কাগজের নকশা - ৩
Hello Everyone,,,
বিগত অনেক দিন যাবত আপনাদের মাঝে কাগজের নতুন নতুন কিছু নকশা তৈরি করে সেগুলো শেয়ার করেছি। আমার ফ্রি সময়ে এই কাজগুলো করতে বেশ ভালোই লাগে। আমার পরিক্ষার সময় সূচি প্রকাশ করেছে তাই পড়াশোনা নিয়ে কিছুটা ব্যস্ত আছি।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই মন চাচ্ছিলো যে কাগজ দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করি। তবে সেটা আর করা হয় নি। অন্যান্য দিন বিকালের সময়টায় কোনো কাজ না থাকায় সেসময় নকশা তৈরি করতে বসি তবে আজ ঘুমিয়েছিলাম কিছু সময়। কেন জানি রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে না। দিনের বেলায়ও ভীষণ ঘুম পাচ্ছিলো কিন্তু ঘুমানোর মিনিট ১৫ পরে ঘুম ভেঙে গেলো।
বিগত দিন থেকে আমার শখের কম্পিউটার ঠিক ভাবে কাজ করছে না। কম্পিউটারের পাওয়ার অন করলে চালু হয়ে বন্দ হয়ে যাচ্ছে। নিজের শখের জিনিসের সমস্যা দেখা দিলে সেটা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমার ভালো লাগে না। কম্পিউটারের র্যাম কার্ডে ময়লা জমলে এমন হয় তাই কম্পিউটার খুলে সেটা পরিষ্কার করে দিলাম তবুও কাজ হলো না। হয়ত পাওয়া সাপ্লাইতে কোনো সমস্যা হয়েছে, যেটা ঠিক করতে এখন আমাকে খুলনা যেতে হবে!
![]() |
---|
কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো তাই তখন আর অন্য কাজ করার সময় পেলাম না। সন্ধ্যার সময় ডিজাইন তৈরি করবো কিন্তু বারবার কারেন্ট চলে যাচ্ছিলো তাই রাগ করে রাস্তায় বাতাসে গিয়ে বসে রইলাম। কিছু সময় পর সেখান থেকে বাড়িতে এসে কাগজ আর কাঁচি নিয়ে বসে পড়লাম।
আজ একটু ভিন্ন রকম ডিজাইন তৈরি করবো। তবে প্রথম কয়েকটা ধাপ অন্যগুলোর মতো একই। প্রথমে চতুর্ভুজ আকৃতির কাগজ নিয়ে কোনাকুনি ভাজ করে নিলাম। তাহলে সেটা ত্রিভুজ আকৃতির রূপ নেবে। তারপর ছবিতে দেখানো পদ্ধতির মতো ত্রিভুজ আকৃতির অংশকে মাঝ বরাবর ভাজ করে নিতে হবে এভাবে মোট দুইবার ভাজ করতে হবে।
![]() |
---|
দুইবার ভাজ করার পরও সেটা ত্রিভুজ আকৃতিই থাকবে। এবার পেন্সিলের সাহায্যে এমন নকশা আঁকিয়ে নিতে হবে।
যদিও আজকের ডিজাইন তৈরিতে পেন্সিল দিয়ে একে নেওয়াটা জরুরি নয় তবে বোঝার সুবিধার্থে আমি একে নিয়েছি।
![]() |
---|
আকিয়ে নেওয়া রেখা বরাবর কাঁচির সাহায্যে কেটে নেওয়ার পর আস্তে আস্তে কাগজের ভাজগুলো খুলতে হবে। সাবধানের সহিত ভাজগুলো খোলার পর দেখতে কিছুটা এমন লাগবে। ডিজাইনের এটুকু দেখার পর হয়ত অনেকটা খাপছাড়া মনে হচ্ছে, তাইনা!
আমাদের ডিজাইন পরিপূর্ণ করতে হলে একই পদ্ধতিতে এরকম দুটো ডিজাইন তৈরি করতে হবে। তাই একইভাবে এবং একই মাপের আরও একটা ডিজাইন তৈরি করো নিলাম। যেতেহু দুটো ডিজাইন মিলে একটা হবে তাই দুটো তৈরি করতে কিছুটা সময় লাগবে।
দুটো ডিজাইন তৈরি করার পর, ডিজাইনে চারদিকে ছড়িয়ে থাকে পাপড়ির মধ্যে মাঝের পাপড়িগুলো মাঝেখানে এনে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে। আমার কাছে আঠা ছিলো না তাই পিন আপ দিয়ে পিন করে নিলাম। দুটোই একই পদ্ধতিতে পিন আপ করে নিলাম।
এবার একটির উপর একটা বসিয়ে আবারও মাঝ বরাবর পিন দিয়ে লাগিয়ে নিলাম। আঠা দিয়ে লাগাতে পারলে ভালো হতো তবে যেহেতু আঠা নেই তাই যা আছে তা দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে হবে।
তারপর তৈরি হয়ে গেলো সম্পূর্ণ ডিজাইন। এরকম ডিজাইন অনেকের ঘরের দেয়াল লাগিয়ে রাখতে দেখেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
শখের জিনিস হঠাৎ করে যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন খুব খারাপ লাগে আমার ল্যাপটপ অনেকদিন ধরে আসলে অনেক বেশি স্লো কাজ করছে ওকে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে আপনি আপনার কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল আবার কারেন্ট চলে গেছে সেজন্য আপনি বাতাসে গিয়ে বসেছেন বর্তমান সময়ে গরমের অবস্থা যা হয়েছে কি আর বলব তবে আপনার নকশাটা অনেক সুন্দর হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার নকশা এবং আপনার মনের অনুভূতি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনার কাগজের নকশা খুবই সৃজনশীল এবং মনোমুগ্ধকর হয়েছে। আপনি যে ধৈর্য্য নিয়ে কাজটি করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। খুব ভালো লাগলো! এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।