স্মৃতি থেকে - খালামনির বাসায় পিঠার দাওয়াতে (২০১৫)

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ পুরনো কিছু স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। মূলত এটিকে একটি ফটোগ্রাফি পোস্টও বলা যায়। হরেক রকম পিঠার ফটোগ্রাফি।


20150724_090110.jpg


গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণের তারিখ অনুযায়ী ছবিগুলো ২০১৫ সালের জুলাই মাসের ২৪ তারিখ, শুক্রবারের। সেদিন আমরা সবাই আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। স্থানটা লক্ষ্মীপুর জেলার, লক্ষ্মীপুর সদর থানার দালাল বাজারের কাছে অবস্থিত। খুব ভোরেই আমরা সেখানে চলে যাই। আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে সব মিলিয়ে ২০-২২ কিলোমিটার দূরে স্থানটি। ওইদিকে জ্যাম বলতে কিছু নেই। তাই আমাদের সময়ও খুব বেশি লাগেনি। তবে কতক্ষণ লেগেছে তা আমার মনে নেই। আর তখন এত হিসাবও করতাম না।


20150724_090101.jpg

আমাদের সেই খালামনির হাতে বানানো পিঠার বেশ সুনাম ছিল আত্মীয়দের মধ্যে। আমি প্রথমবারের মতো তাদের বাসায় গিয়েছিলাম সেদিন। আন্টির ছোট মেয়ে মুন যার সাথে আমার অন্যরকম একটি সম্পর্ক ছিল। অবশ্য আমার সাথে না বলে বলা উচিত, আমার মোবাইলের সাথে। কারণ আমি তখন প্রচুর পরিমাণে গেমস খেলতাম এবং এ কারণে সে আমার সাথে ভাব জমিয়ে আমার মোবাইলকে হাত করতো এবং আমার মোবাইলে গেম খেলত। একারণে সে আমাকে খুব পছন্দ করত। এ বিষয়টা আমি অনেক পরে আবিষ্কার করি। ততদিনে অবশ্য সে বড় হয়ে যায়।

20150724_091928.jpg

যাইহোক, বাংলাদেশের নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষদের একটা সুনাম রয়েছে, আর সেটা হচ্ছে আতিথেয়তা। তারা দারুণ আতিথেয়তা করতে পারে। এটা অবশ্য আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি, কারণ আমার অনেক আত্মীয় রয়েছে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের। তাদের হাতে বানানো পিঠা কিংবা খেজুরের রসের ক্ষীর খুবই সুস্বাদু। আমার ছবিতেই আপনারা প্রমাণগুলো দেখতেই পাচ্ছেন। বহু রকমের পিঠা তিনি প্রস্তুত করেছিলেন আমাদের জন্য। আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছিল চকলেট পিঠাটি। ছবিতে অবশ্য সেই পিঠার আইটেমটি আলাদা করে তোলা নেই এজন্য এখন আফসোস হচ্ছে। তখন কি আর জানতাম কোন একদিন আমি সেই ছবি আমার বাংলা ব্লগ-এ আপলোড দেবো? যদি জানা থাকতো তবে অবশ্যই তুলে রাখতাম।

20150724_090052.jpg

নোয়াখালী মানুষদের এই গুণটি আমার বেশ পছন্দের। তাদের হাতে বানানো পিঠা, আচার, মোয়া; আমার খুবই ভালো লাগে। আমার নানার বাড়ি বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর জেলায়। আমার আম্মু বাদে বাকি সব খালারা নোয়াখালীতেই তাদের সংসার গেড়েছে। যার কারণে যখনই খালাম্মাদের বাসায় যাই, মনে হয় যারা সারাদিন পিঠা খেয়েই থাকি! সম্ভবত এটা এলাকার একটা বিষয়। আমার আম্মুও খুব ভালো পিঠা বানায়। কিন্তু সব সময় খালামণিদের পিঠার মত হয় না। দুটো কারণ হতে পারে।

  • এক. আম্মুর হাতে বানানো পিঠা সব সময় খাই বলে ভিন্ন মনে হয় না।
  • দুই. আমি আসলেই বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের পিঠার ভক্ত।


20150724_090120.jpg

আজ গুগল ড্রাইভ চেক করতে গিয়ে ছবিগুলো পেলাম মনে হল আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এটুকুই ছিল আজকের মত আমার লেখা। ধন্যবাদ সবাইকে।


IMG_5055.jpg

puss_mini_banner11.4.png

নিজের সম্পর্কে
আমি মুহাম্মদ সাব্বির আকিব। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি। জেলাঃ চাঁদপুর, থানাঃ ফরিদগঞ্জ। থাকি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন দক্ষিণ গাজীরচট নামক স্থানে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রসায়নে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে একটি ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট হিসাবে কর্মরত রয়েছি। বিবাহিত এবং আল্লাহ একটি পুত্র সন্তানের জনক করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

Sort:  
 9 months ago 


Screenshot_20241213-005916.png

Tweet from own a/c

Screenshot_20241213-010034.png

CoinMarketCap Post


Screenshot_20241213-010147.png

Screenshot_20241213-010115.png

DSC Vote Screenshot

 9 months ago 

পিঠাপুলি দেখে তো জিভে জল চলে এলো। খালামনির বাসায় অনেক রকম পিঠা খেয়েছেন দেখছি। অনেক কিছুর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সুন্দর এই স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

 9 months ago 

হাহাহা৷ জিহ্বে জল চলে আসার মতই পিঠাগুলো ছিল। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 9 months ago 

এইরকম ই পুরাতন দিনের ছবিগুলো সামনে আসলে অনেক কথা অনেক স্মৃতি মনে চলে আসে। আপনার খালামনির বাড়িতে পিঠা খেতে যাওয়ার পুরো ঘটনা আপনার এখনও পরিষ্কার মনে আছে দেখছি। আমাদের ফুফু খালা এমন একজন থাকবেই যার পিঠা বানানোর সুনাম রয়েছে। চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা।

 9 months ago 

ঠিক বলেছেন। প্রতিটা পরিবারেই এমন কয়েকজন থাকে যাদের হাতের কাজের বেশ সুনাম থাকে। ধন্যবাদ ভাই, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.035
BTC 108756.89
ETH 4355.34
USDT 1.00
SBD 0.83