দুর্গাপূজা। পর্ব:- ১৫
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দুর্গাপূজার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু আগেই বলেছিলাম যে আমরা এক দিদির সাথে এই পুজোর জায়গাগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম তাই দিদির পরিচিত জায়গার জন্য আমরা খুব সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারছিলাম। আসলে তখন দিদি বলল যে যেহেতু আমরা কিছুক্ষণ বিভিন্ন ধরনের প্যান্ডেল ঘুরে পূজো দেখেছি তাই এখন আমরা কোন কিছু একটা খেয়ে নিই। আসলে তখন আমরা সর্বপ্রথম যেকোনো একটা দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম অর্থাৎ যেখানে আইসক্রিম পাওয়া যায়। যাইহোক আমরা তিনজন মিলে আইসক্রিম কিনে পুনরায় আবার একটা জায়গায় বসে একটু গল্প করতে লাগলাম। আসলে অনেকক্ষণ বেশি দাঁড়িয়ে আমাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়। এজন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করি যে কয়েকটা প্যান্ডেল দেখার পর কোন একটা জায়গায় গিয়ে একটু বিশ্রাম করার জন্য।
যদিও এত মানুষের ভিড় তবুও কিন্তু আমরা এই ভিড়ের মাঝখান থেকে ফাঁকা জায়গা খুঁজে সেখানে একটু বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করি। আসলে পরবর্তীতে আমরা যে প্যান্ডেলে যাব সেই প্যান্ডেলটি অনেক সুন্দর একটা প্যান্ডেল। অর্থাৎ দিদি আগে থেকেই বলেছিল যে এখানে যতগুলো প্যান্ডেল হয়েছে তার মধ্যে কিন্তু অন্যতম একটা সেরা প্যান্ডেল হল এই পূজার মন্ডপ। যেহেতু আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম এই প্যান্ডেলটি দেখার জন্য তাই আমরা আর বেশিক্ষণ না বসে আমি দিদিকে জোর করে তুলে দিয়ে ওই প্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে ওই প্যান্ডেলে যেতে প্রায় আমাদের ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লেগেছিল। যদিও আমরা শর্টকাট রাস্তা অবলম্বন করেছি তবুও অনেক সময় লেগে গেছিল।
পরবর্তীতে আমরা যখন প্যান্ডেলের একটু দূরে এসে পৌছালাম তখন দেখতে পেলাম যে লোকের ভিড়। অর্থাৎ প্যান্ডেলে ঢোকার জন্য মানুষদের আলাদা করে লাইন তৈরি করা হয়েছে। যদিও কিছু কিছু মানুষ সবসময় লাইনের আশপাশ দিয়ে ঘোরার চেষ্টা করে এবং কিভাবে লাইনের আগে বা ভেতরে ঢুকিয়ে যাওয়া যায় এজন্য তারা অনেকটা চেষ্টা লাগাতে থাকে। আসলে এই জিনিসটা একটা ভুল জিনিস। কেননা যে মানুষগুলো অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করে আছে সেই মানুষগুলোকে তুচ্ছ করে আপনি বিনা কষ্টে আগে লাইনে ঢুকে যাবেন এটি কিন্তু একটা খারাপ বিষয়। যদিও আমি কোন ক্ষেত্রে এই ধরনের কাজ করি না। কেননা এখানে পূজো দেখতে এসেছি তাই হাতে অবশ্যই আমাদের সময় রাখার প্রয়োজন।
আসলে প্যান্ডেলের গেটের ছবিটি দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগছিল। আসলে আপনারাও ছবি দেখে বুঝতে পারছেন যে এই প্যান্ডেলের গেটটা অনেকটা সেই পুরনো কোন কারুকার্যের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। আসলে আমি কিছুক্ষণ ধরে এই সামনের ছবিটা খুব সুন্দর ভাবে তোলার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু এত লোকের ভিড় এতে করে কিন্তু এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সুন্দর হবে কোন ছবি তোলা মোটেও সম্ভব হচ্ছে না। তাই বেশি আর দেরি না করে ভিতরে যখন প্রবেশ করলাম তখন আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। কেননা বাইরের মতো ভিতরেও তারা বিভিন্ন ধরনের কার উপর যদি প্যান্ডেলের প্রত্যেকটা দিক ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। তাই আমি খুব সুন্দর ভাবে এই প্যান্ডেলের চারিদিক ঘুরে দেখার চেষ্টা করলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।