বাইডেনের আত্বকাহিনী (১০ ভাগ লাজুক খ্যাঁকের জন্য)
আপনার বিড়ালটি দেখছেন এটি নাম বাইডেন।আমার স্টুডেন্ট এর ছোট বোন নিতু সে খুব পছন্দ করে এর আগে একটি বিড়াল ছিল কালো বিড়াল সে খুব যত্ন করে ছোটবেলা থেকে বিড়াল ডাকে বড় করেছিল কিন্তু হঠাৎ একদিন বাসা থেকে চলে যায় তখন সে সদ্য জন্ম নেওয়া একটি বিড়ালের বাচ্চা খেলতে খেলতে তার বাসার ভীতর ঢুকে পরে আমি তখন তার বড় বোন তুনিকে পড়াচ্ছিলাম। নিতু দৌড়ে এসে আপামণি আপামণি বলে চিল্লাই বলে আমার আমার নতুন বিড়াল দেখো কত সুন্দর। তখন সবাই মিলে নতুন বিয়ের জন্য একটি নাম চিন্তা করলাম। হুঁট করেই নিতু বলে উঠলো আমার এই বিড়ালের নাম বাইডেন। আমি তার নাম রাখার বুদ্ধিমত্তা দেখে সত্যিই হতভম্ব হয়ে গেলাম তখন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নামের শয়তান বিড়ালের নাম রেখেছে। সে কি মনে করে রেখেছে তা জানি না তবে যখন জিজ্ঞেস করলাম তুমি বাইডেন নাম কেন রাখলে। কোথায় পেলে তুমি এ নাম তখন সে বলল ওই যে পত্রিকায় দেখেছিলাম একদিন। বড় করে লেখা ছিল বাইডেন। আমার বুঝতে বাকি থাকেনা যে খবরের কাগজে প্রতিনিয়ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে নিয়ে বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয় সেখান থেকে নামতে দেখেছে এবং তার পছন্দ হয়েছে। তারপর থেকেই বিড়ালের বাচ্চাটিকে আপনার বাইডেন বলে ডাকি ।
বাইডেন ধীরে ধীরে আমাদের চোখের সামনে বড় হয়ে যাচ্ছে আমি যখন পড়াই তখন বিড়াল সারাক্ষণ আমার উপর আসবে। বিড়ালটিকে খুব কিউট লাগে কারন এই কালার অনেক সুন্দর ।একটুও দুষ্টমি করেনা। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মতো তারও একটা রাজ্য আছে যেখানে সে একাই রাজত্ব করে তার কোনো বিরোধী দল নেই। তার যখন যা ইচ্ছা যা খেতে ইচ্ছা যেখানে ঘুমানোর ইচ্ছা সে ঘুমাচ্ছে। কখন এসে নিতুর সাথে টয়লেটে যায় কখনোবা সবাই ঘুমায় কখনো বেডে কখনো দেখবেন বই পড়ছে। আমি দেখি মাঝে মাঝেই নিতু বাইডেনকে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাচ্ছে। মাঝে মাঝে কিছু কিছু বিষয় এত ভালো লাগে ছোট একটি প্রাণীর প্রতি একটি ছোট মেয়ের এত মায়া এত ভালোবাসার জন্য গেছে যে ভালবাসায় কোন স্বার্থ নেই যে ভালোবাসা কোন কিছু পাওয়ার বিনিময় হয় না। আমরা যদি চাই যত বড় হিংস্র প্রাণী হোক না কেন ভালোবাসা দিয়ে কিছুটা হলেও তার পোষ মানানো যায়। আবার বিভিন্ন সময় দেখিছি এমনকি রাজাদের ইতিহাস থেকে জেনেছি সিংহকে তারা পৌষ মানিয়েছিল। সত্তিকারের ভালবাসলে সবকিছুই সম্ভব। হঠাৎ একদিন বাইডেন অসুস্থ হয়ে পরলো সেদিন আমি দেখেছি নিতুর কি ব্যস্ততা তার চিকিৎসার জন্য সে পুরোটা সময় দেখলাম তাকে কোলে করে নিয়ে যেখানে যাচ্ছে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ আজ মানবতার দিকে দেখুন মানুষ মানুষকে কিভাবে হত্যা করছে। মানবিকতা আছে কত নিচে নেমে গেছে। মানুষের প্রাণ কে এতটা তুচ্ছ মনে করে তুলেছে যে পাখির মত পিপড়ার মত তারা মানুষ মারছে তাদের হৃদয় আজ কাঁদে না তাদের হৃদয় এতটা কঠিন রূপে প্রতীয়মান হয়েছে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে, ক্ষমতার লোভে অর্থের লোভে, বিশ্বের কাছে নিজের শক্তি প্রদর্শনের জন্য হাজারো মানুষকে তাড়া বলি দিচ্ছে। অথচ এই মানুষগুলোকে ভালোবাসা যেত সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যেত পারস্পারিক সৌহার্দ্য ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে ভবিষ্যতের পৃথিবীটাকে সুস্থ রাখা যেত।
আমরা সব সময় অর্থের পেছনে ছুটি, ক্ষমতার পেছনে ছুটি কিন্তু আসলে সুখ কি এখানে। প্রচুর অর্থের মালিক কে আপনি এর মানে এই আপনি অনেক সুখী? তা কখনই নয় অর্থবিত্ত ক্ষমতা প্রতিপত্তি কখনোই কাউকে সুখী করতে পারে না বরং মানুষের ভালো না থাকার পেছনের কারণগুলো হলো এগুলা। অথচ চাইলেই দুবেলা পেট ভরে কি সুখে থাকা যায় মানুষকে ভালোবাসা যায় পরার্থে মন কাঁদেনা , সেই মন যাই হোক মানবিক হতে পারে না। এই ছোট্ট মেয়ে ও বিড়ালের ভালোবাসা দিকে তাকান কতটা নিঃস্বার্থভাবে তারা একে অপরকে ভালবাসছে। আমরা ভালো থাকার জন্য নিজেদের সুখের জন্য যেকোনো কিছু অবলম্বন করতে পারি তা শুধু অর্থ বা ক্ষমতা হতে হবে তা না। আপনি ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অনেক সুখী হতে পারবেন আপনি অনেক সুন্দর জীবনযাপন করতে পারবেন আপনার চাওয়া যত বড় হবে আপনার আকাঙ্ক্ষা যত বেশি হবে আপনি তত সুখী হবেন। দেখুন বিড়ালটি কত নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের অর্থ বিত্ত নেই কিন্তু দিনশেষে শান্তিতে ঘুমাতে পারে। জীবনের আসল সার্থকতা এখানে আসলে।বিড়ালটি সদ্য ঘুম ভেঙ্গে উঠছে। তার নবাবী হাল দেখে বোঝা যাচ্ছে। এই বেড-টি আমার স্টুডেন্টের রুমে ।আমি সাধারণত নিতুর থেকে রুমে পড়াই।। পুরো বেডে সে রাজত্ব করছিল। ঘুম থেকে উঠেই বিড়ালটি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে মনে মনে সে হয়তো বলছে আমাকে হয়তো ঘুমাতে দিচ্ছে না
নীতু আর বিড়ালের গল্প আমি প্রতিনিয়ত উপভোগ করি তা আমার বেশ ভালো লাগে। তারা একে অপরের অনেক সুন্দর বন্ধু হয়ে গেছে। নিতু যেখানে যায় বাইরের সেখানে হয়ে যায়। আজও যখন আমি টিউশনি তে গেলাম তখন বিড়ালটি দৌড়ে এসে আমার কোলে উঠছো আমি ওর হাত বুলিয়ে দিলাম ও যেন প্রশান্তির খুঁজে পেল। আমাদের নিতু এবং বিড়ালের মত নিষ্পাপ হৃদয় হতে হবে কাউকে ভালবাসলে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসতে হবে। সব স্বার্থ ত্যাগ করে ভালবাসতে হবে। হয়তো এই বিড়াল যখন বড় হবে সে তার সংসার খোঁজার জন্য এই বাসা থেকে অন্য বাসায় পারি দেবে বা অন্য এলাকায়। কিন্তু তাকে ধরে রাখার মতো ক্ষমতা বা হাত হয়তো মানুষের নেই। কারণ সুখের খোঁজ সবাই করে কিন্তু বিড়ালটির ঘুম আমাদেরএকটি ছবি একটি কথা মনে করিয়ে যে । আপনি যদি প্রাণীকে পবিত্র ভাবে ভালবাসতে জানেন ।মানুষকে আপন করতে জানেন তাহলে তারাও আপনাকে অবশ্যই আপন করবে।কিন্তু এর পক্ষে অর্থ-বিত্তশালী মানুষের পক্ষে কখনই এত প্রশান্তির ঘুম কমানো যাবেনা
ধন্যবাদ








বাহ খুব লিখেছেন আপু। বাইডেন নাম শুনেই বুঝেছিলাম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিয়ে লিখবেন হয়তো। পরে পড়ে দেখি বিড়ালের নাম বাইডেন! সেটাও আপনার স্টুডেন্ট এর দেয়া নাম। আপনার স্টুডেন্ট নিতু নিউজপেপার থেকে বিড়ালের নামটি রেখেছে জেনে অবাক হলাম। আসলে প্রাণীকে ভালোবাসার মতো নিঃস্বার্থ ভালোবাসা হয়তো আর কিছু নেই। অর্থ আর ক্ষমতার লোভে পড়ে আমাদের বিবেক এখন মনুষ্যত্ব হারিয়েছে। কিন্তু সেখানে নিতু ছোট একটি প্রাণীর প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দৃষ্টান্ত থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। আপনাকে ধন্যবাদ আপু
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার দেখি বিড়াল এর প্রতি ভালোবাসা অনেক। আসলে বিড়াল মানুষের খুব কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। আমাদের বাসায় একটি বিড়াল রয়েছে। বিড়ালকে
দেখে আমার খুব ভাল লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাইডেন থেকে সাবধানে থাকবেন আপু 😅😅। অনেক সুন্দর লিখেছেন। আপনার এই লেখাগুলো পড়ে ভালোই লাগলো। সেইসাথে বাইডেনের জন্য শুভকামনা রইলো। তবে যাই হোক আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা এবং অনেক সুন্দর করে এই পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।