আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আজকে শীতল পাটি নিয়ে কিছু আলোচনা করবো।
গ্রাম বাংলার সুপরিচিত ও প্রাচীনকালের ঐতিহ্য হলো শীতল পাটি এটি কুটির শিল্প নামে পরিচিত। শীতল পাটি আমাদের সভ্যতা এবং ঐতিহ্যের অংশ বিশেষ। তবে এই শীতল পাটি শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি  অংশ।এক সময় দেখা গেছে সারা বিশ্বে শীতল পাটি খ্যাতি অর্জন ছিল।আমাদের গৃহ কাজে নানা প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে বিশেষ স্থান বা জায়গা জুড়ে রয়েছে শীতল পাটি।আর এই শীতল পাটি সবার ঘরে ঘরে রয়েছে। আমি কালকে আমাদের বাজারে যায় তখন এই শীতল পাটির দোকান টি দেখতে পাই, আর আমি সেখান থেকে কিছু ছবি তুলে নিলাম।
শীতল পাটি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। শীতল পাটি আমাদের প্রতিটি ঘরে ঘরে রয়েছে। এই শীতল পাটি গ্রামের মানুষজনই বেশির ভাগ ব্যবহার করে আসছে।শীতল পাটি মেঝেতে পাতা আসন বা গালিচার মতো।পাটি বেত বা মোস্তাক নামক তুল্মজাতীয় ছাল দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে শীতল পাটি হস্তশিল্প হিসেবে বিশেষ উপযোগী।আর আমার যানা মতে গ্রাম মানুষ এই শীতল পাটি বেশি ব্যবহার করে,কারন আমি শুনছিলাম যে গ্রামের মানুষের কাজ থেকে যখন আমাদের বাসায় কোন মেহমান আসে তখন সর্বপ্রথমে এই শীতল পাটি বের করে বসতে দিতো।তাই গ্রামের মানুষ এই শীতল পাটি বেশি ব্যবহার করে।
এই শীতল পাটি গরমের সময় আমাদের বিশেষ ভাবে সহায়তা করে গরম থেকে রক্ষা করে। শীতল পাটি গরমের সময় আমরা বিছানা কিংবা মাটিতে বিছিয়ে ক্লান্তি দুর করি। মানুষের জীবনযাত্রার এক অপরিহার্য অংশ হচ্ছে শীতল পাটি। এছাড়াও আমাদের দেশের পাটির রয়েছে নানা ধরনের নাম ও ব্যবহার। শুধ বসার জন্য এই শীতল পাটি ব্যবহার করা হয় না এই শীতল পাটি আমরা আরো অনেক কাজে ব্যবহার করি।আগে গ্রামের বাসায় সবার ঘরে ঘরে এই শীতল পাটি ছিল আর বসার জন্য তারা এই শীতল পাটি ব্যবহার করতো।এখন তো আগের মত সেইরকম শীতল পাটি ব্যবহার  হয় না।
|  | 
|---|
|  | 
|---|
এখন কম বেশি সবার ঘরে ঘরে বসার জন্য চেয়ার বা ছোপা ব্যবহার করে তাই এখন সবার কাজ থেকে এই শীতল পাটি ব্যবহার খুব কম দেখা যায়। আজকাল এ শীতল পাটি শুধু বিছানায় ব্যবহার হয় না, বরং রুচিসম্মত সাজসজ্জার উপকরণ, বাতির জন্য শেড, কার্পেটের ইত্যাদিতে শীতল পাটির বহু চাহিদা রয়েছে। শীতল পাটি বহুকাল থেকেই প্রচালিত হয়ে আসছে। তবে বর্তমান সময়ে শীতল পাটির আর্কষণীয় বিভিন্ন রকমের ডিজাইন বা মোটিভ করা হচ্ছে।হিম পরশে শীরর জুড়ে যায় সেই শীতল পাটি আজ বিলুপ্তির পথে। একদিকে যেমন আমরা শীতল পাটি হারাতে বসছি তেমনি অন্য দিকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে পাটিকররা। এই শীতল পাটি নিপুণ হাতে বোনা রঙ বেরঙের শীতল পাটি পাওয়া যায় একসময় অনেক চাহিদা ছিল এই শীতল পাটির।আমি এখানেই শেষ করলাম আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,,, আল্লাহ হাফেজ,,,,

আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।
 
শীতলপাটিকে আমরা গ্রামের ভাষায় সপ বলে থাকি। এই শীতলপাটি আমাদের গ্রামের বাড়ি গুলোতে বেশি ব্যবহৃত হয়। বাড়িগুলোতে বিভিন্ন কাজেই শীতল পাটিগুলো ব্যবহার করা হয়। আমাদের বাড়িতেও দুইটা শীতল পাটি রয়েছে যেগুলো আমরা মাঝে মাঝে ব্যবহার করি বিভিন্ন কাজের জন্য।আপনি আপনার এই পোস্টে শীতলপাটি নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি হলেও বেশ ভালো তুলেছেন। পোস্টটি দেখে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু
শীতল পাটি আমাদের বাসায় আছে। এখনো আছে আমাদের বাসায়। শীতল পাটিতে বসে আমরা খাওয়া দাওয়া করি। অনেক সময় শীতল পাটি বিছিয়ে দিয়ে সুয়ে থাকে। আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
শীতল পাটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। গরমের সময় আমরা মেঝেতে শীতল পাটি বিছিয়ে সুয়ে থাকি।মাঝে মাঝে শীতল পাটিতে বসে খাওয়া দাওয়াও করি।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। অসাধারণ হয়েছে পোস্টি।ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
শীলত পাটি আমাদের ঐতিহ্য। এ পাটি আমাদের অনেক কাজে লাগে। গরমের সময় এ পাটি শীতল করে দেয়। আমাদের বাড়িতে এ পাটি আছে ভাত খাওয়ার জন্য আমরা ব্যবহার করে থাকি। বাজারে এসব পাটি কিনতে পাওয়া যায়। হরেক রকমের ডিজাইন ও সাজসজ্জা এখন এ পাটির মূল বৈশিষ্ট্য। আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে
শিতল পাটি দেখতে পাওয়া যায় না এখন শুধু ঐতিহ্য হয়ে আছে আমাদের মাঝে। বলতে গেলে শীতলপাটি আমাদের একটি ঐতিহ্য প্রাচীনকাল থেকেই শুরু করে সকল প্রকার আত্মীয়-স্বজনকে শীতলপাটির মাধ্যমে আমরা বসতে দিতাম। আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন শীতলপাটি নিয়ে ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
সত্যি কথা কি এই শীতলপাটিতে এখনো আমি ঘুমাই। শীতল পাটিতে ঘুমার মজাই আলাদা।বিশেষ করে গরমের সময় এই শীতলপাটি আমাদের বাড়িতে থাকে তখন আমি বিছানায় বিছিয়ে শীতলপাটিতে আরাম করি।
ঠিক কথা বলেছেন ভাই এখন শীতলপাটি ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে, এর কারণ হলো ঘরের বিভিন্ন রকম চেয়ার বসার টুল এসব ব্যবহার করার কারণে।আগে মানুষ শীতলপাটিতে বসতো খাওয়া দাওয়া করত অতিথিদের শীতল পাটিতে বসানো হতো। কিন্তু এখন তেমন নেই। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম পাটি সম্পর্কে অনেক কিছু।খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই
শীতল পাটি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘড়ে ঘড়ে এই শীতল পাটি আছে।এই শীতল পাটিতে অনেকে বসে খাওয়া দাওয়া করে। আবার কেউ কেউ শীতল পাটিতে ঘুমিয়ে থাকে। অবশ্য সেটা গরম কালে।শহরে ও এই শীতল পাটির ব্যবহার দেখা যায়। আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে।
উত্তরাঞ্চলে এগুলো বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে নওগাঁ এবং জয়পুরহাটে এগুলো প্রচুর তৈরি করা হয়। গরমের দিনে এর ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়, অনেক ঠান্ডা থাকে। আমাদের বাসায়ও একটি আছে। অনেক ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শীতল পাটি নিয়ে আপনি খুবই সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। এই শীতল পার্টির চাহিদা গরম কালে বিশেষভাবে বেড়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শীতের পাটির ব্যবহার দেখা যায় যদিও বর্তমানে এই সকল শীতল পাটির ব্যবহার ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। শীতল পাটির পরিবর্তে বর্তমানে ম্যাট এবং কার্পেট বেশি ব্যবহৃত হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ছবি সহ একটি পোস্ট করার জন্য।