প্রথম রোজার ইফতারের অনুভূতি
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
শুরু হয়ে গেল মাহে রামাদান। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনাদের আগেই একটি রোজা শেষ করে ফেললাম। আর এই রোজা শুরু হলে আমাদের মত গৃহিণীদের খুব ব্যস্ততার সাথে কেটে যায় রোজার মাসগুলো ইফতারি বানাতে বানাতে। এই ইফতারি বানাতে কিন্তু প্রচুর সময় লাগে। আর আমার একটু বেশি সময় লাগে কারণ আমি এত দ্রুত করতে পারি না। তাই রোজার সময় খুবই কম সময় পাওয়া যায় অন্যান্য কাজ করতে। যাইহোক আমার জন্য একটি সুখবর কারণ হাজব্যান্ড এবার আমাকে বলেছে আমার ইফতারি বানাতে হবে না। আমার ইফতারি রেস্টুরেন্ট থেকে পাঠাবে। যেহেতু রেস্টুরেন্টে অনেক বাঙালি রয়েছেন, তারা যেহেতু রোজা রাখেন তাই রেস্টুরেন্টে ইফতারি তৈরি করা হয় স্টাফদের জন্য। আর সেখান থেকেই আমাকে প্রতিদিন পাঠানো হবে। হাজব্যান্ড ইফতারি রেস্টুরেন্টে করে কারণ তখন রেস্টুরেন্টে বিজি টাইম। আর বাসায় শুধু আমি আর আমার বড় মেয়েটা রোজা ছিলাম। তাই শুধু হাজবেন্ডের যেদিন অফ থাকবে সেদিন শুধু আমার ইফতারি বানাতে হবে। আর বাকি দিনগুলো আরামে রেস্টুরেন্ট থেকে আসা খাবারগুলো দিয়ে ইফতারির কাজ সেরে ফেলব। যাই হোক চলুন তাহলে আজকে ইফতারের আইটেমগুলো কি কি ছিল এক নজরে দেখে নেয়া যাক।
প্রথমেই শুরু করলাম বেগুনি আর পিয়াজু দিয়ে। কারণ এই দুটি ছাড়া যেন ইফতারই সম্পন্ন হয় না। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ইংল্যান্ডেও চলে বেগুনি, ছোলা, বড়া, পিঁয়াজু সবকিছুই।
এরপর ছোলার পালা।আমার কাছে মনে হয় ইফতারের আসল আকর্ষণ হচ্ছে ছোলা আর বড়া। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ছোলা আর বড়া মাস্ট থাকবেই ইফতারের সময়। আমি যখন বাংলাদেশে থাকতাম তখন ইফতারের সময় ছোলার সাথে মুড়ি মাখিয়ে খেতাম। খুবই দারুণ লাগতো। কিন্তু এখানে এসে আর তেমন মুড়ি দিয়ে খাওয়া হয় না কারণ এখানে স্পেশাল আখনি বা বিরিয়ানি তৈরি করা হয়। সেটা খেলে আর অন্য কিছু ভালো লাগে না। একদিন বিরিয়ানি আর না হয় অন্য দিন ভেজিটেবল খিচুড়ি থাকে।
এটি সিলেটের সেই ঐতিহ্যবাহী আখনি। এটি শিপের মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।খেতে দারুণ স্বাদের।বেশ মজা করে আমরা তিনজন খেয়েছি।
কিছু ফল
মিষ্টি ও পুডিং
এছাড়াও ছিল চিংড়ি মাছ দিয়ে তৈরি করা বিশেষ একটি ফুড, কাঁচা ছোলা, সালাদ ও বরফি। বরফি আমার তৈরি। কথা ছিল প্রথম রোজায় আমি রেস্টুরেন্টে বানিয়ে দিব। তাই আগের দিন বানিয়ে রেখেছিলাম।কিছু রেখে সবগুলো দিয়ে দিয়েছি। আজকের দিন আমার কোন ঝামেলা ছিল না রান্নার। এভাবেই রেডিমেড খাবার দিয়ে কাটিয়ে দিলাম আমার প্রথম রোজা।
| Photographer | @tangera |
|---|---|
| Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব।
ধন্যবাদ,

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[
](https://steemitwallet.com/~witnesses










যাগ আপুর তাহলে অনেকটা আরামে রোজা রাখা বা ইফতার সম্পুর্ন হবে ৷ ভাই যেহেতু রেস্টুরেন্টে থাকে পাঠিয়ে দিবে ৷ এই রোজার দিন গুলি অনেক ভালো লাগে ৷ যেমন ধরুন বন্ধুদের সাথে ইফতার পার্টি ৷ যা হোক ইফতারের আইটেম গুলো বাংলাদেশর মতোই দেখে অনেক ভালো লাগলো লোভনীয় স্বাদের খাবার সব ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
তাহলে মোটামুটি ভাবে অনেক খুশি হয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে যেহেতু রেস্টুরেন্ট থেকে প্রতিনিয়ত ইফতার পাঠাবে। শুধুমাত্র আপনার হাসবেন্ডের যেদিন অফডে থাকবে সেদিন আপনাকে নিজে ইফতারি বানাতে হবে। আসলেই রমজান মাস আসলে পরে মেয়েরা অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে কারণ সেহেরী এবং ইফতার দুটোই তাদের তৈরি করতে হয়। যাইহোক মজাদার মজাদার কিছু খাবার পাঠিয়েছে দেখছি রেস্টুরেন্ট থেকে। ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি তুলে ধরার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া রমজানে আসলে সেহরি ও ইফতারি বানাতে বানাতে আমাদের যথেষ্ট সময় চলে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনাকে।
বাহ! প্রথম রমজানের ইফতারি বেশ দারুন ও স্বাদের খাবার দিয়ে সম্পন্ন করলেন। দেরী হলেও সমস্যা নেই আপু, আইটেমগুলো বেশ দারুণভাবে সম্পন্ন করেছেন। তবে হ্যা,
বিশেষ এই খাবারের রেসিপি চাই কিন্তু।
এগুলো তো আমি বানাইনি ভাইয়া। হাজবেন্ড রেস্টুরেন্ট থেকে পাঠিয়েছে, খুবই ইনজয় করেছি, নিজে কষ্ট করে বানাতে হয়নি।
আরে ঐ লাইনটাতো তাহলে ছুটে গেছে আমার, হুম রেষ্টুরেন্ট এর খাবার সব মেয়েরাই এনজয় করে। হি হি হি
প্রথম রোজার ইফতারের অনুভূতি কিন্তু দারুণ হয়। ভাইয়া রেগুলার রেস্টুরেন্ট থেকে ইফতার পাঠিয়ে দিবে এটা তো খুব ভালো । আপনার আর কষ্ট করে ইফতারের আয়োজন করা লাগবে না। ইফতারের আয়োজন করতে সত্যিই অনেক বেশি সময় লেগে যায়। বেগুনি, পিঁয়াজু আর ছোলাভুলা সাথে মুড়ি না হলে আমাদের মতো বাঙালিদের ইফতার তো জমেই না।
বড় বাঁচা বেঁচে গিয়েছেন। সারাদিন রোজা থেকে এরপর সন্ধ্যার সময় ইফতারি বানাতে বেশ ক্লান্ত লাগে। যেহেতু ভাইয়া রেস্টুরেন্ট থেকে পাঠাবে তাহলে তো রোজার মাস বেশ আরামেই করবে। মজার মজার ইফতার করতে পারবেন। রোজার সময় এরকম মজাদার বিরিয়ানি হলে আর কিছু লাগে নাকি। তাহলে সপ্তাহে মাত্র একদিন আপনাকে কষ্ট করতে হচ্ছে। ভালো লাগলো জেনে।
অভিনন্দন আপু আমাদের আগে একটি রোজা সম্পূর্ণ করে ফেললেন খুবই ভাল লাগলো জেনে যাক এবার তাহলে আপনাকে আর কষ্ট করে ইফতারি বানানো লাগবে না ভাইয়া প্রতিদিন ইফতারি পাঠিয়ে দিবে বিষয়টা দারুন লাগলো।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনার এই সুন্দর সময় শেয়ার করার জন্য।
তাহলে তো একটা বাড়তি সুবিধা ইফতারি তৈরীর জন্য আর বাড়তি কষ্ট করতে হবে না রেস্টুরেন্ট থেকেই চলে আসছিল। তবে যেহেতু সেখানে বসেই সিলেটের ঐতিহ্যবাহী আখনি রেসিপি খেয়েছেন তাই এমনটা মনে হয় স্বাভাবিক যে আপনি যেন সিলেটেই রয়েছেন হা হা হা।
একদম ঠিক বলেছেন, তাই মনে হয় যেন বাংলাদেশেই আছি।
সারাদিন রোজা রেখে বিকেল বেলা ইফতারি তৈরি করতে আসলেই খুব ক্লান্ত লাগে প্রতিটি মেয়ের। আপনি তো বেঁচে গেলেন এবার। ইফতারি তৈরি করার জন্য কষ্ট করতে হবে না এবং রেস্টুরেন্ট থেকে পাঠানো মজার মজার খাবার দিয়ে ইফতার করতে পারবেন। যাইহোক ভাইয়া তো রেস্টুরেন্ট থেকে অনেক কিছুই পাঠিয়েছেন। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী আখনি দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। আর আপনি তো বরফি সবসময় খুব ভালোভাবে তৈরি করতে পারেন। যাইহোক আজকে তো ইফতারির সব রেডিমেড আইটেম দেখলাম, ভাইয়ার অফ ডে তে মজার মজার ইফতারির আইটেম তৈরি করবেন বাসায়, সেগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
দীর্ঘ সময় রোজা রেখে সকলের জন্য ইফতারি বানানো আসলেই বেশ কষ্টকর কাজ, কারণ তখন শরীরে ক্লান্তি চেপে বসে। এবারে আপনার যেহেতু প্রতিদিন ইফতারি বানাতে হবে না, জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপমার জন্য তবে এবছরের রোজাটা অনেকটাই ক্লান্তিমুক্ত হবে। এবং সেই সময়টাতে নামাজ এবং প্রার্থনা জাতীয় আমলগুলোতে বেশি মনোনিবেশ করতে পারবেন। আমাদের সকলের জন্যও দোয়া করবেন আপু।
ইফতার মানে হচ্ছে রকমারি খাবার। আমরা বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করত অভ্যস্ত। বিশেষ করে ছোলা ভাজি পিয়াজু না হলে ইফতারি জমে না। তবে আপনার জন্য যে সুখবরটা শুনে ভালো লাগলো আপু। ইফতারি তৈরি করা খুবই ঝামেলার। আপনার প্রথম ইফতারির খাবারের আইটেম গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার সুন্দর অনুভূতি পড়ে আনন্দ পেয়েছি অনেক ধন্যবাদ।