খালি কলসি বাজে বেশি।|| An empty pitcher sounds more.
কিছু মানুষ আছে অসম্ভব বাজে বকে 😡 মানে হলো এরা সুযোগ পেলেই কথার খই ফুটিয়ে আশেপাশের মানুষের কানের বারোটা বাজিয়ে ছেড়ে দেয়। আসলে আমি যদি এরকম কিছু মানুষের উদাহরণ আর এদের বাজে বকার বিষয় আলোচনা করতে যাই তাহলে বেশ কয়েকটা পোস্ট করতে হবে।
নিজেকে সব জানতা সমসের জাহির করা।
দেখবেন এদের জ্ঞানের কোন শেষ নেই। কোন একটা বিষয় শুধু শুরু করিয়ে দিতে পারলেই হলো, অনর্গল সত্য মিথ্যা আর তার সাথে মুখোরোচক সব কথা বানিয়ে বলে নিজেকে অনেক বড় কিছু জাহির করবে। ভাবখানা এমন তাদের, পৃথিবীর এমন কোন বিষয় নেই যার সম্পর্কে সে অবগত নয়।
সবকিছু টাকার অংকে পরিমাপ করতে চায়।
এধরনের মানুষদের কথার মাঝেই বোঝা যায় এরা কতটা লোভী প্রকৃতির মানুষ। যেকোন কিছুর মাঝেই টাকার অংক বসিয়ে দেয়ার এদের একটা মুদ্রা দোষ আছে। যেমন ধরুন কেউ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করলে তাকে টাকার পরিমাপে দাম বা সমাদর করার চেষ্টা করে। আবার কেউ কোন পুরষ্কার জিতলে সেটা টাকার পরিমাণে বারবার বলার চেষ্টা করে, আবার পরিবারের জন্য কোন খরচ করলেও সেটা টাকার পরিমাণে বারবার মেলাতে থাকে। ভালো করে খোঁজ খবর নিলে দেখা যাবে এদের নিজেরই নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা কিন্তু এরা অন্যকে টাকার পরিমাপে জড়িয়ে হেনস্থা আর অপমান করতে বেশি পছন্দ করে।
সুবিধাভোগী জিন্দাবাদ।
ব্যাপারটা হলো এদের নিজের কিছু করার মতো ক্ষমতা নেই, তারা একটু বড় মাপের মানুষের ছত্র ছায়ায় থাকার চেষ্টা করে। ভীষণ ছলাকলা, তেল বাজী আর চামচামি করে নিজের স্বার্থ হাসিল করার ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হয়। এরা অনেকটা পরজীবী, ছা-পোষা চামচার মতো হুজুরের পেছন পেছন ছুটি চলে অতি ভক্তি করার মাধ্যমে।
যে নদী যত গভীর
তার বয়ে চলার শব্দ তত কম।
মানে হলো যার জ্ঞানের পরিধি যত বেশি তার কথার ওজন তত বেশি এবং গভীর। একজন প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ দশটা কথা বলে না বরং একটা কথা দিয়ে দশটা কথা বুঝিয়ে দেয়। তারা বলে কম কিন্তু শুনে বেশি এবং অন্যের কথার মূল্যায়ন করতে চায় বেশি। প্রতিটি মানুষ সম্মানিত এবং সৃষ্টির সেরা জীব। আপনি চাইলেই ইনিয়ে বিনিয়ে মুখের জটিল কথা, কুটিলতার সাথে বলে তাকে অপমান অপদস্থ করতে পারেন না। মনে রাখবেন শরীরের ক্ষত শুকিয়ে যায় কিন্তু মনের ক্ষত মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শুকায় না। আপনি আজকে কাউকে অপমান অপদস্থ করে গেলেন সেটা হয়তো দ্বিগুণ হয়ে আপনার দিকে ধেয়ে আসবে।
তাই অতি বাচাল এবং চামচা প্রকৃতির মানুষকে ভবিষ্যতের পরিস্থিতি এবং নিজের অবস্থান ধরে রাখার জন্য হলেও নিজের কথা এবং আচরণে নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত। কারন আপনি সুযোগ পেয়ে আজ যা বলে গেলেন, হয়তো কোন একদিন আপনাকে এর থেকে অনেক বড় কিছু সহ্য করার মতো পরিস্থিতি নিজেই তৈরি করে গেলেন। তাই নিজের খালি মাথা কিংবা খালি কলসি কম বাজানোর চেষ্টা করুন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।

.gif)


আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া শূন্য কলসি বাজে বেশি।আসলে টাকার অহংকারে কখনো কাউকে কটু কথা বলা উচিত নয়। সত্যিই তো এক সময় সব ফুরিয়ে যাবে কিন্তু কথা গুলো মনে থাকবে আজীবন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
ভাই আপনার এই ধরনের পোস্ট গুলো অনেক ভালো লাগে। অনেক কিছু শিখতে পারি। সমাজে কিছু মানুষ আছে তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, অন্যের সমালোচনায় ভগ্ন থাকেন। কোথায় আছে খালি কলসি বাজে বেশি। অহংকার ধ্বংসে কারণ, তাই আমাদের অহংকার করা ঠিক নয়। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এই শ্রেণীর লোক সমাজে প্রচুর । নিজে কিছু করতে পারে না কিন্তু মুখের চোয়ালের জোরে সব সময় জেতার চেষ্টা করে। প্রকৃত পক্ষে মূল্যায়নটা সবসময় টাকার উপর নিয়ে চলে যায় । যে কোন জায়গায় এই ধরনের লোক দেখা যায়। যে কোন জায়গায় এই ধরনের লোক থেকে থাকে এদের থেকে দূরে থাকাই ভালো । অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই।
খালি কলসি বাজে বেশি এধরনের লোকজন এখন সব জায়গায় দেখা যায়। তবে এধরনের লোকজন থেকে দুরে থাকা উচিত। আসলে ঠিক ভাবে বিচার করতে গেলে এধরনের লোকজন এর সভাব ছোটলোকের মতো। আপনার এধরনের শিক্ষনীয় পোস্ট গুলো থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। প্রতিনিয়ত চমৎকার পোস্ট গুলো উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া।আপনার লেখাগুলো একদম সঠিক। এ ধরনের মানুষ গুলো আমাদের সমাজে অনেক দেখা যায়।এদের থেকে দূরে থাকা ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে বিষয় টি তুলে ধরার জন্য।