প্রকৃতি যেন পরিবর্তন হচ্ছে

লিংক

আসলে এখন আর পৃথিবী আর আগের পৃথিবীর মধ্যে অনেকটা পার্থক্য রয়েছে। যদিও পৃথিবী যখন সৃষ্টি হয়েছে তখনকার আবহাওয়ার সাথে এই পূর্বের এবং বর্তমান আবহাওয়ার অনেক বেশি পার্থক্য ছিল। কিন্তু মানবজাতির কারণে পৃথিবীর যে আবহাওয়ার পার্থক্য দিন দিন হচ্ছে তা কিন্তু কখনোই ভালো হচ্ছেনা। অর্থাৎ মানুষ যেভাবে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে এবং প্রকৃতির উপকারী জীব গুলোকে হত্যা করছে এতে করে প্রকৃতি তাদের ভারসাম্য দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। আসলে ছোটবেলা থেকে আমরা পাঠ্যপুস্তকে পড়েছি যে মানুষ হলো সৃষ্টির সবথেকে শ্রেষ্ঠ জীব। কিন্তু মানুষ যদি এই শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে একদম বোকার মত কাজ করে তাহলে সেখানে আর কোন কিছু আমাদের আর বলার থাকে না। আর সবকিছুর জন্য দায়ী এই মানুষ।


একটা জিনিস আমরা সব সময় খেয়াল করে দেখেছি যে পূর্বের প্রকৃতি কিন্তু এতটা বিপদজনক কখনোই ছিল না। তখন চারিপাশে গাছপালায় পরিপূর্ণ ছিল এবং প্রকৃতির সুমধুর আবহাওয়া সত্যিই আমাদের পাগল করে দিত। এছাড়াও পূর্বের সময়ে আমরা বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের আবহাওয়া উপভোগ করতাম। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত এই ঋতুর সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং আবহাওয়া তার নিজেকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে যাতে করে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে মনে হচ্ছে যেন এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ এখন বর্তমানে আমরা তিনটি কাল দেখতে পাই। আর এই তিনটি কালের মধ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে যাচ্ছি। আর এসব দুর্যোগের ফলে আমরা প্রতিনিয়ত শুনতে পারি যে কত মানুষ অকালে তাদের মূল্যবান প্রাণ হারিয়ে ফেলছে।


আসলে মানুষ জ্ঞান অর্জন করছে কিসের জন্য তার মূল অর্থ গুলো কি কেউ জানে। অর্থাৎ মানুষ জ্ঞান অর্জন করে যদি মূর্খের মতো কাজ করে এই প্রকৃতির সঙ্গে তাহলে সেখানে আমাদের আর কোন কিছু বলার থাকে না। আসলে এই প্রকৃতিকে যদি ধ্বংস করি তাহলে আমরা আমাদের নিজেদের অস্তিত্বকে ধ্বংস করছি। কেননা এই প্রকৃতি যদি এই পৃথিবীতে না থাকে তাহলে আমরা মানুষ নামক এই প্রাণী এই পৃথিবী থেকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব। আর এর জন্য আমাদের সবাইকে প্রকৃতি সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নিতে হবে। কেননা প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মানব জীবনের সম্পর্ক রয়েছে। আর এই প্রকৃতিকে যারা ধ্বংস করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবসময় কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আসলে প্রকৃতিকে রক্ষা করার জন্য আমাদের যা কিছু করতে হয় আমরা সবকিছু করতে রাজি।


এছাড়াও এই প্রকৃতি সম্পর্কে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদা করে একটা পাঠ্যপুস্তক রাখা উচিত। কেননা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি ছোটবেলা থেকে প্রকৃতির সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং কিভাবে প্রকৃতিকে রক্ষা করবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারে তাহলে তারা আর প্রকৃতির সাথে এমন খারাপ কোন কিছুই কখনো করবে না। বরং তারা সবসময় চেষ্টা করবে যে কি করে এই প্রকৃতিকে সুন্দর করা যায় যাতে করে আমাদের মানব জাতি এই পৃথিবীতে আরো হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারেন। আর এজন্য প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রকৃতির সম্পর্কে জ্ঞান দান করা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এছাড়াও আমাদের সবাইকে হাতে হাত রেখে এগিয়ে আসতে হবে এবং এই প্রকৃতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার আপনার সবার।

আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।