"চিকেন রোস্টের রেসিপি (Chicken roast recipe)"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পহেলা বৈশাখের দিন আমাদের বাড়িতে ননদের হাতে তৈরি চিকেন রোস্ট এর রেসিপি।
আপনারা হয়তো আমার পূর্বের পোস্টে পড়ে থাকবেন, পহেলা বৈশাখের দিন ছিল শুভর জন্মদিন এবং প্রতিবছর এই দিনে বিশেষ কোনো আয়োজন না হলেও, ননদরা আমাদের বাড়িতে আসেন। আমরা সকলে ঐদিন একসাথে খাওয়া দাওয়া করি। এই দিনের মেনুতে ছিল বিরিয়ানি এবং চিকেন রোস্ট।
রান্নাটা যদিও ননদ করেছিলো। তবে আমি সমস্ত কিছু গুছিয়ে দিয়েছিলাম এবং তার ফাঁকে ফাঁকে চেষ্টা করেছি রেসিপিটির ছবি তোলার, যাতে আপনাদের সাথে এটি শেয়ার করতে পারি। আশা করছি রেসিপিটি পড়তে আপনাদের ভালো লাগবে চলুন তাহলে শুরু করি,
|
---|
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | চিকেন | ২ কেজি |
২. | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
৩. | আদা বাটা | ২ চা চামচ |
৪. | রসুন বাটা | ২ চা চামচ |
৫. | পেঁয়াজ বাটা | ২ চা চামচ |
৬. | লঙ্কা বাটা | ২ চা চামচ |
৭. | সাদা তেল | ৩ চা চামচ |
৮. | ঘি | ৬ চা চামচ |
৯. | জিরে গুঁড়ো | ২ চা চামচ |
১০. | টকদই | হাফ কাপ |
১১. | কাজুবাদাম বাটা | হাফ কাপ |
১২. | টমেটো সস | ২ চা চামচ |
১৩. | রোস্ট মশলা | ৫ চা চামচ |
১৪. | লবন | স্বাদ অনুসারে |
১৫. | ফ্রেশক্রিম | হাফ কাপ |
১৬. | কেওড়া জল | ½ চা চামচ |
১৭. | গোলাপ জল | ½ চা চামচ |
১৮. | আঁতর | ২-৩ ফোঁটা |
|
---|
আপনারা চাইলে বাজার থেকে রোস্ট মশলার প্যাকেট কিনে আনতে পারেন। তবে বিরিয়ানি মশলা হোক বা রোস্ট মসলা আমরা বাড়িতে সেটা নিজেরাই তৈরি করি। এই রোস্ট মশলা তৈরি করতে কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছিল চলুন আপনাদের সাথে সেটাও শেয়ার করি। এইসব উপকরণ গুলো শুকনো কড়াইতে হালকা গরম করে তারপর গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে রোস্ট মশলা।
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | এলাচ | ৭-৬ টি |
২. | সা-জিরা | ১ চামচ |
৩. | সা-মরিচ | ½ চা চামচ |
৪. | গোলমরিচ | ½ চা চামচ |
৫. | জিরা | ½ চা চামচ |
৬. | স্টার অ্যানিস | ১ টি |
৭. | দারুচিনি | ৪-৫ টুকরো |
৮. | জায়ফল | অর্ধেক |
৯. | জয়িত্রী | ১ টি |
|
---|
চলুন এবার আপনাদের সাথে চিকেন রোস্ট তৈরি করার পদ্ধতিটা আলোচনা করি। সত্যি কথা বলতে এটি রান্না করতে খুব বেশি সময় লাগে না, তবে প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ জোগাড় করাটা একটু সময় সাপেক্ষ।
প্রথমে আমি চিকেন গুলো ধুয়ে জল ঝরিয়ে রেখেছিলাম। পরে তার মধ্যে শুধু পরিমাণ মতো লবণ মাখা হয়েছিলো। বাকি আর কোনো মশলা চিকেনে মাখানো হয়নি।
এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে তার মধ্যে সাদা তেল ও ঘি একসাথে গরম করে নিয়ে, তার মধ্যে কুচানো পেঁয়াজগুলো দিয়ে দিতে হবে বেরেস্তা করার জন্য। বেরেস্তা তৈরি করার সময় ঘি ব্যবহার করলে তার একটা সুন্দর গন্ধ বেরোয়।
গরমের মধ্যে বেশি ঘি খাওয়া সঠিক হবেনা বলে আমরা একটু সাদা তেল ব্যবহার করেছিলাম। তবে আপনারা যদি চান সম্পূর্ণ রান্নাটা ঘি দিয়ে করতে পারেন, তাতে স্বাদ আরও বেশি হবে। বেরেস্তা ভাজা হওয়ার পর সেগুলোকে নামিয়ে রাখতে হবে।
যতক্ষণ ননদ বেরেস্তা ভাজ ছিলো। অন্যদিকে আমি রোস্টের মশলাগুলোকে শুকনো কড়াইতে ভালো করে গরম করে, প্রথমে সেই মসলাটা তৈরি করে রাখলাম।
এরপর ফেটানো টকদই এর মধ্যে আগে থেকেই বেটে রাখা কাজুবাদাম বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, টমেটো সস, লঙ্কা বাটা, জিরা গুঁড়ো সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে রাখলাম। এই দুটো জিনিস তৈরি হয়ে যাওয়া মানেই রোস্ট রান্না করার অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়া।
বেরেস্তা গুলো তুলে রাখার পর আরও কিছুটা ঘি ঐ তেলের মধ্যে নিয়ে সেটিকে ভালোভাবে গরম করে, নুন দিয়ে মেখে রাখা চিকেনের টুকরো গুলোকে হালকা লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে। চিকেন গুলোকে একটু ধৈর্য্য নিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে ভাজতে হবে। এই ভাজার সময়েই চিকেন অনেকটা সেদ্ধ হয়ে যাবে।
চিকেনগুলো ভাজা হয়ে গেলে ঐ ঘি এর মধ্যে টকদই দিয়ে তৈরি করে রাখা সব মশলার পেস্ট দিয়ে দিতে হবে। মসলাটা খুব ভালো করে কষে নেওয়ার পর যখন সেখান থেকে তেল ছাড়বে। তখন ভেজে রাখা চিকেন ওলো ঐ মশলার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। দুঃখের বিষয় অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার জন্যে এই স্টেপ টার ছবি তুলতে আমি সেই মুহূর্তে ভুলে গিয়েছিলাম। তবে আশা করছি আপনারা বুঝতে পারবেন।
চিকেন গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে ওর মধ্যে বেরেস্তা গুলোকে দিয়ে দিতে হবে। আর তৈরি করে রাখা রোস্টের মসলা পরিমাণ মতো দিয়ে খুব ভালোভাবে এদিক ওদিক করে নাড়াতে হবে। ঢাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই, যেহেতু আমরা পোল্ট্রির মুরগী দিয়ে রোস্ট করেছিলাম, তাই সেটি সহজেই সেদ্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তবে আপনারা যদি দেশি মুরগি দিয়ে করেন তাহলে একটু ঢাকা দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
যাইহোক মাংস খুব ভালো করে কষা হয়ে, যখন একেবারে সেদ্ধ হয়ে আসবে তখন পরিমাণ মতো ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে দিতে হবে। এই ফ্রেশ ক্রিমটা অবশ্যই ব্যবহার করবেন, তাহলেই রোস্টের আসল স্বাদ পাওয়া যাবে।
ফ্রেশ ক্রিমটা ভালো ভাবে মেশানো হয়ে গেলে অল্প পরিমাণ ক্যাওড়া জল, গোলাপজল, সামান্য আঁতর দিয়ে, গ্যাসের ফ্লেম বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে, যাতে ওই গন্ধটা মাংসের মধ্যে ঢুকে যায়।
৫ থেকে ১০ মিনিট ঢাকা দেওয়ার পর ঢাকনা তুলে সমস্ত কিছু আরো একবার ভালো করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি চিকেন রোস্ট। এটি খেতে অসাধারণ হয়েছিলো।
আপনারা যদি এই স্টেপ গুলো ফলো করে তৈরি করেন, আশা করছি খুব সহজেই আপনারাও এই সুস্বাদু রেসিপিটি বাড়িতে বসে উপভোগ করতে পারবেন। আপনাদের কেমন লাগলো আজকের রেসিপি অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। ভালো থাকবেন।
Thank you for your support @max-pro. 🙏
আমার কাছে মনে হয় ছোট বড় সকলেই রোস্ট খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে বিশেষ করে আমার ছেলেরা তবে আপনি এবং আপনার ননদ মিলে খুব সুন্দর ভাবে রোস্ট তৈরি করেছেন যার বিস্তারিত আপনি আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন আপনি ঠিকই বলেছেন বাজার থেকে মসলা না কিনে নিজেদের ঘরে থাকা বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে রোস্ট চিকেন তৈরি করলে বেশ ভালো হয়ে থাকে যাইহোক চিকেন রোস্ট তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।