গদ্য কবিতা || "বিজয় মালা"
গদ্য কবিতা
"বিজয় মালা" গদ্য কবিতার মূলভাব হলো—বিজয় অর্জনের পেছনে থাকা ত্যাগ, সাহসিকতা, এবং আত্মোৎসর্গের গল্প। বিজয়ের মালা শুধু বিজয়ীদের জন্য নয়, বরং সেই সকল মানুষের জন্য, যারা নিজের জীবন, সুখ, এবং শান্তি বিসর্জন দিয়ে বিজয়ের পথ তৈরি করেছে। কবিতাটি তাদের স্মরণে, যারা হয়তো নামহীন থেকে গেছে, কিন্তু তাদের অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটি মানবতার, সাহসিকতার, এবং অজানা নায়কদের প্রতি গভীর সম্মান জ্ঞাপনের একটি প্রার্থনা।
বিজয় মালা
সেলিনা সাথী
স্বপ্নের দেশে একদিন গিয়েছিলাম আমি।
সেখানে দেখেছিলাম বিজয়ের মালা, যাকে ছুঁতে পারার জন্য প্রতিটি হৃদয় আকুল হয়ে আছে। স্বপ্নের আকাশে সোনালি আলো ছড়িয়ে ছিল, আর মাটিতে ফুটে উঠছিল নানা রঙের ফুল। সেই মালা, যা বিজয়ীদের গলায় সাজানো হয়, সেখানে ছিল অজস্র কাহিনী, ত্যাগের গল্প, সাহসিকতার উদাহরণ।
যে হাত এই মালা ছুঁয়ে বিজয়ী হয়, সে হাত কিন্তু রক্তমাখা ছিল। সে চোখে ছিল অপার ক্লান্তি, কিন্তু সেই ক্লান্তির মাঝেও ছিল এক স্বর্গীয় আলো। বিজয়ের মালা সহজে আসে না। তাকে অর্জন করতে হয় অবিচল মনোবল আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে।
কখনো ভেবেছি, এই মালা কি শুধুই বিজয়ীদের জন্য? নাকি সেইসব অগণিত মানুষের জন্য, যারা নিজেদের সুখ, শান্তি আর নিরাপত্তা বিসর্জন দিয়ে সৃষ্টি করেছে বিজয়ের পথ? সেই মানুষগুলোকে খুঁজতে গেলে দেখবো, তারা মালার সম্মান পাওয়ার আগেই জীবনকে আলিঙ্গন করেছে, হারিয়েছে নিজের সবটুকু।
তবুও, বিজয়ের মালা তাদের জন্য, যারা নিজের জীবন দিয়ে জ্বালিয়ে রেখেছে স্বাধীনতার প্রদীপ। এই মালা কোনো বস্তুগত সম্মান নয়, এটি হৃদয়ের গভীরে লুকানো এক প্রার্থনা, এক চিরস্থায়ী স্মৃতি।
আর আমি সেই মালাকে চিরকাল ধারণ করবো, কারণ এই মালা শুধু বিজয়ের নয়, এটি মানবতার, এটি সাহসিকতার, এটি সেই সকল অজানা নায়কের যারা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় নামহীন থেকে গেলেও রেখে গেছে এক অমর কীর্তি।
তাদের সম্মানে মাথা নত করি।
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিজয় মালা গদ্য কবিতা হিসেবে বেশ উৎকৃষ্ট। সুন্দর সাবলীল গতিতে এগিয়ে গেছে ধীরে ধীরে। পড়লে যেন মিশে থাকা যায়। আগেও বলেছি সহজ সরল ভাষায় তুমি যে সুন্দর ভাবে সব লেখায় একটি কবিতার আবহ বলে দাও, তা বড় প্রশংসনীয়। বিজয় বালা সঠিক মানুষের গলায় যাক এই প্রার্থনা করি সর্বশক্তিমানের কাছে।
আমি চেষ্টা করি নিজের মতো করে লেখার তোমার কাছে ভালো লেগে জেনে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা পাই। তোমার উৎসাহ মূলক মন্তব্য আমাকে বরাবরই উজ্জীবিত করে। এভাবেই অনুপ্রেরণা হয়ে পাশে থেকো সবসময়। হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা তোমার জন্য প্রিয় দাদা।