কৃতঘ্ন মানুষ।।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid420 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
আজকে কিছু চরম সত্য কথা বলব বেইমান লোকদের নিয়ে।কৃতঘ্ন ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করলে প্রথমেই বোঝা যায়, তারা হলো সেইসব মানুষ যারা উপকার পেয়েও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে জানে না। সমাজে এমন মানুষ সর্বদাই ছিল এবং এখনো আছে। কৃতঘ্ন ব্যক্তিরা সাধারণত অন্যের সাহায্য, সহযোগিতা কিংবা ত্যাগকে স্বাভাবিক মনে করে নেয় এবং উপকার পাওয়ার পরেও ধন্যবাদ দেওয়া তো দূরের কথা, অনেক সময় উল্টো অবহেলা কিংবা কষ্টদায়ক আচরণ করে। তাদের স্বভাব হলো স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা, যা সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে নষ্ট করে দেয়।
কৃতঘ্ন মানুষদের একটি বড় সমস্যা হলো তারা অন্যের মঙ্গল বা অবদানকে গুরুত্ব দেয় না। যেমন, কেউ কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ালো, সহায়তা করলো বা জীবনে কোনো বড় সুযোগ এনে দিলো, কিন্তু কৃতঘ্ন ব্যক্তি তা মনে রাখে না। বরং সুযোগ পেলেই সেই মানুষটিকে ছোট করে দেখা বা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে শুধু উপকারকারীই নয়, আশেপাশের মানুষও কষ্ট পায়। সমাজে যখন কৃতজ্ঞতা হারিয়ে যায়, তখন সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যায় এবং আস্থার অভাব তৈরি হয়। যার ফলস্বরূপ আমরা এখন এবিবি এবং @rme দাদাকে হারাতে বসেছি।
মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকেও কৃতঘ্নতার ক্ষতি রয়েছে। যে মানুষ কৃতজ্ঞ হতে জানে না, সে আসলে নিজের মনকেও অশান্ত রাখে। কারণ কৃতজ্ঞতা মানুষের মনের প্রশান্তি আনে, কিন্তু কৃতঘ্নতা মনের ভেতরে সবসময় অভাব, অসন্তোষ আর ঈর্ষার জন্ম দেয়। কৃতঘ্ন ব্যক্তিরা প্রায়ই নিজেদের দুর্ভাগা মনে করে এবং অন্যদের সাফল্যে খুশি হতে পারে না।
ধর্মীয় এবং নৈতিক শিক্ষাতেও কৃতজ্ঞ থাকার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইসলাম, হিন্দু, খ্রিস্টান কিংবা অন্যান্য ধর্মে বলা হয়েছে, মানুষকে উপকার মনে রাখতে হবে এবং কৃতজ্ঞ হতে হবে। কৃতঘ্নতা শুধু মানুষের প্রতি নয়, সৃষ্টিকর্তার প্রতিও একধরনের অবমাননা। কারণ আমরা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই অসংখ্য আশীর্বাদে ঘেরা, অথচ তা যদি না স্বীকার করি তবে আমরা একপ্রকার কৃতঘ্ন জীবনই যাপন করি।
ব্যক্তিগত জীবনে কৃতঘ্ন মানুষদের থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। কারণ তারা কখনো আন্তরিক হতে পারে না এবং সুযোগ পেলেই সম্পর্ক ভেঙে দেয়। বরং কৃতজ্ঞ মানুষদের সাথে মেলামেশা করলে জীবনে ইতিবাচকতা বাড়ে, সম্পর্ক দৃঢ় হয় এবং মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।
সবশেষে বলি, কৃতঘ্ন ব্যক্তিরা সমাজ ও সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। কৃতজ্ঞতা মানুষের একটি মহৎ গুণ, যা শুধু অন্যকে সম্মানিত করে না, বরং নিজের জীবনকেও সুন্দর করে তোলে। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত কৃতঘ্নতা থেকে দূরে থেকে কৃতজ্ঞতার মানসিকতা গড়ে তোলা, যাতে সমাজে শান্তি, আস্থা এবং সৌহার্দ্য বজায় থাকে।
কিন্তু আমরা আর মানুষ হলাম কই, আমরা আরও দিন দিন নিমক হারাম, বেইমান এবং কৃতঘ্ন হয়ে উঠছি।আমরা হয়তো সকলেই দাদার সেই অবদানগুলোকে ভুলে যাচ্ছি। সাবধান।
আমার লিখে যাওয়া প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথ আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো কমেন্ট বক্সে দেখতে পাবো ।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
https://x.com/mdetshahidislam/status/1962533684059500840?t=d9ne_Lx70uFqwkrjxJecIA&s=19
https://x.com/mdetshahidislam/status/1962532947137056984?t=5tn8yAc_l2MKOO7wdKM6-Q&s=19
X PROMOTION
https://x.com/mdetshahidislam/status/1962667828609491252?t=SmfisF3mwAPWEsWmTH0cPg&s=19