কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো সবার কাছেই ভালো লাগবে।

এখন রমজান মাস, আজকে ২৬শে রমজান অতিক্রম হচ্ছে। আজ পবিত্র সবে'কদর। সবে বরাতের মাধ্যমে আমরা রমজানের আগমনী বার্তা পায়। আর সবে'বরাতের মাধ্যমে রমজান মাসের বিদায়ী বার্তা পায়। আগামী ৩০/৩১শে মার্চ রমজান মাস শেষ হবে। রমজানকে ঘিরে আমাদের ছিল নানা আয়োজন। তারাবীহ, রোজা, সাহরি, ইফতার সহ অনেক কিছু। এই রমজানে বেশ কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছি। আজকে সে গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

এখানে এক দিনের ইফতারির আইটেমের ফটোগ্রাফি করেছি। এই ফটোগ্রাফিতে ভাজাপোড়া খাবার গুলো মিসিং রয়েছে। প্রতিদিন তো ভাজাপোড়া খাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে খাবারের মেনু পরিবর্তন করতে হয়। তবে এই বছর মহান সৃষ্টিকর্তা অনেক ভালো ভালো খাবার রিজিকে রেখেছিলেন। সে জন্য অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শুকরিয়া আদায় করছি।

এই বছর রমজানে সব থেকে আলোচিত বিষয় ছিল লেবু। রোজার প্রথম দিকে লেবুর হালি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তবে ধীরে ধীরে সেই দাম কমে এসেছে। গত পরশুদিন লেবু কিনেছিলাম ১০ টাকা হালি। এখন ভ্যানগাড়ি ভর্তি লেবু পাওয়া যায়। লেবুর পিছনে অবশ্যই কোন সিন্ডিকেট ছিল।

গত বছর রমজানে তরমুজ আলোচনার শীর্ষে থাকলেও এই বছর তরমুজের দাম জন সাধারণের হাতের নাগালে। এই বছর ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যেই তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে ইফতারের সময় তরমুজ পেয়ে সবাই অনেক খুশি। আমিও এই রমজানে অনেক গুলো তরমুজ কিনেছিলাম। তরমুজের স্বাদও অনেক ভালো।

এই ফটোগ্রাফি টা কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ক্যাপচার করা। ফুটপাতে অনেক ধরনের ঝিনুক বিক্রি করছে। এখান থেকে ঝিনুক নিয়ে নিজের পছন্দ মত নাম লেখানো যায়। আবার নিজের পছন্দ মত যে কোন ডিজাইনের জিনিসপত্র বানানো যায়। এখানের শোপিচ গুলো নজর কারা।

এই চিত্রটি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই ফটোগ্রাফি টা মেথিকান্দা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ক্যাপচার করেছি। এখানে স্টেশনের এক পাশে খুবই সুন্দর ভাবে নামাজের ব্যবস্থা করে রেখেছে। নামাজের সময় হলে যে কেউ এখানে নামাজ আদায় করতে পারবে। সব স্টেশনে এমন ব্যবস্থা করা উচিত।

কক্সবাজার বিচ থেকে এই ঝিনুকের ফটোগ্রাফিটা ক্যাপচার করেছিলাম। এটা জীবিত ঝিনুক না, সাগরের পানির নিচে মরা ঝিনুক। বিচে হাঁটাহাটি করলে চারপাশে এমন শত শত মরা ঝিনুক দেখতে পারবেন। কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষ এগুলো কুড়িয়ে ঝিনুক মালা তৈরী করে বিক্রয় করে।

এই ফটোগ্রাফিতে কি আছে সেটা অনেকই বলতে পারবে না। এগুলো অফিসের কাগজের টুকরো। পাঞ্চ মেশিন দিয়ে এগুলো কাটা হয়েছে। এগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। সে জন্যই ক্যাপচার করেছিলাম।

বন্ধুরা আজকে আর বাড়াচ্ছি না। এখনই বিদায় নিতে হবে। আগামীকাল আবার আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।