রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
প্রথম আলোকচিত্র
ছবিটি পদ্মার পাড় থেকে তোলা। অল্প কয়েকদিন আগেও যখন এখানে এসেছি তখন দেখেছি পানির স্তর নিচে ছিলো। এই সামান্য কয়েক দিনের ব্যবধানে পানি অনেক বেড়েছে নদীতে। এখানে পানির লেভেল দেখে মনে হচ্ছে অল্প কিছু দিনের ভেতরেই পানিতে পাড় ডুবে যাবে।
দ্বিতীয় আলোকচিত্র
এই ছবিটি দেখে বোঝার উপায় নেই কয়েকদিন আগেও এই জায়গাটিকে একটি সরু খাল মনে হতো। পানি চলে আসায় এখন সেটাকে রীতিমতো একটি পূর্ন যৌবনপ্রাপ্ত নদীর মতো মনে হচ্ছে। পানি যেভাবে দ্রুত বাড়ছে তাতে অল্প কয়েকদিনের ভিতরে হয়তো এই নদীর আশে পাশের অঞ্চল প্লাবিত হবে।
তৃতীয় আলোকচিত্র
এই জায়গাটিকে দেখে এখন যদিও খুব একটা কিছু বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু শুক্রবারে এই জায়গাটিকে অত্যন্ত জনাকীর্ন হয়ে ওঠে। কারণ আমাদের শহরের মানুষজনের সময় কাটানোর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হচ্ছে এই পদ্মার পাড়।
চতুর্থ আলোকচিত্র
যেহেতু পদ্মার পাড়ে এই মৌসুমে প্রচুর মানুষজনের সমাগম হয়। সেই জন্য নদীর পাড়ে দেখলাম বাচ্চাদের জন্য বেশ কয়েকটি রাইডের ব্যবস্থা হয়েছে। হয়তো স্থানীয় লোকদের ভেতরে কেউ এটির ব্যবস্থা করেছেন। বুদ্ধিটা খুব একটা খারাপ হয়নি। কারণ সপ্তাহের শুক্র শনিবারে এখানে প্রচুর লোকজন আসে। অনেকের সাথেই বাচ্চাকাচ্চা থাকে। বাচ্চারা এই সমস্ত রাইড দেখলে সেটাতে না চড়ে এখান থেকে ফিরতে চাইবে না। যার ফলে তাদের ব্যবসা ভালোই হবে।
পঞ্চম আলোকচিত্র
একজন হকার বিভিন্ন রকম মাটির খেলনা নিয়ে বসেছে ঠিক নদীর পাড়েই। শহরে অবশ্য এই ধরনের মাটির খেলনা মেলা ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। তাই এইগুলি দেখতে ভালই লাগে। যদিও আজকালকার মানুষজন মাটির তৈরি এই সমস্ত খেলনা খুব একটা কেনে না।
ষষ্ঠ আলোকচিত্র
এটি একটি চটপটির দোকান। বাঙালি বিকালে কোথাও ঘুরতে যাবে আর চটপটি ফুচকা খাবে না এমনটা সাধারনত হয় না। সেই চিন্তা থেকেই হয়তো এই দোকানদার ঠিক নদীর পাড়েই চটপটির দোকান দিয়েছে। বেচাকেনাও দেখলাম ভালই হচ্ছে।
সপ্তম আলোকচিত্র
এটি হচ্ছে নদীর পাড়ে খেয়া ভেড়ানোর জায়গা। খেয়া পারাপারের কাজে যেই নৌকাগুলি ব্যবহার করে সেগুলো এখানেই ভেড়ানো হয়। যে বাশ গুলি ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন এই বাশের সঙ্গে নৌকাগুলি বেঁধে রাখা হয়।
অষ্টম আলোকচিত্র
এটি হচ্ছে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য রাখা আরো একটি রাইড। বাচ্চারা দেখেছি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে এই রাইডে চড়ে। তবে আমার কাছে কিন্তু দেখতে খুবই ভয়ঙ্কর লাগে। নৌকাগুলি যখন একেবারে একদিকে চলে যায় তখন মনে হয় যেকোনো সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য আমি এই ধরনের রাইডে কখনো উঠি না।
নবম আলোকচিত্র
এই ব্রিজটি দেখতে বেশ সুন্দর। ব্রিজটি ভালোলাগার মূল কারন হচ্ছে এই ব্রিজের দুপাশ দিয়ে বেশ বড় জলাভূমি রয়েছে। সেজন্য ব্রিজের উপর দেখতে পেলাম স্থানীয় অনেক লোকজন এসেছে তাদের সময় কাটাতে। বিকেলে সময় কাটানোর জন্য ব্রিজটি আসলেই বেশ ভালো একটি জায়গা।
দশম আলোকচিত্র
নদীর পাড়ে থাকা অবস্থায় আমি দেখতে পেলাম বেশ কয়েকটি বাচ্চা ফুটবল খেলছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের ফুটবলটি পানিতে পড়ে যাওয়ায় তারা সবাই দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের ভেতর আলোচনা চলছিলো যে ফুটবলটি কে পানি থেকে আনতে যাবে। যদিও নদীর তীব্র স্রোতের কারণে এখন সেখান থেকে ফুটবল আনা বেশ কঠিন কাজ। যার ফলে কেউ যেতে রাজি হচ্ছিল না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | পদ্মার পাড় ফরিদপুর। |

| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |











অসাধারণ কিছু ফোটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। বিশেষ করে দ্বিতীয় ছবিটি অসাধারণ ছিল। বাকি ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। সেই সাথে খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
পদ্মা নদীর সৌন্দর্য আজকে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম।সবগুলো ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি পদ্মা নদীর পাড়ে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলেন। পদ্মা নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
নদীর পাড়ে সময় কাটাতে আমার কাছে সবসময়ই ভালো লাগে। তবে এই মৌসুমে সেই ভালোলাগাটা আরো বেড়ে যায়।
আপনার তোলা সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। নদীর সৌন্দর্য আজকে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম। সত্যি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আর আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। এই সময়ে নদী-নালা দেখতে আসলেই ভালো লাগে।
নদীর পাড়ের অসম্ভব রকম সুন্দর কিছু দৃশ্য আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপভোগ করলাম মনমুগ্ধকর একটি পরিবেশ, তারই পাশে ছোট্ট মেলার মত, এখানে ঘুরতে আসেন অনায়াসে মানুষের মন ভাল হয়ে যাবে না।
এই মৌসুমে প্রচুর মানুষ এখানে ঘুরতে আসে।
পদ্মা নদীর পাড়ের কিছু সুন্দর দৃশ্য আপনি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন যেটা সত্যিই খুব আকর্ষণীয় ছিল। এবং তার পাড় ঘেঁষে রয়েছে বিভিন্ন রকম বিনোদনের ব্যবস্থা বিশেষ করে বাচ্চাদের রাইড এবং চটপটির দোকান,যেটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তবে আপনাদের ওখানে যেটাকে চটপটি বলে আমাদের এখানে সেটাকে ঘুগনি বলে🙂😊। তবে এসব কিছুকে ছাড়িয়ে আমার কাছে যেটা বিশেষ আকর্ষণীয় বলে মনে হয়েছে তা হলো নদীর পাড়ে খেয়া ভেড়ানোর জায়গাটা।
আমাদের এখানকার চটপটি কে যে কলকাতায় ঘুগনি বলে সেটা জানতাম না। এতদিন জেনেছি আমাদের এখানে আমরা যেটাকে সিঙ্গারা বলি আপনাদের ওখানে সেটাকে সমুচা বলা হয়।
বর্ষাকালে প্রকৃতি সবুজে সবুজে ভরে যায়। তাই এ সময় বাইরে ঘুরতে ভালো লাগে।
পদ্মা নদীর সৌন্দর্য আপনি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
মাটির খেলার এরকম দোকান আসলেই আজকাল আর দেখা যায় না। হবে আমি যখনি এরকম মাটির জিনিস দেখতে পাই কিছু না কিছু বাসায় সাজিয়ে রাখার জন্য কিনি। আমার কাছে এগুলো ভালো লাগে।
চারপাশ এত সবুজ সতেজ দেখায়। যে শুধু দেখতেই ইচ্ছা করে।
মাশাআল্লাহ ভাইয়া আজকে সবগুলো ছবি অসাধারণ হয়েছে। নদীর সৌন্দর্য টা বেশ সুন্দর ছিল। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বর্ষা মৌসুমে নদী গুলো দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর লাগে।
ভাই একদম ঠিক বলেছেন বর্ষার এই মৌসুমে প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র আসলেই অনেক বিকশিত হয়। বিশেষ করে নদনদীর সৌন্দর্য ঠিক এই সময়ে নদ-নদীগুলো জন্য নবযৌবন লাভ করে। আবার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে নদনদী গুলো দুশ্চিন্তার কারণ হয়েও দাঁড়ায়। যাই হোক অনেক চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলোর জন্য ধন্যবাদ।
নদীমাতৃক আমাদের এই দেশটি এই সময়ে আসলেই দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
4 নম্বর ছবির রাউড টি কিএখনও আছে নাকি নদীর পাড়ে? থাকলে জানিও। ছেলেকে নিয়ে যেতে হবে একদিন। চমৎকার কিছু ছবি ধারণ করেছে ফোনের ক্যামেরায়। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সেদিনও তো দেখে আসলাম। ছেলেকে নিয়ে কালকেই চলে যাও। যদি পাড়ে পানি উঠে আসে তাহলে আর এগুলো পাবেনা।
আমিও একই ধরনের কাজ করে থাকি ভাইয়া চোখের সামনে যেটা ভালো লাগে সেটাই ফটোগ্রাফিতে রূপান্তরিত করে ফেলি।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে থেকে নদীর ফটোগ্রাফি এবং মাটির জিনিসের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।