|| আজ প্রচন্ড বৃষ্টির কবলে ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে পোস্টটি শুরু করা যাক।
বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। আর প্রায় প্রতিনিয়তই আমাকে এই বৃষ্টির কবলে পড়তে হচ্ছে। কারণ প্রায় প্রতিনিয়তই আমাকে ঘরের বাইরে বেরোতে হয়। আর যখনই বেরোচ্ছি হয় ফেরার সময়, না হয় যাওয়ার সময় এক পশলা বৃষ্টির মধ্যে পড়তেই হচ্ছে। মাঝেমধ্যে হাতে সময় থাকলে কোথাও দাঁড়িয়ে বৃষ্টি থামার জন্য অপেক্ষা করি, কিন্তু সে বৃষ্টি আর থামার নামই নেয় না। সেইজন্য আবার মাঝে মধ্যে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও বেরিয়ে পড়ি।
যাইহোক, আজ দুপুরে প্রতি সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও আমার কম্পিউটার ক্লাস ছিল। ক্লাসে যাওয়ার সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল, তবে সেই বৃষ্টিতে তেমন কোনো অসুবিধা হচ্ছিল না। তবে ক্লাস ছুটির কিছুক্ষণ আগেই দেখলাম, আকাশ পুরোপুরি ঘন কালো মেঘে ছেয়ে নিয়ে এসেছে। তখনই বুঝলাম প্রচন্ড গতিতে বৃষ্টি নেমে আসবে। ভাবতে না ভাবতেই, দেখলাম আবার একটু ঝোড়ো হাওয়াও বয়ে গেল। আর সেই সাথেই ঘনিয়ে আসলো মুষলধারে বৃষ্টি।
ভাবলাম ১৫ - ২০ মিনিট অপেক্ষা করলেই এই বৃষ্টি হয়তো কিছুটা কমে যাবে। কিন্তু সেটা হলো না। তার বদলে আরও বেশি গতিতে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো। ক্লাসের প্রায় সবার বাড়ি বেশ কিছুটা দূরে ,তবে আমার বাড়ি থেকে সেখানে যেতে বড়জোর ১৫ মিনিট সময় লাগে। সে যাই হোক, ওদের বাড়ি যেহেতু অনেক দূরে তাই ওরা এই প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে বেরোনোর কথা ভাবছিল না ,ওখানে বসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিল। আমিও তাদের সাথে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। তিরিশ মিনিট পর দেখলাম বৃষ্টি একটুও কমলো না, তখন না পেরে সবাই সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম।
কিন্তু বেরিয়ে তো পড়লাম এক মুশকিলের মধ্যে। এত বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় কোন কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না । তাই আমি আর দেরি না করে সেখান থেকে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছিলাম। তবে মনে মনে একটু ভয় পাচ্ছিলাম , কারণ প্রচন্ড বৃষ্টির সাথে সাথে বজ্রপাত ও হচ্ছিল । যার কারণে সবাই কোনো না কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। কিন্তু আমি যেহেতু অনেকটাই ভিজে গিয়েছিলাম ,তাই আর ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে না থেকে এগিয়ে আসছিলাম।
কিন্তু রাস্তা পার হয়ে যখন গলির ভেতরে ঢুকলাম ,দেখলাম সেখানে প্রচুর পরিমাণে জল বেঁধে গিয়েছে ।এত জলের সম্মুখীন এর আগে কখনো হইনি, কারণ এই রাস্তা দিয়ে আমি খুব একটা বেশি যাতায়াত করি না । তাই এই রাস্তার সম্পর্কে আগে থেকে কোনো ধারনাই ছিল না, বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে এর অবস্থা কিরূপ হয় ,তা তো একেবারেই জানা ছিল না। তবে এসে যখন পড়েছি আর ফিরে গেলাম না। পুরো ফাঁকা রাস্তায় এতটা জলের স্রোত পার করে আসতে বেশ ভয় হচ্ছিল আমার। যত এগোচ্ছিলাম জলের স্রোত যেন বেড়েই যাচ্ছিল। আমি শুধু অপেক্ষা করছিলাম ,কোথায় গিয়ে এই জল শেষ হবে আর আমি দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারবো।
তারপর বেশ কিছুটা রাস্তা হাঁটার পর, একটু নিশ্চিত হলাম কিছুদূর গিয়ে জল শেষ হয়েছে দেখতে পেয়ে। তখন মনে মনে বেশ খুশি হয়ে গিয়েছিলাম আমি , আর আমার মনের ভয়টাও দূর হয়ে গিয়েছিল। তবে বেশ ভালোই ভিজে গিয়েছিলাম, তাই এখন শরীরটা খুব একটা ভালো নেই।
| পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
|---|---|
| ডিভাইস | realme 8i |
| লোকেশন | বারাসাত |




আজ দেখছি বেশ ভালোই মুসিবতে পড়াশোন দিদি।একেতে বৃষ্টির দিন তারপরে আবার অচেনা রাস্তা। সবকিছু মিলিয়ে একটা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।রাস্তার পানি পার হয়ে কিছুটা এগোতেই অবশেষ চিন্তা মুক্ত হলেন।এই বৃষ্টির মধ্যে সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্ট করেছেন যদি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই,বেশ মুশকিলে পড়েছিলাম সেদিন । যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্যে।
এখন বর্ষাকাল বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আপু বাংলাদেশের সব স্থানে এবং আপনাদের দেশেও প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। মানুষের যে কোন কাজের জন্য অবশ্যই বাইরে যেতে হয়। ঠিক তেমনি আপনার কাজের জন্য আপনি প্রতিনিয়ত বাইরে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই আপনি বৃষ্টির কবলে পড়ছেন। কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা মনে হচ্ছে বৃষ্টিতে যেন ডুবে গেছে। আমার মনে হয় অধিকতার বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হলে বাইরে না যাওয়াটাই উত্তম। বৃষ্টির সময় প্রতিনিয়ত যদি ভেজে যায় তাহলে অবশ্যই শরীর খারাপ করবে। নিজের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন শুভকামনা রইলো।
প্রতিনিয়ত বৃষ্টির কবলে পড়লেও, এইদিন একটু বেশিই বৃষ্টি হচ্ছিলো ভাই। ঠিকই বলেছেন, এইভাবে প্রতিনিয়ত ভিজতে থাকলে শরীরটাও খারাপ করবে মনে হয়। যাইহোক,ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। আর যাদের বাইরে কাজ থাকে তাদের তো বৃষ্টি হলেও বেরুতে হবে তাছাড়া কিছু করার নেই। কারণ প্রতি দিন বৃষ্টি হলে তো আর কোনকিছু বাদ দেওয়া যায় না। সত্যি এই বৃষ্টির ভিতরে বাইরে বের হওয়া ভয়ের কথা কারণ, বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। আর বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর একটু খারাপ লাগা স্বাভাবিক। যাইহোক দোয়াকরি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যদিও বর্ষাকাল শেষ হয়ে গিয়েছে তার পরেও এখন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে চারিদিকে। কালকে আমিও বৃষ্টির কারণে আটকে গিয়েছিলাম। ঢাকা শহরে রাস্তার অবস্থা আপনাদের এলাকার মত হয়ে যায় বৃষ্টি হলেই যেন মনে হয় রাস্তা হয়ে গিয়েছে সমুদ্র সৈকত।
কথাটা পড়ে খুব মজা পেলাম ভাই, হা হা হা।
আসলে যতই বৃষ্টি হোক না কেন আমাদের উচিত কোথাও একটা গিয়ে দাঁড়ানো। যদি বৃষ্টিতে ভেজা হয় এভাবে, তাহলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আপনি তো দেখছি বেশ ভালোই বৃষ্টির কবলে পড়েছিলেন। আর গলির মধ্যে তো দেখছি বৃষ্টির পানি বেশ ভালোই জমাট হয়েছে। আমি তো ভাবছি এরকম বৃষ্টির পানিতে আপনি কিভাবে বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। তবে যাই হোক সবশেষে বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছিলেন এটা জেনে ভালো লেগেছে। এরকম বৃষ্টিতে ভিজলে তো শরীর এখন খারাপ হওয়ারই কথা। দোয়া করি যেন ঠিক হয়ে যান।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে, পোষ্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে নিচু জায়গা গুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যাচ্ছে। যারা প্রতিনিয়ত বাহিরে বের হয় তাদের জন্য বৃষ্টি কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তবুও যাদের প্রয়োজন তাদেরকে তো বাহিরে বের হতেই হবে। আপনি তো দেখছি বৃষ্টির কবলে পড়েছিলেন অনেক ভালোভাবে। এখন সব জায়গায় কিন্তু অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আমাদের এদিকে এখন কমে গিয়েছে বৃষ্টির পরিমাণটা। এরকম পানির মধ্যেও আপনি অবশেষে বাসায় পৌঁছেছিলেন তাহলে। বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর সবারই খারাপ করে। দোয়া করি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন ভালোভাবে।
হ্যাঁ ভাই,প্রয়োজন থাকলে তো বাইরে বের হতেই হবে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে, গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
আপনাদের দিকেও বৃষ্টি আসলে এই অবস্থা হয়। আমাদের দিকে অল্প একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাটুপানি হয়ে যায়। আপনার সাথে মোবাইল থাকার কারনে এই দৃশ্য গুলো দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই, সাথে মোবাইল থাকার কারণে ফোটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।