আমি আর অর্ণব ভাই 😍

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমষ্কার,,

জীবনে চলার পথে এমন কিছু বড় ভাই বা বন্ধু পেয়েছি যারা সর্বদা যে কোন মুহূর্তে নিজের সবটা দিয়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। হতে পারে আমার নিজের উন্নতির রাস্তাটা অনেকটা থমকে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু এই শুভাকাঙ্ক্ষীদের হাত তার জন্য এতো টুকুও দূরে সরে যায়নি। সেদিক থেকে ভাবলে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয়।

আজ লিখছি অর্ণব ভাইকে নিয়ে। আমার ইউনিভার্সিটি লাইফের মোস্ট সিনিয়র ছিলেন অর্ণব ভাই। আমি ছিলাম তার প্রায় চার বছরের জুনিয়র। হোস্টেলে আমি থাকতাম চারতলায় আর ভাই থাকতো তিনতলায়। অর্ণব ভাই সবার সাথে যে খুব মিশুকে ছিলেন তা নয়। হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র জুনিয়রের সাথে তিনি আড্ডা দিতেন। সেই লিস্টে আমি ছিলাম একজন। হিহিহিহি।

IMG20240128173954.jpg

IMG20240128173937.jpg

Location

অর্ণব ভাইয়ের সাথে খুব যে বেশি ইদানিং কথা হয় এমনটা নয়। যতদূর মনে পড়ছে সব শেষ দুই বছর আগে তার সাথে আমার কথা হয়েছিল লম্বা সময় ধরে। কিন্তু গত মাসে যখন ইন্ডিয়াতে ছিলাম একদিন রাতে হঠাৎ করে দেখলাম আমাকে মেসেঞ্জারে ফোন করেছে অর্ণব ভাই। আমি অবশ্য ফোনটা রিসিভ করতে পারিনি। তবে মেসেজে তার পর দিন ভাইয়ার সাথে কথা হয়। তখনই বলেছিলাম যে এবার ঢাকা গিয়ে ভাইয়ের সাথে দেখা করার ট্রাই করবো। এবার ঢাকাতে গিয়ে শরীরটা ভীষণ অসুস্থ ছিল ,তাই যেতে ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু অর্ণব ভাইয়ের জোরাজোরিতে না গিয়ে আমি আর পারিনি।

IMG20240128165533.jpg

IMG20240128171714.jpg

IMG20240128165209.jpg

Location

বেশ লম্বা সময় পর দুই ভাইয়ের দেখা হল গুলশানে। দেখলাম ভাইয়া সেই আগের মতই হ্যান্ডসাম আছে। কথাবার্তার ধরন থেকে শুরু করে সবকিছু একই রকম। অর্ণব ভাই খুব সোজা সাপটা কথা বলেন। আর এই ব্যাপারটা আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমার পেটে খিদে ছিল না একদমই। কিন্তু তারপরও ভাইয়া জোর করে পাশের ফুড কোডে বসান। হালকা নাস্তার সাথে আমাদের অনেক কথা হয়। ঘন্টা খানেকের মত ছিলাম সেখানে। সময়টা কিভাবে যে কেটে গেল একদম বুঝতে পারিনি কেউই। আমাকে অনেক দিক দিয়ে দিকনির্দেশনা দিলেন ভাইয়া। রাতে থাকার জন্য অনেক জোর করলেও আমি আর সেই আবদার রাখতে পারিনি। সন্ধ্যার দিকে বাড়ির দিকে রওনা দিয়ে দেই।

Sort:  
 2 years ago 

অর্ণব ভাইয়া ঠিকই বুঝতে পেরেছিল যে আপনার খাওয়ার ইচ্ছা আছে। এজন্যই জোর করে খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল 🤣। আসলেই এরকম বড় ভাই পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। দীর্ঘদিন খুব ভালোভাবে যোগাযোগ না থাকলেও হুটহাট দেখা হলে সেই পুরনো ফিল পাওয়া যায়। ভালো লাগলো আপনাদের দুজনের সুন্দর মুহূর্ত দেখে।

 2 years ago 

হেহেহে আপুও মনের কথা ধরে ফেলছেন!! তবে আমি বাইরের এই খাবার গুলো সত্যিই এখন কম খাওয়ার ট্রাই করি। এটা ঠিক যে দীর্ঘদিন পর দেখা হলে আবেগ টা বোধ হয় বেশি কাজ করে 😊।

 2 years ago 

আপনার নীড়ে ফেরার পোস্টটি আমি পড়েছিলাম।আপনি অসুস্থ ছিলেন বলছিলেন। কিন্তু আপনাকে দেখে আমার একটি বারের জন্যও অসুস্থ মনে হলো না।সেদিন গুলশান থেকে বাইকে করে বাস কাউন্টারে এসেছিলেন।তখন তবে শুলশানে অর্নব ভাইয়ার সাথেই দেখা করতে গেলেন।পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন, খেতে না চাইলেও খাওয়া দাওয়া।এরপর নীড়ে ফেরা।অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago (edited)

হাহাহাহাহা,,, আপু সব ক্যামেরার কারসাজি বুঝলেন! ছবি ওঠালে সবাই চকচক করে একদম 🤪। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। সব কথাই একদম মনে আছে দেখছি। অনেক ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.33
JST 0.034
BTC 110602.21
ETH 4286.08
USDT 1.00
SBD 0.83