ঈলমার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা পর্ব-১ || বিনোদন শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটায়।
ঈলমার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা পর্ব-১
'বিনোদন শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটায়"
'বিনোদন শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটায়"
🍄 সুত্রপাত 🍄
সবার প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক শুরু করছি। প্রথমেই বলি গতপরশু বাসা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি কারন বাড়িওয়ালা তার নিজের সংসার খরচ মেটানোর বাহানায় আমার বাসা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। যা বহন করা কোন মতেই এই পরিস্থিতিতে আমার সম্ভব নয়। যাক একটু ছোট বাসায় শিফট হলাম। বাসা শিফট করার পরদিনই হঠাৎ গায়ে তীব্র জ্বর এবং গলাব্যাথা অনুভব করছি। এখন যখন পোস্টটি লিখছি তখন বিছানায় একদমই শোয়া। কিন্তু কিছুটা কাজতো করতেই হবে না হলে যে ছিটকে যাবো যা আমার জন্য অনেক বড় বিপদের কারন হবে। চলুন চেষ্টা করি আজকের পোস্টটি লিখার দেখি পারি কিনা।
"বিনোদন শিশুদের মানসিক বিকাশ" ঘটায়
আমার মেয়ে ঈলমা, ওর বয়স সাত বছর সবে। আমরা ঢাকা শহরের এককোণে ছোট্ট একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। ঈলমা প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুল এরপর প্রাইভেট এবং তার পর আবার আরবি পড়তে যায়। দুপুরে বাসায় এসে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তারাতাড়ি গোসল সেরে খাওয়া দাওয়া করে একটু ঘুম দিয়ে বিকেলে ওঠে। কিন্তু বিকেল বেলায় তেমন খেলার সাথী নেই এই যন্ত্রের শহরে কারন অধিকাংশ বাচ্চা বাসায় বসে হয় মোবাইল গেমস অথবা অন্য কিছু নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। আমি ঈলমাকে নিয়ে মাঝে মধ্যে বাইরে বের হই। কিন্তু সমবয়সী কারো সাথে খেলতে না পারার কষ্টটা আমি অনুভব করি তার কথায়। সে আমাকে বলেই ফেললো বাইরে আসলে আরো তার বেশি একা লাগে তাই বাসায় বসে গেমস খেললে তার বেশি ভালো লাগতো। বুঝলাম তার মানসিক অবস্থা কতটা পরিবর্তন হয়েছে। আমি তাকে যখনই বাইরে আসি চেষ্টা করি গল্প গুজব করে তাকে আনন্দে রাখতে কিন্তু সত্যিই কোথাও যেন একটা শূন্যতা উপলব্ধি করি আমি।
ফিউচার পার্ক যখন আনন্দের খোরাক
![]() | ![]() |
---|
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমি ঈদ করেছি কুমিল্লায়। ঈদের পরপরই চিন্তা করলাম ঈলমাকে নিয়ে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়। নোয়াখালীতে বেশ কিছু আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন আর নোয়াখালীতে খুব চমৎকার একটি ইনডোর পার্ক রয়েছে, তাই চলে গেলাম সেখানে। ঈলমা বেশ খুশি হলো। কিন্তু অবাক হলাম পার্কের ভেতরে বেশ ফাঁকা। লোকজন তেমন নেই। ভেতরে ভেতরে প্রশ্ন করলাম মানুষ কি তাহলে বাচ্চাদের পার্কে আনে না?
কি চমৎকার সব রং বেরঙের রাইড কিন্তু চড়ার লোক নেই। কেমন যেন ভেতরটা খাঁখাঁ করে উঠলো। যাক আমাদের কিছুটা আনন্দ নিতেই হবে, ঈলমাকে মনমরা রাখা যাবেনা। রাইডে যখন ঈলমাকে উঠবো তখন বুঝলাম কেন সবাই এখানে আসতে চায় না। প্রতিটি রাইড অসম্ভব খরচ। কি আর করার আছে ঈলমাকে হেলিকপ্টারে উঠিয়ে দিলাম ওর খালাতো বোনসহ।
![]() | ![]() |
---|
ভিডিও
এরপর ওর চাহিদা অনুযায়ী আরো বেশ কিছু রাইডে উঠালাম তাকে। মেয়েটা ভীষণ আনন্দ পেল।
"পরিশেষ"
পরিশেষে বলতে চাই সন্তানকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাবেন সময় পেলেই। এতে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটবে এবং সে সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠবে। আর যতদূর সম্ভব তাদের সময় দিন এবং বন্ধুর মতো মিশুন। ইনশাআল্লাহ ভালো মানুষ হয়ে উঠবে দেখবেন। পরবর্তী পর্ব দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে বিদায় নিলাম। আর হ্যা শরীর খুব খারাপ অবস্থা যদি লিখাতে কোথাও ভুল হয় দয়াকরে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন 🙏
বিষয়বস্তু | ঈলমার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা পর্ব-১ |
---|---|
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | সংযুক্তি |
এই ধরনের পার্কে শিশু বাচ্চাদের নিয়ে গেলে আসলে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে। যেটা আমি কিছুদিন আগে প্রমাণ পেয়েছি। অনেক ভালো একটি মুহূর্ত উপভোগ করলেন বাচ্চাদের নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য 🥀
ভালো থাকুন দোয়া রইল 🥀
ঈলমার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো স্যার। আপনি ঠিক বলেছেন বিনোদন শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটায়। জায়গাটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আজকে পোস্ট ভিজিট করে আমার মন ভালো হয়ে গেলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
লিমন চেষ্টা করেছি মেয়েটার মুখে হাসি ফোটাতে।
সে বেশ খুশি ছিল এটাই সবথেকে বড় বিষয় আমার কাছে।
মামনির জন্য ভালবাসা রইল। আমি সময় পেলে আমার মেয়ে কে নিয়ে গ্রামে ঘুড়তে যাই সবুজের মাঝে কিংবা খাল বিল নদীর পারে। যান্ত্রিকতার মধ্যে বড় হচ্ছে বলে আমি ওকে নিয়ে যাই প্রকৃতির মাঝে যাতে সে কিছুটা হলেও পিওর অক্সিজেন পায় । প্রান খুলে ছুটতে পারে সবুজ ঘাসে। যা হোক শিশুদের বিকাশের জন্য ওদের নিয়ে মাঝে মাঝে ঘুড়তে যাওয়া ভাল। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনার মেয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল।
উপর ওয়ালা তাকে মানুষের মতো মানুষ করুন।
খুবই ভালো লাগলো বাবা হিসাবে আপনি আপনার মেয়ের মানসিক বিকাশের জন্য অনেক চিন্তিত, বর্তমান সময়ে আমরা অতিরিক্ত ইন্টারনেটের জগতে চলে এসেছি, মোবাইল কম্পিউটার এগুলো ব্যবহার করার কারণে ছোট বাচ্চাদের মানসিক পরিবর্তন ঘটছে। এমন একটা পরিবর্তন আসছে এখন আর মানুষ বাহিরের জগতের সাথে পরিচিত হতে চায় না। খুব ভালো লাগলো ইলমার স্বপ্নপূরণের একটি প্রচেষ্টার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আসলে আমরা মানুষের থেকে যন্ত্র তৈরি হচ্ছি বেশি। তাই ওদের দিকে সর্বোচ্চ যত্নশীল হতে হবে।
আসলে বর্তমান যুগ এমন ভাবে চলছে মানুষ মোবাইল ছাড়া বাচ্চাদেরকে চালানোই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের চিন্তাধারা মোবাইল ভিত্তিক হয়ে গেছে কিন্তু এভাবে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে না বরং ক্ষতি হবে। আপনি ঈলমাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হয়েছেন এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। বেশ আনন্দমুখর সময় কাটিয়েছে সে এই পার্কে। এই অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যিই তাই আপু। মেধার বিকাশের জন্য মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যাবহার একটি বড় অন্তরায়। তাই তাদের সময় দেয়া উচিত এবং তাদের সঠিক পথে পরিচালনা করা উচিত।
কথাটার সাথে ১০০% সহমত পোষন করছি। ছোট বাচ্ছাদের বিভিন্ন জিনিদ দেখার মাধ্যমেই বাহ্যিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা অর্জন করে। আপনার ধারণকৃত ভিডিও দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইলো শুভকামনা।
আজকাল বাচ্চারা মোবাইলের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাই আর এখন পার্কে বা খেলার মাঠে বাচ্চাদের দেখা যায় না। সত্যি বলতে বাইরে সেরকম পরিবেশও নেই বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়ার। আর শিশু পার্ক গুলোতে টিকিটের উচ্চমূল্যের কারণেও কেউ যেতে চায় না।
আপনি ইলমা মামনি কে নিয়ে পার্কে বেড়াতে গিয়েছেন এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আনন্দের এই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য ভাইয়া। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকুন দোয়া রইল।
শরিরটা বেশ খারাপ।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Enhorabuena, su "post" ha sido "up-voted" por @dsc-r2cornell, que es la "cuenta curating" de la Comunidad de la Discordia de @R2cornell.
আসলেই ভাই ঠিক বলেছেন শিশুদের বিকাশ ঘটানোর জন্য অবশ্যই মাঝেমাঝে বিনোদন দিতে হয়। তাদের মনের পরিস্থিতি অনেক বেশি ভালো হয় ও একাকিত্ব কমে আসে। আর আজকাল ছেলে মেয়েরা বেশি মোবাইলের প্রতি আসক্ত। কিন্তু আমি মনে করি যে ছেলে মেয়েদের এভাবে মোবাইলের প্রতি এবং গেমসের প্রতি আসক্ত না করে তাদেরকে অন্য বিনোদনে ব্যস্ত রাখা উচিত।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আসলে শিশুদের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে শিশুদের নিয়ে গেলে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে এবং বেশ আনন্দ পায় তারা।