ভাগ্যের চাকা যেকোনো সময় ঘুরে যেতে পারে।।

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমার অবস্থা বেশি ভালো না, কারণ মার্কেটের অবস্থাও বেশি ভালো না। মার্কেটের অবস্থা ভালো থাকলে, মন এমনিতেই ফুরফুরা থাকে। আর মার্কেটের অবস্থা খারাপ থাকলে, মন মেজাজ খুবই খারাপ থাকে। $BTC যা শুরু করছে মনে হয়, ফকির না বানিয়ে ছাড়বে না। ফকিররা তো ভিক্ষে করতে পারে, আমরা এমন ফকির ভিক্ষাও করতে পারবো না।

যাই হোক মার্কেটের অবস্থা যখন ভালো থাকে তখন ঘন ঘন দেখি, আর যখন খারাপ থাকে তখন সপ্তাহে একবারও দেখি না। তবে ভাই হাল ছাড়বো না। দেখি কত নিচে নামতে পারে। একদিন না একদিন তোমাকে উপরে উঠতেই হবে। উগান্ডার ছেলে জোহরান মাদানী যদি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হতে পারে, তাহলে $BTC ও দুই লাখে ও যেতে পারে। চলুন তাহলে আজকে নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র জোহরান নামদানি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি।

আফ্রিকার দেশ উগান্ডাতে ১৯৯১ সালের জোহরান আমদানি জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষ সম্ভবত ভারতীয়। উগান্ডাতে জন্মগ্রহণ করলেও তার শৈশব কৈশোর কাটে নিউইয়র্ক সিটিতে। ছোট সময় জোহরান নামদানির বাবা-মা উগান্ডা থেকে সাউথ আফ্রিকাতে চলে আসে। সেখানে কয়েক বছর থেকে, মাদানীর বয়স যখন সাত বছর তখন সপরিবারে নিউইয়র্কে চলে যায়। আর সেখানেই স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে মামদানি পড়াশোনা করে।

মামদানি রাজনীতিতে এসেছে বেশিদিন হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কাজ কর্মের মাধ্যমে মামদানি সবার কাছে পরিচিত হতে থাকে। মামদানি সাধারণত নিউইয়র্ক সিটিতে বাড়ি ভাড়া, রাস্তা মেরামতের কাজ, সিটিতে ফ্রি বাস সার্ভিস, পয় নিষ্কাশন, ময়লন আবর্জনা পরিষ্কার এসব বিষয় নিয়ে বেশি কাজ করেছেন। তারপর ধীরে ধীরে রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখেন।

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মামদানি নিউইয়র্ক সিটির ১১১ তম মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি সম্ভবত ৫০ লাখের উপরে ভোট পেয়েছেন। নিউইয়র্কের ইতিহাসে এইবার প্রথম অধিক মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করেছে। আর এর কারণ হলো মামদানি। মামদানি মুসলিম পরিবারের ছেলে হলেও নিউইয়র্ক সিটির হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই তাকে সাপোর্ট করেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সম্ভবত মামদানির বিরোধী ছিল। কিন্তু নিউ ইয়র্ক সিটির জনগণ মামদানির পক্ষে ছিল। যার ফলে শেষ হাঁসি জোহরান নামদানিই হাঁসলো।

এর দ্বারা বুঝা যায় কখন কি হয় কেউ জানে না। উগান্ডার ছেলে জোহরান মামদানি কখনো কল্পনাও করে নাই সে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হবে। কিন্তু ভাগ্য তাকে ঠিকই নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বানিয়ে দিয়েছে। আজকে হয়তো মার্কেটের অবস্থা খারাপ। কিন্তু মার্কেটের অবস্থা ও ভালো হতে বেশি সময় লাগবে না। আশা করি যারা লেগে থাকবে শেষ হাঁসিও তারাই হাঁসবে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।