মান ধরে রেখে সাফল্য অর্জন - ক্রিয়েটিভ রাইটিং
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজ আপনাদের সাথে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেয়ার করব, যার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, মান ধরে রাখা।

চলছে নোবেল পুরষ্কার ঘোষনার মাস। এই মাসেই মূলত নোবেল পুরস্কারগুলো ঘোষণা করা হয়। রসায়ন, পদার্থ, চিকিৎসা, শান্তি, অর্থনীতি ও সাহিত্য। এই ছয় ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর নোবেল দেয়া হয়।
শত বছরের অধিক সময় ধরে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত হাজার খানেক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। কখনও কি ভেবে দেখেছেন, নোবেল পুরষ্কার নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। যারা নোবেল পেয়েছে, তাদের যোগ্যতা নিয়ে কখনও প্রশ্ন উঠেনি। বরং, প্রতিটা সময়ই মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছে। নোবেলের গ্রহণযোগ্যতা এমনই, দুই বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও ইচ্ছা রয়েছে নোবেল জেতার। সারা পৃথিবীতেই নোবেল লরিয়েটদের অন্যরকম সম্মান দেয়া হয়।
যদি বলি অস্কারের কথা, ঘটনা প্রায় একই রকম। সারা পৃথিবীতেই রয়েছে এর গ্রহণযোগ্যতা। কাউকেই কখনও অস্কার বা নোবেল বয়কট করার ঘটনার কথা শুনিনি।
বছরের পর বছর তারা কিভাবে এমন সমান বরং বলা ভালো, গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে? উত্তর খুবই সহজ। তারা মান ধরে রেখেছে। তারা কখনই বিতর্কিত কোন বিষয়ে, বিতর্কিত কোন ব্যক্তিকে, বিতর্কিত কোন কাজকে পুরষ্কারের জন্য ভূষিত করেনি। তারা কোন প্রভাবকে তোয়াক্কা করেনি। তারা কেবল সেরা বাছাই করেছে এবং যারা সেরা হয়েছে, তাদের অবদান নিয়ে কারও বিতর্ক করার সুযোগও ছিলো না।
এ দুটি হচ্ছে মান বজায় রেখে কাজ করে সফলতা পাবার প্রকৃত উদাহরণ। যেকোনো ব্যক্তি, যে কোন প্রতিষ্ঠান, সেটা ব্যবসায়িক হোক অথবা অন্য কোন কিছু, যদি মান বজায় রেখে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে, তাহলে সফলতা তার হাতের মুঠোয় চলে আসবে। নীতি একটি বড় বিষয়। যারা নীতিতে অটল থাকতে পারে, তারা সফলতার চূড়ায় উঠতে পারবে। নোবেল বা অস্কার বাদেও আমাদের দেশে, কিংবা স্থানীয় ভাবেও অনেক প্রতিষ্ঠান এভাবেই সফল হয়েছে। হাজীর বিরিয়ানি, কুমিল্লার রসমালাই তেমনই কিছু উদাহরণ। আমাদের ফরিদগঞ্জ থানায় যেমন রয়েছে আউয়ালের রসমালাই। এরাও নীতিতে অটল থেকে সাফল্য পাওয়া অন্য এক নাম।
