলেন। আর মামাতো বোন বিয়ে করার পর তার ওয়াইফ তার মায়ের কাছেই আছে। একদিকে মহিলাটির ভাইয়ের মেয়ে অন্যদিকে ছেলের ওয়াইফ। তবে রাকিব বিদেশ যাওয়ার পর ঘরে নতুন একটা অতিথি আসলো। রাকিবের একটি ছেলে সন্তান হয়েছে।

এবং ছেলেটি হওয়ার পর থেকে রাকিবের ওয়াইফ তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে লাগলো। এই কথা বলে রাকিবকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে। তোমার বড় ভাই তোমার মাকে খাওয়াই না। তুমি কেন তোমার মাকে খাওয়া-দাওয়ার টাকা দেবে। এরকম কথা বলতে বলতে এক সময় রাকিব ও বলতে লাগলো তার মাকে সে খাওয়াবে না। এবং রাকিব তার ওয়াইফকে তার শ্বশুরবাড়িতে রাখল। এদিকে মহিলাটির আর কোন খোঁজ খবর রাখে না দুই ছেলে। দুটি ছেলে বউ নিয়ে আলাদা থাকে। মহিলাটি তার ভাঙ্গা ঘরে আছে। সে আগের মত মানুষের বাড়িতে কাজ করে মানুষের হেল্প নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। আসলে মহিলার কথাগুলো শুনে আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো।

মহিলাটি যে কথাগুলো বলল যে কেউ শুনলে তার কাছে খারাপ লাগবে। এদিকে মহিলা যে ভাঙ্গা ঘরে থাকে ওই জায়গা দুইটি ছেলেরা নিয়ে নিবে। কারণ এই জায়গা তাদের বাবার। আর মহিলা বলতে লাগল ঘরে সেই একা থাকে অসুস্থ হলে তাকে দেখার কেউ নেই। কারণ মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে স্বামীর বাড়িতে। আর মেয়েটির হাসব্যান্ড দেশে গাড়ি চালাই। মেয়ের হাজবেন্ড মাঝেমধ্যে তার শাশুড়িকে বাজার করে দেয়। আর ছেলে দুইজন মায়ের কোন খোঁজ খবর রাখে না। তখন আমি মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম মেয়ের হাজবেন্ডের বাড়িতে থাকলে তো ভালো হয়। অসুস্থ হলে দেখার তো কেউ নেই। তখন মহিলাটি বলতে লাগলো আমার মেয়ের হাজবেন্ডের বাড়িতে থাকলে।

লোকে কি বলে এবং আমার মেয়ের মুখটা ও ছোট হয়ে যাবে। কারণ দুই ছেলে তার মা কে দেখাশোনা করে না। এই কারণে মেয়ের হাজবেন্ডের বাড়িতে থাকে। কারণ ওই বাড়িতে অনেক লোক আছে এগুলো নিয়ে কথা বললে আমার মেয়ের মুখ ছোট হয়ে যাবে। আসলে মহিলাটির কথা শুনে আমার কাছে বাস্তব মনে হল। কারণ এই ধরনের লোক প্রত্যেক বাড়িতে কমবেশি আছে। কারণ লোকগুলো মানুষের কথা নিয়ে আলোচনা করে। আর মহিলাটি মোটামুটি আমার শাশুড়ির বয়সের হবে। তবে আমার হাজবেন্ডের বাড়িতে সবাই মহিলাটিকে হেল্প করে। আর মহিলাটিও যে কোন কাজের কথা বা দরকারি কথা বলে মানুষকে হেল্প করে।

তবে মাঝেমধ্যে আমি মহিলাকে নাস্তা করাই আমার হাজবেন্ডের ঘরে। আর আমি মহিলাকে বললাম সকালবেলা আমাদের এইখানে এসে নাস্তা করে যাওয়ার জন্য। আসলে মহিলাটি বিয়ের পর থেকে কষ্ট করে যাচ্ছে। কারণ অল্প বয়সে তার হাজবেন্ড মরে যাওয়ার পর থেকে সে অনেক কষ্ট করে ছেলে মেয়ে মানুষ করেছে। এবং মহিলাটির না খেয়ে ছেলেমেয়েদেরকে মানুষ করল। আর দুটোই ছেলে মহিলাকে দেখতে পারেনা। তারা মনে করে ওয়াইফকে নিয়ে ভালো খেলে ভালো থাকলে ওটাই তাদের সুন্দর জীবন। মহিলাটি এই কথাগুলো বলতে বলতে চোখ দিয়ে অনেক পানি পড়তে লাগলো। আর মহিলার মুখের কথাগুলো শুনে সত্যি আমার কাছে খারাপ লাগলো। এই হচ্ছে একটি মানুষের বাস্তব কাহিনী। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.034
BTC 119532.66
ETH 4180.25
SBD 0.87