"খুব সহজে তৈরি মজাদার নুডুলস রেসিপি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ, ৯ ই এপ্রিল, মঙ্গলবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি সংক্রান্ত। আমি গতকালকে বাড়িতে নুডুলস রেসিপি তৈরি করেছিলাম সেটা এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমি আজকে মজাদার নুডুলস রেসিপি তৈরি করেছি। আমি মনে করি ব্যাচেলরদের রান্না শেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে অনেক ছোটবেলা থেকেই রান্না করতে পারি এবং নিজে রান্না করে খেতে খুবই পছন্দ করি। নিজে নিজে রান্না করে খাওয়াটা আলাদা একটা মজা আছে আর সেটা আমি উপভোগ করি সবসময়। আমি সুন্দরভাবে আপনাদেরকে আমার রেসিপি পোস্টটি ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে রন্ধন পদ্ধতি বর্ণনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | নুডুলস | ৩ স্টিক |
২ | ডিম | দুইটি |
৩ | পেঁয়াজ | সাতটি |
৬ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৭ | তেল | পরিমাণ মতো |
৮ | হলুদ | পরিমাণমতো |
১০ | মরিচ | সাতটি |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
পেঁয়াজ ও মরিচ পরিমাণ মতো কেটে নিতে হবে এবং পরিষ্কার জল নিয়ে দিয়ে নিতে হবে।
এক প্যাকেট কোকোলা নুডুলস ও দুইটি ডিম।
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। পরিবার মতো জল গরম করে লুডলস সিদ্ধ করে নেবো।
দ্বিতীয় ধাপে নুডুলস সিদ্ধ হওয়ার পরে কড়াই থেকে নামিয়ে ঝুরিতে করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নেবো।
তৃতীয় ধাপে তৃতীয় ধাপে কড়াই আবার চুলায় বসিয়ে দিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে নেবো।
চতুর্থ ধাপে আগে থেকে কুটে রাখা পিঁয়াজ ও মরিচ দিয়ে দেবো। তারপর পরিবার মত হলুদ ও লবণ দিয়ে নেব।
পঞ্চম ধাপে পেঁয়াজ ও মরিচ ভাজি হয়ে গেলে তারপর ডিম ভাজি করে নেব।
ষষ্ঠ ধাপে ডিম পেঁয়াজ মরিচ মিক্সার ভাজির ভেতরে সেদ্ধ করে রাখা নুডুলস দিয়ে দেব।
সপ্তম ধাপে আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা লুডুলস করাইতে দিয়ে নেবো। তারপর প্যাকেটের ভেতর থাকা নুডুলস এর মসলা দিয়ে নেবো। আর এভাবে কিছু সময় নাড়াচাড়া করতে থাকবো।
অষ্টম ধাপে আমার নুডলস রেছিপি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলবো।
আমার রেসিপি খাবারের উপযুক্ত করে পরিবেশনের জন্য পাত্রে রাখা হয়েছে।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার রেছিপি ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


বন্ধু মজাদার নুডুলস রেসিপি তো মুখরোচক খাবার। যেটা সবাই খেতে পছন্দ করে। মাঝে মাঝে এই ধরনের খাবার গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। আজকে বাড়িতে খুব সুন্দর করে নুডুলস রেসিপি তৈরি করেছ ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ । একসময় দাওয়াত দিয়ে এইভাবে তৈরি করে খাওয়াবে।
চটজলদি নাস্তা রেসিপি হিসেবে মজাদার নুডুলস রেসিপির জুড়ি মেলা ভার। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, নুডুলস রেসিপি খুব সহজেই তৈরি করা যায়। আর খেতেও ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তৈরি নুডুলস রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে, খেতে খুবই মজার হয়েছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
লুডুস রেসিপিটা বেশ তাড়াতাড়ি রান্না করা যায় এবং মজাদার টেস্ট হয়। ভাই খাওয়ার ইচ্ছা করলে চলে আসতে হবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব সহজে মজাদার নুডুলস রেসিপি সম্পূর্ণ করেছেন। নুডুলস খেতে ভীষণ ভালো লাগে। যখন অবসর সময় বসে থাকি নুডুলস তৈরি করে থাকি। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার রান্নার ধরনটি বেশ সুন্দর ছিল। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনিও লুডুলস খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনি নিজে নিজে ছোটবেলা থেকে রান্না করতে পারেন ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে নিজে রান্না করে খাওয়ার মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ আছে যেটা আপনি উপলব্ধি করতে পারেন। তবে আপনার আজকের রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কেননা এই কোকোলা নুডুলস গুলো অনেক আগে এরকম করে রান্না করে খেতাম ।খেতে ভীষণ ভালো লাগতো ।অনেকদিন হয় এভাবে খাওয়া হয় না। এখন তো শুধু ম্যাগি খাওয়া হয়। আপনার এই নুডুলস খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু নিজের রান্না নিজে করে খাওয়ার ভিতরে আলাদা একটি আনন্দ আছে। কোকোলা নুডুলস দামে বেশ সস্তা। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নুডুলস খেতে ছোট বড় সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। আর আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি নুডুলস খেতে। নুডুলস দেখলেই আমার একেবারে লোভ লেগে যায়। আপনি মজাদার নুডুলসের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখেই তো অনেক সুস্বাদু হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে আমার কাছে। ইফতারের সময় কিন্তু নুডুলস হলে অনেক বেশি মজা করে খাওয়া যাবে। এটা নুডুলস কিন্তু সকালে এবং বিকেলের নাস্তা হিসেবে একেবারে পারফেক্ট। এখন যেহেতু রোজার মাস তাই সন্ধ্যার সময় খেতেই বেশি ভালো লাগবে।
হ্যাঁ আপু সত্যি বলেছেন নুডুলস বড় ছোট সবাই খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমার তৈরি নুডুলস বেশ ভালোই টেস্ট হয়েছিল মজা করে খেয়েছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া লুডুলস ছোট বড় সবারই অনেক পছন্দের খাবার। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আসলে রমজান মাসে তেমন লুডুলস রান্না করা হয় না। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নুডুলস খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নুডুলস রান্না খেতে বেশ মজাদার লাগে। আপনি অত্যন্ত সুন্দর প্রক্রিয়া মধ্য দিয়ে নুডুলসের রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। নুডুলসের রেসিপি তৈরিতে ডিমের ব্যবহারটা আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নুডুলস রেসিপি তৈরি করার সময় যত বেশি ডিম দেয়া যাবে তত লুডুসের স্বাদ বৃদ্ধি পাবে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে বসে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
নুডুলস ছোট বড় সবাই খুব পছন্দ করে খেতে। আর নুডুলস তৈরি করা ও অনেক বেশি সহজ। আপনি খুব সুন্দর ভাবে নুডুলস এর রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। রেসিপি টা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। খেতেও নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটা খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু খেতে অনেক সুন্দর টেস্ট হয়েছিল। নুডুলস রেসিপি আমি ভীষণ পছন্দ করি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার তো সব থেকে পছন্দের খাবার নুডুলস। এমনকি আমার কাছে মনে হয় ছোট বড় প্রায় সবাই এই খাবারটি বেশি পছন্দ করে। নুডুলসের বিভিন্ন ধরনের সবজি ব্যবহার করে রান্না করলে খেতে বেশ মজা লাগে। আপনি ঝটপট খুব সহজেই নুডুলস রান্না করার শেখালেন ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া
এটা সত্যি বলেছেন আপু এই রেসিপিতে সবজি ব্যবহার করলে আরো বেশি টেস্ট হয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।