Better Life With Steem || The Diary game || 13th March 2025
আজকের সকালটা যে খুব ভালো ভাবে শুরু হয়েছে সেটা বলবো না। বিগত দিন সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশের এক ঠাকুমা মারা গিয়েছিলো। তবে সেই মুহুর্তে তাকে দাহ করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়নি কারন সব কিছু যোগাড় করে যেতে যেতে অনেক রাত হয়ে যাবে আর ফিরতেও দেরি হবে।
তাই বাড়ির সকলে ঠিক করলো, আজ সব কিছু প্রস্তুত করে রাখবে এবং পর দিন সকালে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রতিবেশী হিসাবে তাদের সঙ্গে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। প্রতিটা বাড়ির থেকে অন্তত পক্ষে একজনকে যেতেই হয়। যদিও যাওয়ার জন্য এখানে কেউ জোর করছে না তবে এভাবেই প্রতিবেশীর একে অপরের প্রতি সহোযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়!
শেষ বার, শ্মশানে এসেছিলাম ঠাকুমা যখন মারা গিয়েছিলো তখন। তারপর আর আসা হয় নি। শ্মশানে গিয়ে প্রথমে দাদু ঠাকুমার কথা ভীষণ রকম মনে পড়তে লাগলো। সেই মানুষগুলোকে এখানেই বিদায় জানিয়েছিলাম।
তাই অনেক দিন পর এই স্থানে এসে দাদু ঠাকুমার কথা খুব মনে পড়ছিলো। তবে তাদের আর কোনো দিন ফিরে পাবো না এটা ভেবেও আরও বেশি মন খারাপ লাগছিলো। খুব কাছে পেতে মন চায় তাদের। তবে বাস্তবতা আমাদের সকলের মেনে নিতে হয়।
![]() |
---|
শ্মশানে পৌঁছানোর পর নিয়ম অনুযায়ী সকল কাজ আরম্ভ করলো। আমরা যারা সাথে গিয়েছিলাম তাদের তো তেমন কোনো কাজ ছিলো না তাই ওখানে বসে ছিলাম আর কয়েকটা পোস্ট ভেরিফিকেশন করছিলাম যেগুলো বিগত দিন রাতে বাকি ছিলো। আত্মীয় স্বজন সকলের মন মরা আর কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিলো।
আমাদের মাঝ থেকে কেউ চলে গেলে আমাদের মন অনেক বেশি ভারাক্রান্ত থাকে। তবে কারো কারো বিদায়ের অনুভূতি কিছুটা হলেও ভিন্ন হয়। এই ঠাকুমা অনেক দিন যাবত শয্যাশায়ী ছিলো, অনেক কষ্ট পাচ্ছিলো। তাই তার জীবনের সাথে সাথে তার কষ্টেরও সমাপ্তি হয়েছে!
শ্মশানে আমাদের প্রায় ৩ ঘন্টার মতো সময় লেগেছিলো। সেখান থেকে বাড়িতে এসে স্নান সেরে নিলাম। তারপর সেই কাকুর বাড়িতে খেতে যাওয়ার কথা ছিলো তবে আমি যাই নি। বাড়িতে খাওয়া শেষ করে কিছু সময় ঘুমিয়েছিলাম।
ঘুম থেকে উঠে মায়ের সাথে বিলে গরু আনতে গিয়েছিলাম। রাস্তা দিয়ে গরু আনতে বেশ কিছুটা ঝামেলায় পড়তে হয়। বিশেষ করে ছোট বাছুর থাকলে ওরা এদিন ওদিন ছোটাছুটি করে । গরু আনার সময় ওদের মুখে কাপড় বেধে দিতে হয় যেটাকে গ্রাম্য ভাষায় ঠুসি বলে। গরু যেন আশেপাশের ফসল না খেতে পারে এজন্য এটা দেওয়া হয়। যাই হোক, এভাবেই আমি আমার কার্যক্রম শেষ করলাম। ভালো থাকবেন।
আপনার প্রতিবেশী ঠাকুমা মারা গেছেন শুনে খারাপ লাগলো। মৃত্যু এমন একটা জিনিস যে সেটা যারই হোকনা না কেন শোনার পরে মনটা খারাপ হয়ে যায়। সাথে সাথে নিজেদের প্রিয়জন যাদেরকে আমরা হারিয়েছি তাদের কথা মনে পরে যায়। প্রতিবেশীর দায়িত্ব আরেক প্রতিবেশীর শেষযাত্রায় সঙ্গী হওয়া আর আপনি সেটাই করেছেন। সৃষ্টিকর্তা আপনার ঠাকুমার আত্মাকে শান্তিতে রাখুন।
মৃত্যু সব সময় বেদনাদায়ক। জন্মিলে মরিতে হইবে আর এটা সবাই মেনে নিতে বাধ্য। তবে সব কিছু বুঝে অবুঝের মতো কান্না করাটাই হয়ত প্রিয়জনের প্রতি অনুভূতির প্রতিচ্ছবি। পাশের বাড়ির ঠাকুমা মারা গিয়েছে তাই আমাদের ধর্ম মতে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে আর একারনে তার সাথে শেষ যাত্রায় গিয়েছিলাম। ভালো থাকবেন।
এই পৃথিবীতে কেউ থাকবে না আপনি আমি সবাইকে যেতে হবে শুধুমাত্র একটু মায়া যারা এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছে তাদের জন্য ভালোবাসা শ্মশানে গিয়ে আপনার দাদু আপনার ঠাকুমা সবার কথা খুব মনে পড়ছিল আসলে তাদেরকে আর কখনোই ফিরে পাবো না যাইহোক আপনার ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।