সম্মান - Respect!

in Incredible India2 months ago
1000056493.png

সম্মান শব্দটি শুনলেই গুরুজনদের মুখগুলো সর্বাগ্রে চোখের সামনে ভেসে ওঠে!
শৈশব থেকে স্নেহ, ভালোবাসা আর সম্মান ব্যাক্তি বিশেষের মধ্যে মূলত আবদ্ধ হয়ে রয়েছে।

এর বাইরেও যে এই শব্দের সুবিশাল গুরুত্ব আছে সেটা মুষ্টিমেয় মানুষ শিখে বড় হয়েছে।
আজকে এই শব্দটি ব্যবহারের অন্য একটি দিক নিয়ে নিজের শিক্ষা, নিজের অনুভূতি তথা উপলব্ধি এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে হাজির হয়েছি।

কর্ম অর্থাৎ কাজ
মানুষ তথা সম্পর্কের বর্হিভূত বুদ্ধিজীবীদের বাইরে যেটা মানুষ ভুলতে বসেছে সেটা হলো, কর্মকে সম্মান করতে।

এর আগেও উল্লেখিত প্রকৃত অর্থে সম্মানকে সন্মানিত করতে নিজের নিজের অবস্থান থেকে কাজকে সম্মান সর্বাগ্রে শিখতে হবে।

সেটা যেকোনো কাজ হতে পারে, পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপশি বড়দের সম্মান করবার সাথে কাজকে যারা সম্মান করা শিখে বড় হয়, তারাই কয়লা থেকে হিরে নিষ্কাশনে সফল হতে সক্ষম।

IMG_20250505_234445.jpg
(বয়সের অজুহাতে বিশ্রমকে না বেছে, কাজকে বেছে এবং বাচিয়ে রেখেছেন)

কাজের সুবাদে বিভিন্ন জ্ঞানীগুণী মানুষের সংস্পর্শে আসার যে সুযোগ হয়েছে, তার সুবাদে আমি এটাই শিখেছি, যদি আমার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা কোনো দায়িত্ব দিয়ে থাকেন, সেটাকে যথাযথ ভাবে পালন করে, সময়মতো তাদের হাতে তুলে দেবার সময় চোখের দিকে তাকালে বিনাবাক্যে যে প্রশংসার উজ্জ্বলতা সেখানে দেখতে পাওয়া যায়, সেটাকেই বলে কর্ম থেকে উপার্জিত সম্মান।

এই সম্মান শিখতে হলে, কাজকে মন থেকে ভালবাসতে হবে, সেখানে যদি ব্যক্তিস্বার্থ, ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দ কাজ করে, তাহলে সেখানে একাগ্রতার চাইতে হিসেব বেশি নজরে পড়ে, আর এখানেই পার্থক্য সফল আর অসফল মানুষের চিন্তাধারার মধ্যে।

খেয়াল করলে দেখবেন, যারা সম্মান করা শেখে না, তারা জীবনের চলার পথে একটি পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে আটকে পড়ে!

বেঁচে থাকার লড়াই যেখানে হাতপেতে নয়, আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাকে বেছে নিয়েছেন কর্মের মাধ্যমে:-

IMG_20250505_234659.jpg
IMG_20250505_234621.jpg
IMG_20250505_234524.jpg

আর যারা নিজের তথা অন্যের কাজকে সম্মান করতে শিখে বড় হয় তারা যেমনি নিরহংকার হন, তেমনি তাদের মধ্যে একাগ্রতা কাজের প্রতি নজর কাড়ার মতন।

যারা সঠিক শিক্ষা পেয়ে বড় হয়নি তাদের কাছে উপরিউক্ত শব্দগুলো বাতুলতা মাত্র!

আর জীবনের পথে লড়াই করে যারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন তারাই শব্দটির অভ্যন্তরীণ অর্থ বুঝতে সক্ষম।

পূর্বেও উল্লেখিত যদি পেট বিনা পরিশ্রম ভর্তি থাকে, যদি চাইবার পূর্বেই পছন্দের জিনিষ হাতের তালুতে এসে উপস্থিত হয়, তাহলে জানবেন এরা গোটা জীবনে কোনোদিন কাজকে সম্মান করতে শিখবেন না, কারণ এদের শব্দকোষ এ পরিশ্রম শব্দ নেই, সস্তায় অধিক পেতে, বিনা পরিশ্রমে হাত পেতে পেতেই এরা অভ্যস্ত।

তাই কাজের আলাদা করে সম্মান আছে, এটা এদের কাছে হাস্যকর বিষয়।

অনেকেই ছক কষছে এটাও আমি জানি, অনেকেই মনে করছেন, তারা ছাড়া গতি নেই!
তবে, মনের দুরভিসন্ধি একজন প্রতি নিয়ত লক্ষ করছেন অন্তরালে বসে!

তাই, আজকে আমার দেশের মানুষ এবং এখানে জন্মগ্রহণ করে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের মানসিকতার সাথে অনেক দেশের তথা মানুষের শিক্ষায় বিস্তর বৈষম্য রয়েছে সেটা উন্নতির নিরিখে বিচার করলেই সুস্পষ্ট।

সেই দেশের মাটিতে জন্ম, সেই দেশের মাটিতে শিক্ষিত হয়ে মানুষের পাশাপশি কাজকে কিভাবে সম্মান করতে হয় সেটাও এই দেশ আমাকে শিখিয়েছে বলেই আমি গর্বিত গ্লোবালি চতুর্থ স্থানে অবস্থিত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশের মাটিতে বসবাস করছি, এই পর্যায়ে পৌঁছতে দেশ কাজকে সম্মান সর্বাগ্রে রেখেছে।

তাই চার দশমিক তিন নয় ট্রিলিয়ন জিডিপি দেশের নাগরিক হয়ে মানুষের পাশাপশি কাজকে সম্মান আমার এই মাটি থেকে শেখা পরিবারের পাশাপশি।
আমার দেশ আমার পরিবার। তার শিক্ষা আমার গর্ব। সেটাই শিক্ষা তথা অভিজ্ঞতা পালন করে চলেছি প্রতিনিয়ত।

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

আজকে আমার দেশের মানুষ এবং এখানে জন্মগ্রহণ করে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের মানসিকতার সাথে অনেক দেশের তথা মানুষের শিক্ষায় বিস্তর বৈষম্য রয়েছে সেটা উন্নতির নিরিখে বিচার করলেই সুস্পষ্ট।

আমার মনে হয় আমরা মানুষরা সব সময় দেশের সীমানা দিয়ে আমাদের ভাগ করে ফেলি নিজের অজান্তেই। ভূলে যাই যে যেখানেই থাকুক তার বড় পরিচয় মানুষ। এই দেশ, সেই দেশ, অমুক দেশ নিয়ে ভেদাভেদ করা মোটেও কাম্য নয়। মানুষ হয়ে মানুষকে সম্মান করবো এটাই আপনার লেখার মূলে, সেটা সে কোন দেশ থেকে এসেছে বড় ব্যাপার নয়। সবার কাছেই নিজ দেশ বড়। দেশ সবার আগে। আমার দেশ নিয়ে আমি গর্ব করবো তবে অন্য দেশকে ছোট করে নয়। কারণ ভালো খারাপ সব খানেই আছে। মন মানসিকতার পার্থক্য হয় মানুষ ভেদে, দেশের সীমানার সাথে এর সম্পর্ক নেই।

 2 months ago (edited)

@mukitsalafi অনেকদিন পর আমার লেখায় আপনার মন্তব্য দেখে খানিক অবাক যেমন হয়েছি, তেমনি ভালো লাগলো আপনার অভিমত জেনে।
এবার আপনার বক্তব্যের উত্তরে বলবো, আপনি হয়তো পৃথিবীর খবর কম রাখেন, যদি রাখতেন তাহলে বুঝতে পারতেন মানুষ বর্তমানে জাতি, ধর্ম তথা সীমানা নিয়ে অধিক মাথাব্যথা দেখাচ্ছে।

তার প্রমাণ কিছুদিন আগেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে প্রমাণিত।
প্রমাণ ছাড়া কিছু লিখি না, তাই যারা কাজ হিসেবে সন্ত্রাসবাদ কে বেছে নেয়, ধর্মকে প্রাধান্য দেয়, কর্মকে সম্মান না করে, এবং তার ফলাফলের কথা না ভেবে, তাদের নিয়ে বিশেষ কথা না আলোচনা করাই শ্রেয়।

সম্মান কর্মের দ্বারা অর্জিত, তাই কাউকে ছোটো বড় এই মাপকাঠিতে ওজন না করে, ইতিহাসের দিকে আর বর্তমান কর্মকাণ্ডের দিকে নজর রাখুন, সঙ্গে অবশ্যই নিজের কাজের দিকেও।

 last month 

স্রোতে গা যে আপ্নিও ভাসাবেন সেটা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, সারা বিশ্বের মানুষ কি করলো সেটাই কি মানদন্ড? আচ্ছা বলুন তো এই নারকীয় ঘটনার পরে আর কি কি হচ্ছে? আজকের হামলায় যারা মারা গেল তারা কি সবাই ওই ঘটনার সাথে যুক্ত? এই যে শিশু মারা গেল? হামলা হচ্ছে? এটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন? নাকি এখানেও আপ্নি গর্বিত? অবশ্য হতেই পারেন। হিংসাত্মক মনোভাব পরিহার করা উচিৎ সবার। দিন শেষেসবাই মানুষ। একজন সন্ত্রাসীকে মারার জন্য ১০ জন নিরাপরাধ মানুষ মারাটাও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত। জাতি হিসেবে অহংকার তাদেরই সাজে যারা এসবের ঊর্ধ্বে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় অনেক দেশ নিজেকে বড় বলে জারি করে, কিন্তু ভেতরে খবর নিলে দেখা যায় তাদের দেশেই সংখালঘূরা সবথেকে বেশি নির্যাতিত। আমি ইতিহাস নিয়ে অনেক পড়ি, জানি। আপনার ও জানা উচিৎ। শুধু একটা বিষয় নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। এর বাইরেও দুনিয়ায় অনেক কাজ থাকে মানুষের। আমি যেই কাজগুলো আমার ভালো লাগে সেগুলো করি, কোন একটা বিষয় নিয়ে সারাদিন রাত পড়ে থাকি না। আর নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই এখনো ভালোভাবে টিকে আছি এই দুনিয়ায়। আলহামদুলিল্লাহ।

Loading...
 2 months ago (edited)

সন্মান নিয়ে আপনি যেভাবে বিশ্লেষণ করেছেন তার কিছু বিষয় এর সাথে একমত হলেও বাকি অনেক কিছুর সাথেই একমত না।বিশেষ করে কোন দেশ নিয়ে কথা বলার সাথে সেটা যে দেশই হোক না কেন ।ব্যাক্তির ভুল হলে অবশ্যই আপ্নি সেটা নিয়ে কথা বলতে পারেন কিন্তু তার দেশ নিয়ে না।
আর আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদীদের দেখাও মিলে কম বেশি।এটা অসসিকার করার তেমন কোন সুযোগ নেই। এমনকি অনেক বড় বড় মৌলবাদী নেতাও আমরা দেখতে পাই ।
কাজকে অবশ্যই সন্মান করা উচিত সেটা আমিও মানি।আমাদের কমিউনিটির প্রতিটি সদস্যরই বর্তমানে একই অবস্থা দেখতেছি সে যে দেশের সদস্যই হোক না কেন ।কেউই বিশেষভাবে ভালো কাজ করছে না।ভালো যেমন সব জায়গায় আছে তেমনি খারাপও সবজায়গাতে আছে ।আগে আমরা যারা একসাথে ঢুকেছিলাম তারাই মূলত কাজ দিয়ে এই কমিউনিটিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম ।
তবে অন্যদের কারন জানি না কিন্তু আমার কারন জানি খারাপ করার।আমার নিজস্ব সমস্যার কারণে লিখতে পারতেছি না। চাইলেও আর আগের মতো কাজ করতেপারতেছি না।কিন্তু আমি চেষ্টা করতেছি আস্তে আস্তে ঠিক হতে।

 2 months ago 

সন্মান নিয়ে আপনি যেভাবে বিশ্লেষণ করেছেন >তার কিছু বিষয় এর সাথে একমত হলেও বাকি অনেক কিছুর সাথেই একমত না।বিশেষ করে কোন দেশ নিয়ে কথা বলার সাথে সেটা যে দেশই হোক না কেন ।

মনগড়া কথা বিশেষ আমি লিখি না, যেটা লিখি সেটা প্রমাণের ভিত্তিতে।
রইলো বাকি সহমত না প্রকাশের সেটা আপনি করতেই পারেন, তবে ভারত কিন্তু সন্ত্রাস বাদ ভেদাভেদ শেখায় না, অন্য অনেক দেশেই যেটা দেখা যায়, যে মানুষগুলো ধর্মের কারণে প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা, তাদের প্রতি নয়, যারা ধর্ম কি জেনে হত্যা করেছে, সেটা তাদের কর্ম ছিল।

রইলো এই কমিউনিটির কথা, আমার একটা লেখায় যেমন না পাওয়া মানুষদের থেকেও মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে, এটা প্রমাণ করে তাদের মনে ভেদাভেদের রেখা সুস্পষ্ট।

যদি সেটা না হতো তাহলে কাজেও তার অবদান দৃষ্টি আকর্ষণ করত।
টিউটোরিয়াল ক্লাসের কথা আর বাকি সব তো বাদ দিলাম।

আর অনেক কিছুই লিখতে পারতাম, কিন্তু থাক যে যেভাবে বিষয়টি দেখতে চান তাতে আমার আপত্তি নেই।
তবে, একবার নিজেদের কর্ম বিচার, কাজের প্রতি অবদান বিচার করে যেনো সেটা করেন।
ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

জংগীবাদ সেটা যেই দেশেই হোক না কেন তাকে সমর্থন করি না।তবে সবদেশের ধর্মীয় মৌলবাদের চিত্রই কম বেশি চোখে পরে বর্তমানে প্রযুকৃতির কল্যানে।
অবশ্যই অন্য দেশ নিয়ে লেখা যাবে তবে সেটা প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
কমিউনিটিতে কাজ করার সাথে গুলিয়ে ফেলাকে ঠিক বলে মনে করি না আমি।সবার প্রতি সন্মান রেখেই বলতেছি এই কমিউনিটিতে কাজের ক্ষেত্রে একমাত্র শম্পা দিদিকে ছাড়া কাউকেই তেমন কোন একটিভ ভারতীয় চোখে পরে নাই আমার ।সবার বৈশিষ্ট্য মোটামুটি একই।
তাই দেশ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার চাইতে কিভাবে কমিউনিটির ভালো হয় সেটা নিয়ে কথা বলাটাই বাঞ্চনীয় বলে মনে করি।
না পাওয়া মানুষের মাঝে আমি অন্তত পরি না কারন আমি লিখতে ভালোবাসি আমার মনের শান্তির জন্য ।
অযথা কারো দেশ নিয়ে সমালোচনায় কাজের পরিবেশ আরো ননষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি মানসিক ও শারীরিক দুই ভাবেই ভালো থাকুন।

 2 months ago 

কমিউনিটি দেশের মতোই একটা স্থান, যেটা সুরক্ষিত থাকে কর্মের নিরিখে, এটা যেদিন বুঝবেন সেদিন তুলনার কারণ আপনার কাছেও সুস্পষ্ট হবে।

সবটাই গড়া ভাঙ্গা মানুষের হাতে যেটা নির্ধারিত কর্মের উপর

 2 months ago 

দেশের মতোই কিন্তু দেশ না।তাই অহেতুক দেশকে টেনে এনে বৈষম্য তৈরি করবেন না।কাজ ভালো না করলে হাজারবার সেটা নিয়ে কথা বলুন কোন আপত্তি নেই।

 2 months ago 

আমার মধ্যে আপনার মত বৈষ্যমতা নেই, তাই সবটাকেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেখি

 2 months ago 

সেটা দেখতে পেলে আজকে এত কথা লেখার প্রয়োজনই পরতো না ।গতকালের লেখার মাঝে আপনি আপনার দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন ।যাক , ভালো থাকুন। এটা নিয়ে কথা বলার আমার আর কোন রুচি নাই

Coin Marketplace

STEEM 0.12
TRX 0.27
JST 0.034
BTC 103315.08
ETH 2407.35
USDT 1.00
SBD 0.78