আমার আঁকা কিছু ছবি

নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আমার আঁকা কিছু ছবি শেয়ার করার জন্য।

ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি পোস্টে আমি আমার প্রোজেক্ট এর জন্য আঁকা কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তবে আমাদের এই বছর অনেক ছবি আঁকতে হয়। মোট ২০ টি। তাই সব ছবি তো আপনাদের সাথে শেয়ার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে আরো কয়েকটি ছবি শেয়ার করি।

আসলে আমি যেহেতু ছবি আঁকা শিখিনি তাই এই কাজগুলো করতে আমার বেশ সময় লেগেছে। আগে তবুও স্কুলে পড়াকালীন সময়ে বিভিন্ন রকমের প্রোজেক্ট তৈরি করার জন্য ছবি আঁকতে হতো। তবে স্কুলের গন্দি পেরিয়ে বহুবছর হয়ে গেছে সেইসবও করতে হয়নি। তাই ছবি আঁকার প্রতি ভালোবাসাও নেই। তবুও নিজের দরকারে তো করতেই হবে। আর এতগুলো ছবি কাউকে দিয়ে আঁকিয়ে নেওয়া তো সম্ভব নয়। তাই নিজেই সময় নিয়ে ধীরে ধীরে কুড়িটি ছবিই আঁকা শেষ করেছি।

আঁকাগুলো যে খুব সুন্দর হয়েছে তা নয়। যে কেউ দেখলে বুঝতে পারবে যে ছবিগুলো খুবই কাঁচা হাতে তৈরি। তবে তার মধ্যে আমার নিজস্বতা সাথে আছে। সব সময় অন্যের উপর ভরসা করলেও হয় না। কিছু কাজ নিজেকেও করতে হয়। আমার কাছে অনেক বাচ্চা পড়তে আসে। এখন সকলেই ড্রয়িং শেখে। আমি চাইলেই প্রত্যেককে একটা করে আর্ট পেপার দিয়ে বাড়ি থেকে ছবি এঁকে আনতে বলতে পারতাম। তবে সেটা ভালো দেখায় না। ওদেরও তো বাড়িতে অনেক কাজ থাকে। যদিও ওরা আমার আঁকা ছবিগুলো দেখে প্রায়ই বলে, "ম্যাম, আমাকে একটা পেপার দিও আমি তোমাকে ছবি এঁকে দেব।" তবে আমি ওদের আর অতিরিক্ত খাটুনি করাই না।

আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার আঁকা চারটি ছবি শেয়ার করব। এর মধ্যে প্রথম ছবিটি হল একটি রামধনুর ছবি। রামধনু দিয়ে আপনাদের সাথে অনেক কিছুই আমি শেয়ার করেছি। এবার চলে এসেছি একটা রামধনুর ছবি নিয়ে। রামধনু আকঁতে বাচ্চারা খুব ভালোবাসে কারণ রামধনুর মধ্যে অনেক রকমের রং থাকে। সেগুলো বাচ্চাদের খুব আকৃষ্ট করে। তাই আমি আমার প্রোজেক্ট এর মধ্যে একটা রামধনুর ছবি রেখেছি। আর আমরা জানি বৃষ্টির পর কখনো কখনো রোদ উঠলে অর্থাৎ সূর্য্যি মামা উঁকি মারলে সেই আলো মেঘের গায়ে লেগে থাকা জলে প্রতিফলিত হয়ে সাতটি রং এ ভাগ হয়ে যায়। আর আমরা রামধনুর এই সাতটি রং কে আকাশে দেখতে পাই। তাই রামধনু ছাড়াও আমাকে মেঘ বৃষ্টি ও সূর্য আঁকতে হয়েছে।

এরপরে আমি একটি বনের ছবি এঁকেছিলাম। দ্বিতীয় শ্রেণীর একটি বইতে বনের পশু পাখি নিয়ে একটি গল্প ছিল। সেই গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমি এই ছবিটি এঁকেছিলাম। যেহেতু খুব বেশি পশুপাখি আঁকতে পারি না তাই একটা বাঘ ও হরিণ এঁকেছিলাম। আর গাছে একটি বানর এঁকেছিলাম‌। তাছাড়া সেই গল্পে বনের মধ্যে একটি নদীর কথা বলা ছিল। তাই একটা জলাশয়ের ছবি এঁকেছি ও জলাশয়ে থাকা কিছু মাছ, হাঁস ও সারস পাখির ছবি এঁকেছি।

এরপর দ্বিতীয় শ্রেণীর ইংরেজি বই এর একটা অধ্যায় ছিল বিভিন্ন ঋতু নিয়ে। তাই আমি ছয়টি ঋতু অর্থাৎ, Summer, Monsoon, Early Autumn, Late Autumn, Winter, Spring নিয়ে একটা ছবি আঁকার চেষ্টা করেছিলাম। এই ছবিতে আমি বিভিন্ন ঋতুর বৈশিষ্ট্য গুলো দেখানোর চেষ্টা করেছি। যেমন Summer season এর পাখা, তরমুজ ,আইসক্রিম ইত্যাদি। আবার Monsoon season এর ছাতা, রেইনকোট, মেঘ, গামবুট ইত্যাদি এঁকেছিলাম। এইভাবে ছয়টি ঋতুর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ছবিগুলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।

এরপর তৃতীয় শ্রেণীর পরিবেশ বইয়ের একটি অধ্যায় ছিল বিভিন্ন পোশাক নিয়ে। আমি সেই অধ্যায়টা কে প্রোজেক্টের কাজের জন্য বেছে নিয়েছিলাম। তাই গ্রীষ্মকালে , বর্ষাকালে ও শীতকালে আমরা কেমন পোশাক পরি তা ঐ ছবিগুলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। যাতে বাচ্চারা বিষয়গুলো আরোও ভালোভাবে আত্মস্থ করতে পারে।

এবার আপনারাই বলুন অদক্ষ হাতে আমি ছবিগুলো কেমন এঁকেছি। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।