মাছের খাবার দেওয়ার মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মাছের খাবার দেয়ার বিশেষ একটি মুহূর্ত নিয়ে দেখুন বিকেল মুহুর্তে মাছের খাবার দেয়ার সময় ফটোগ্রাফি করেছি যা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি আজকের এই পোস্টটি আশা করি আপনারা সম্পন্ন পোস্ট খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং অনুভব করবেন বিকেল মুহুর্তে পুকুর পাড়ে মাছ খাবার দেওয়ার সে ভালো লাগার অনুভূতি। তাই চলুন দেরি না করে এখনি মেনপয়েন্টে চলে যাওয়া যাক।
প্রথমে আপনারা লক্ষ্য করছেন মাছের খাবার দেওয়ার জন্য বাঁশের মাচাই যখনই খাবার রেখেছি তখনই মাছগুলো খেলা করা শুরু করে দিয়েছে খাবার পাওয়ার আশায়। আপনার ফটোগ্রাফিতে যে মাছগুলো দেখতে পাচ্ছেন তা হচ্ছে তেলাপিয়া মাছ, অনেকেই এগুলো বিভিন্ন নামে জেনে থাকে, তবে যার গ্রাম বাংলায় একমাত্র নাম তেলাপিয়া। অবশ্য খাবার দিতে এসেছি পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার। পাশাপাশি তেলাপিয়া মাছগুলো এমনিতেই বাচ্চা উৎপাদন করে এবং খাবার পেয়ে বড় হয় আবার বাচ্চা উৎপাদন করে এভাবেই হতে থাকে। তাই তেলাপিয়া মাছ আর বাজার থেকে কিনে পুকুরে দেওয়া লাগে না। তবে এই ক্ষেত্রে আপনারা তেলাপিয়া মাছকে একটি লাভজনক মাছ হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। মেইন উদ্দেশ্য পাঙ্গাস মাছ চাষ করা কিন্তু পাশাপাশি তেলাপিয়া মাছ সহ অন্যান্য মাছ হয়ে যায় যদি একটু খাবার বেশি করে পুকুরে দেওয়া হয়। শুধু পাঙ্গাস আর তেলাপিয়া নয় এখানে রয়েছে রুই মাছ কাতলা মাছ মৃগেল মাছ জাপানি মাছ বাটা মাছ সরপুটি সিলভার সহ নাম জানা-অজানা আরো অনেক প্রকার মাছ। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে আমি একটি মাচার উপরে অবস্থান করেছি, এই মাচা নিজের বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কেটে তৈরি করা হয়েছিল। মাচার উপর দাঁড়িয়ে মাছের খাবার দেয়ার সুবিধায় একটাই, তা হচ্ছে মাছের খাবারগুলো সম্পূর্ণ রূপে মাছে খেতে পারে। মাছের খাবারগুলো পুকুরের মধ্যে একটু দূরে দেওয়া যায়। এতে খাবার নষ্ট হয় না ছোট বড় সকল প্রকার মাছ খেতে পারে। আর এ মাছের খাবার দেওয়া মাচাগুলো নিজেরাই তৈরি করতে হয়, নিজের সুবিধামতো করে।
মাছের খাবার দেওয়া সবচেয়ে ভালো লাগার মুহূর্তে একটাই যে নির্দিষ্ট সময়ে যদি প্রতিনিয়ত মাছের খাবার দেয়া হয় সে মুহূর্তে মাছগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় এসে অবস্থান করে এবং সেখানে খেলা করতে থাকে। যখনই কোন সাড়া শব্দ পায় বা বুঝতে পারে নির্দিষ্ট সময়ে তাদের খেতে দিতে এসেছি ঠিক তখন তারা আরো জোরেশোরে খেলা করা শুরু করে। আজ প্রথমত যখন একটু খাবার ফেলতে শুরু করি তখনই এরকম ভাবে আনন্দসহকারে খেলা শুরু করে দেয় আর ধরে ধরে খাবার খেতে থাকে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিকেল মুহুর্তে মাছের খাবার দিতে কারণ এই মুহূর্তে ঝিরিঝিরি বাতাস বয় আর রোদের তাপ তখন কমতে থাকে তখন মাছের খাবার দেওয়া এই মাচার উপর বসে ধীরে শুস্থে মাছের খাবার দেওয়া হয়, আর আনন্দ উপভোগ করা যায়। যারা এমন ভাবে মাছের খাবার পুকুরে দিয়ে থাকেন অবশ্য তারাই জানেন কতটা আনন্দ ঘন মুহূর্ত বিরাজ করে মনের মধ্যে তখন। আর এমন মুহূর্তে যদি প্রিয়জন পাশে থাকে তখন তো ভালোলাগার শেষ থাকে না। মাঝেমধ্যে আমার পরিবার আমার সাথে পুকুর পাড়ে যেয়ে থাকে আমি মাছের খাবার দেই আর সেই পুকুর পাড়ে সবজি বাগান থেকে সবজি তোলে। অবশ্য এই মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগে আমার। যাইহোক আমরা মাছের খাবার দুই বেলা দিয়ে থাকি, অনেকের তিন বেলা দিয়ে থাকে। আমরা অবশ্য মাছের খাবার সকাল ছয়টা থেকে সাতটা এর মধ্যে একবার দিয়ে থাকি এবং বিকেল টাইমে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা এর মধ্যে দিয়ে থাকি। সকাল মুহূর্তে রোদের তাপ সৃষ্টি হয় তাই একটু সকালে সকালে দিয়া ভালো হয়। অন্যদিকে পাঙ্গাস মাছের খাবার বলে কথা অন্যান্য মাছ দূরে অবস্থান করে থাকে আর পাঙ্গাস মাছ খুব ভালোভাবে খেতে পারে সকাল মুহূর্তে।
তবে বিকেল মুহূর্তে শুধু পাঙ্গাস মাছ একা খেতে পারে না, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন মাছ এসে পাঙ্গাসের সাথে প্রতিযোগিতা করে খেতে থাকে। আর আমরা জানি রাত্রী কালীন মুহূর্তে মাছের অক্সিজেনের একটু ঘাটতি হয় তাই সকাল ভরে মাছগুলো ভেসে থাকে, তবে পাঙ্গাস মাছের অক্সিজেনের ঘাটতি হয় বলে মনে হয় না যার জন্য তারা সব সময় খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। তাই সকাল মুহূর্তটা ফ্রি ভাবে পাঙ্গাস মাছ একা খাবার গ্রহণ করতে পারে অন্যান্য মাছের আক্রমণ বা প্রতিযোগিতা খুব কম থাকে।
যাইহোক আপনাদের মাঝে যেই ফটো আর ভিডিও তুলে ধরছি এগুলো বিকেল মুহূর্তের, তাই এই মুহূর্তে ঝিরিঝিরি বাতাসে মাছের খাবার দিতে যেমন ভালো লাগে তেমন ভালো লাগে কিছুটা সময় বসে থাকতে। তাই খাবার দেওয়ার এই মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। মাছের খাবার দিতে দিতে যখন দেখা যায় খাবার শেষ হয়ে আসছে ঠিক এমন একটি মুহূর্তে মাছের পেট যদি ভরে যায় তাহলে মাছ আস্তে আস্তে দূরে সরে যেতে থাকে। আর যখন একাধিক পুকুরে মাছের খাবার দেওয়া শেষ হয় তখন এই মাছের খাবার দেওয়া মাচায় কিছুটা সময় বসে থেকে রেস্ট করতে বেশ ভালো লাগে। তবে অনেকদিন মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে আপনাদের সাথে চ্যাট করেছি বা কমেন্ট অথবা পোস্ট লিখেছি। যেন বিকেল মুহূর্তটা একটা অন্যরকম ভালোলাগায় পরিণত হয়েছে আর এ ভালোলাগার মুহূর্তটা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম আজকের এই পোস্টে। আগামীতেও তুলে ধরব তবে সেই পোস্টগুলো দেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে সকলকে। ফটোগ্রাফিতে পানির ঢেউ দেখেই বুঝতে পারছেন মাছের খাবার খাওয়ার মুহূর্ত পানি কতটা ঢেউ হয়ে থাকে আর পাশাপাশি ধীরে ধীরে বাতাস বইলে পুকুরে পানের অবস্থা কেমন হয়। যাইহোক কাল বিকেলের এই সুন্দর মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
আশা করি আপনারা মাছের খাবার দেওয়ার এই ভিডিও ধারণটা খুব মনোযোগ সহকারে দেখবেন এবং বুঝতে পারবেন কতটা ভালো লাগা আর কতটা সুন্দর অনুভূতি বিরাজমান থাকে এই মুহূর্তে। তবে যেন প্রকৃতির মাঝে বেশি সুখ আর এই প্রকৃতির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় মনের প্রফুল্লতা। সকলের ভিডিওটা দেখার অনুরোধ রইলো।
মাছ চাষ করলে অন্যরকম একটি মুহূর্ত হচ্ছে মাছকে খাবার দেয়ার সময়ের মুহূর্ত।ওই সময় মাছগুলো একত্রিত হয়ে খাবারের জন্য লাফালাফি করে দেখতেও অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ চমৎকার একটি দৃশ্যপট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মাছের খাবার দেওয়ার মুহূর্তটা খুবই আনন্দদায়ক সময়
ভাইয়া আপনার মাছের খাবার দেওয়ার মূহুর্ত পড়ে ও ভিডিও দেখে বেশ ভালোই লাগলো।আসলে ভাইয়া আমাদের এদিকে তেমন কেউ মাছ চাষ করে না, তাই এভাবে কখনো দেখা হয়নি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগল। আর আপনি খাবার দিয়েছেন আর সাথে প্রিয়জন সবজি তুললে সত্যি অনেক আনন্দ লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভাবি পাশে থাকলে তখন খুবই ভালো লাগে আমার
চমৎকার লেগেছে ভাইয় আপনার তেলাপিয়া মাছ চাষের দৃশ্য দেখে। পুকুর তো একদম কালো হয়ে গেছে মাঝে ভরে। মাশাআল্লাহ এত সুন্দর চাষ হয়েছে আপনি খাবার দিতে এসে তো সবাই খাওয়ার জন্য হৈচৈ করতেছে। আশা করি ভালো চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি লাভবান হবেন অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু মাছের এমন সুন্দর দৃশ্য খুব ভালো লাগে। সুন্দর কমেন্ট পড়ে খুশি হলাম।
মাছ চাষ করা আমার খুব শখের। তবে ব্যস্ততার কারণে মাছ চাষ করা হয় না। আসলে পুকুরে যখন খাবার দেওয়া হয় মাছ গুলো যখন খাবার খায় তা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। মাছের খাবার দেওয়ার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
চেষ্টা করবেন ভাইজান মাছ চাষ করার জন্য, মন ভালো থাকবে
মাছের খাবার দেবার সময় যখন মাছগুলো সব এক জায়গায় এসে খাবার খেতে থাকে বিষয়টা দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। দীর্ঘদিন আমি মাছের খাবার দেবার সাথে সম্পৃক্ত থেকেছে তাই এমন সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য আমার অনেক বার হয়েছে।
হ্যাঁ এই ভালো লাগাটাই তো ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মাছের খাবার দেওয়ার মুহূর্ত। আসলে কিছুদিন আগে আমিও এই পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। আসলে বিকেল বেলায় মাছের খাবার দেওয়ার মুহূর্তগুলো বেশ ভালই লাগে। আপনাদের পুকুরে দেখছি অনেক মাছ রয়েছে মামা। মাছগুলো বেশ ভালোভাবেই খাচ্ছে। বর্তমান সময়ে মাছের খাবারের দাম অনেক তাই মাছ চাষিরা আর বেশি লাভবান হচ্ছে না। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক কথা বলেছ মাম্মা।
যারা পুকুরে মাছ চাষ করে তারা বুঝে মাছ চাষের মজা কি রকম। তবে আপনি পুকুরে অনেক ধরনের মাছ চাষ করলেন। আমি শুনেছিলাম পাংকাস মাছ নাকি ছোট অন্য মাছের বাচ্চাগুলো খেয়ে ফেলে। কথাটি ঠিক কতটুকু সত্য জানিনা। আপনি দিনে দুই থেকে তিনবার পুকুরে মাছের খাবার দেন। একটা জিনিস শুনে খুব ভালো লাগলো যখন আপনি পুকুরে মাছের খাবার দেন তখন আপনার পরিবার পুকুর পাড়ে সবজি তুলে এবং সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বেশি বয়স্ক পাঙ্গাস মাছগুলো যেমন দুই বছর তিন বছর হয়ে যায় তারা কিছু ছোট ছোট মাছের বাচ্চা খেয়ে থাকে
মাছের খাবার দেওয়ার মুহূর্তের ভিডিওগ্রাফিটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো ভাই। পুকুরের পানি খুব স্বচ্ছ মনে হচ্ছে। মাছ চাষ করা আসলেই খুব কঠিন কাজ। তবে মাঝে মধ্যে বেশ আনন্দও লাগে। লেগে থাকুন ভাই, আশা করি ভালো কিছু হবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এমনিতেই অনেক সুন্দর ও ভালোলাগার মুহূর্ত হয়ে থাকে তখন যখন মাছের খাবার দেই
আপনি তো অনেক ধরনের মাছের পোনা পুকুরের মধ্যে চাষ করেছেন। আসলে মাছ চাষ করতে পারলে নিজের জন্য ভালো এবং দেশের জন্য ভালো। শুনে খুব ভালো লাগলো প্রত্যেকদিনের দুই থেকে তিনবার মাছের খাবার দিন। এবং অনেক সময় আপনার ওয়াইফ কুকুর পারে যাই আপনার সাথে এবং শাকসবজি গুলো দেখাশোনা করে। পোস্টটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দীর্ঘদিন চেষ্টা করছি ভাইজান মাছ চাষ করতে