লাইফ স্টাইল :- হাজবেন্ডের চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে বাড়ির আয়োজনের সুন্দর একটি মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি সব সময় নিজের কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি। আজকে আবারো আরো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আজকের এই পোস্টটি দেখেও আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে আমার হাজবেন্ডের এক চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের কথা বাতি চলতে লাগলো। তারপর একদিন আমি আমার বাবার বাড়িতে ছিলাম তখন শুনলাম তার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। তারপর আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে কিছুদিন পরে চলে আসলাম। যেদিন বিকেলে এসেছিলাম সেদিন আমার হাজবেন্ডের চাচাতো ভাইয়ের গায়ে হলুদ ছিল। বাড়ির চারপাশে খুব সুন্দর করে লাইটিং দিয়ে ডেকোরেশন করল। বিশেষ করে আমাদের বাড়ির সামনে বড় একটি গেট এবং চারপাশ সুন্দর ডেকোরেশন করল।
আমাদের ঘরের সামনেও ছোট একটি গেট বিভিন্ন রকম ফুল দিয়ে সাজিয়ে ছিল। তাই বিকেল বেলা এসব কিছু দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ করে এরকম লাইটিং দেখে আমার মেয়ে তো ভীষণ খুশি হল। কারণ ছোট বাচ্চারা এরকম লাইটিং দেখলে অনেক আনন্দিত হয়। তাই আমরা প্রথম দিক থেকেই কিভাবে লোকজন আসতে শুরু করল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব কিছু দেখতেছিলাম। মেহমানরা আসার প্রথম রাস্তাটা ছিল আমাদের ঘরের উঠানের সামনে। তাই কে কখন আসতেছে আমরা দেখতে পাই। ঘর থেকে বের হলে তাদের এরকম সুন্দর আয়োজন দেখা যায়।
আর এই বিয়ে বাড়ির মধ্যে এত সুন্দর লাইটিং করেছে চারপাশ যেন সন্ধ্যার সময় আলোকিত হয়ে পরলো। বিশেষ করে বিকাল থেকে লাইট গুলো জ্বালিয়ে রেখেছিল। তাই চারপাশটা দেখতে এমনিতেও ভালো লাগলো। আমরা তো সন্ধ্যার পরে যখন বাহিরে একটু ঘুরতে বের হলাম তখনও লাইটিং দেখে আমার মেয়ে তো ভীষণ খুশি ছিল। কারণ গায়ে হলুদের আগের এই মুহূর্তটা ও আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে চারপাশের লাইটিং এবং ডেকোরেশন গুলো দেখতে ভালো লাগে। তারপর আমার শশুর বাড়ির কয়েকজন মিলে আমরা উঠোনে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম সবকিছু।
তারপর রাস্তার সামনের দিকে গিয়েও বড় গেট তাকেও দেখলাম। তখন দেখলাম গেটের চারপাশের লাইটিং গুলো খুব সুন্দর করে লাগিয়েছে। তখন গেট দেখে আমার মেয়েও ভীষণ খুশি হলো। কারণ আমার মেয়ে এ এবার সহ তিনটি বিয়ে খেতে পারল। সেজন্য এত সুন্দর লাইটিং দেখে ভীষণ খুশি হচ্ছে। এখন গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে পারে তাই চারপাশ দৌড়াদৌড়ি করে দেখতে লাগলো। আমি নিজের পিছনে ঘুরে ঘুরে দেখতে। তারপর বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা হয়ে আসলো তখন চারপাশে সবাই হলুদের জন্য রেডি হতে লাগলো। কারণ বিয়ে মানেই তো খাওয়া দাওয়া এবং রেডি হওয়া।
তাই চারপাশে ছোট ছোট বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করতেছিল। আমি নিজেও বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবকিছু উপভোগ করলাম। কারণ আমার শ্বশুরবাড়িতে আমার এই প্রথম বিয়ের দাওয়াত খাওয়া। এর আগেও একটা দুটো বিয়ে হয়েছিল তখন আমি ছিলাম না। কারন আমি তখন আমার বাবার বাড়িতে ছিলাম। যাইহোক তাই এবার যখন শ্বশুরবাড়িতে প্রথম কারোর বিয়ের দাওয়াত পেলাম তখন বেশ আনন্দের সাথে সবকিছু উপভোগ করতে লাগলাম। আমার মেয়েও আমার সাথে এই প্রথম আর দাদার বাড়িতে একটি বিয়ের দাওয়াত পেল। তাই দুজনেই বেশ খুশি।
সেজন্য বিকেল থেকেই সবকিছু আনন্দের সাথে দুজনে উপভোগ করলাম। আমার হাজবেন্ডের চাচাতো ভাই তার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। তাই সবকিছুর দিক থেকে ভালো করেই আমরা উপভোগ করলাম। আর দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে আসলো। চারপাশে বাচ্চাদের ছোটা ছুটি এবং খাওয়া দাওয়ায় সবকিছু মেতে উঠল। আমি আর আমার মেয়েও রেডি হতে তখন ঘরে চলে আসলাম। যাইহোক আজ এই পর্যন্ত হলুদের দিনে আমার মেয়েকে কিভাবে সাজালাম সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকবেন। খুব শীঘ্রই পরের পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। আশা করে আজকের পর্ব আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে।(চলবে)
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1896570682978549776?t=xj3qXK_Yl9m5chN27O5YcA&s=19
বিয়েবাড়ির আনন্দ, লাইটিংয়ের ঝলক আর চারপাশের উৎসবমুখর পরিবেশ । বিশেষ করে আপনার মেয়ের দাঁত বের করা খুশি আর দৌড়াদৌড়ির বর্ণনা সত্যিই দারুণ লাগলো। শ্বশুরবাড়িতে প্রথমবারের মতো এমন উৎসবে অংশ নেওয়ার অনুভূতিটাও সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। পরের পর্বে অপেক্ষায় রইলাম।
বিয়েবাড়ি মানে আনন্দের স্থান। আপনি ঠিক সে আনন্দের স্থানে অবস্থান করে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার চমৎকার এই সময় কাটানোর মুহূর্ত খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। দোয়া করি সেই নবদম্পতির জন্য।
ভাইয়ার চাচাতো ভাইয়ার বিয়ে তবে তো আনন্দ আর আনন্দ।সাজানোটা খুব সুন্দর হয়েছে।সবাই মিলে খুব আনন্দ করতে পারবেন আশাকরি।এটা কেমন হলো আপু দেখতে দেখতে মেয়ের সাজানোটা আর দেখা হলো না।পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।কি আর করার, থাকলাম অপেক্ষায়। তবে বুঝতে পেরেছি অনুভূতি গুলো পড়ে খুব আনন্দে কাটিয়েছেন প্রতিটি মূহুর্ত।