অষ্টমীর দিন সকাল বেলা
![]() |
|---|
| Made by Canva |
Hello,
Everyone
নমস্কার আমার এস্টিমেট প্ল্যাটফর্মের বন্ধুরা।আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।দেরিতে হলেও পূজার কাটানো দিনগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি । এই গভীর রাত্রে আবার ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। যারা আমার নিয়মিত পোস্ট গুলো পড়ে থাকেন তারা অবশ্যই জানেন আমি কতটা ব্যস্ততার মাঝে সময় গুলো পার করছি।
সবাই আমার বাবার জন্য প্রার্থনা করবেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। দেবী ”দূর্গা” মা বছর পরে বাবার বাড়িতে আসলো ।ষষ্ঠী পুজা হয়ে গেল, সপ্তমী পুজা হয়ে গেল। আজ ছিল অষ্টমী পুজা। সকালে উঠিয়া আমি ফ্রেশ হয়ে বাসার নিত্য পূজা করে নিয়েছি। আজকে আর্মি বাবু আমাদের সাথে থাকতে পারবে না ।মা আর মেয়েকে যেতে হবে ।
![]() | ![]() |
|---|
আপনারা সকলেই জানেন,বাংলাদেশে দুর্গোৎসবের জন্য মাত্র একদিন সরকারি ছুটি ছিল তবে এখন সুবিধা হল ,আমরা দুইদিন ছুটি পাচ্ছি । এবারে তারসাথে দুটো দিন ছুটি আমরা বেশি পেলাম। শুক্র শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় মোট চারটি দিন আমরা ছুটি পেলাম।
![]() | ![]() | ![]() |
|---|
| Whatsapp থেকে নেয়া ছবি |
|---|
অষ্টমী পূজার দিন আর্মি বাবুর ছুটি ছিল না । ইদানিং কাজের ব্যস্ততার জন্য পুজার আনন্দ উপভোগ করতে পারছি না ।তারপরও চেষ্টা করছি মেয়েকে আমাদের এই ধর্মীয় আচার-আচরণের সাথে সংযুক্ত করার। আমরা অঞ্জলি দেয়ার জন্য গিয়েছিলাম মন্দিরে। পূজা মন্ডপটা অনেক সুন্দর সাজিয়েছে।
মন্দিরে আসলে মনে হয় যে , এখানে এখনো অনেক হিন্দু ফ্যামিলি আছে এবং তারা অনেক ধনীও বটে । হিন্দু ,মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান এই যে ধর্মীয় বেড়াজাল থেকে আমাদের সবাইকে বের হতে হবে।”সবার উপরে মানুষ সত্য” এই কথাটার সাথে আমাদের কাজের মিল রাখতে হবে ।আমাদের সবার শরীর কাটলে লাল রক্ত বের হয় ।কারো শরীর থেকে কালো রক্ত বের হয় না তাই আমরা কোন ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদ করব না, কাউকে ছোট করবো না ।পুজা দেখে রিক্সা চালক মামারা ভাড়া দ্বিগুন যাচ্ছে।
![]() | ![]() |
|---|
অঞ্জলি দেয়ার সময় ছিল সকাল ১১ টা ।আমরা হাতে বেলপাতা ফুল নিয়ে বসে রইলাম ।আমরা এর পূর্বে অঞ্জলি নিতাম নামায় বসে কিন্তু এখানে চেয়ারের ব্যবস্থা করা আছে। চেয়ারে বসে আমরা অঞ্জলি নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি ।
সামনে নির্বাচন আসছে তাই প্রতিটি দলের দলনেতা গন এবং তাদের সমর্থরা পূজা মন্ডপে মন্ডপে তাদের প্রচারণা চালায় ।তারা সকাল ১১ টার সময় আসলো এবং তাদের প্রচারণা চালালেন। ফুল, বেলপাতা হাতে নিয়ে বসে আছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা খুব সুন্দর সুন্দর বক্তৃতা দিচ্ছেন। তারা বলছেন আমরা কোন সংখ্যালঘু বিশ্বাস করি না ,আমরা সকলেই মানব সন্তান, এখানে কোন হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ থাকবে না ,এই দেশটা হবে হিন্দু-মুসলিম- বৌদ্ধ- খ্রিস্টান সকলের।
![]() | ![]() |
|---|
তাদের মিষ্টি কথাগুলো শুনতে খুবই ভালো লাগে,তবে তারা যদি কাজও এভাবে করতেন তাহলে এই ছোট্ট দেশটি অনেক দূর এগিয়ে যেতো । তাদের বক্তৃতা দিতে দিতে সাড়ে এগারোটা বেজে গেল ।সকাল এগারোটার অঞ্জলি আমরা ১১:৪৫মিনিটে দিলাম। মায়ের চরনে অঞ্জলি নিবেদন করে প্রার্থনা করলাম ”মা সবাইকে ভালো রাখো, সুস্থ রাখো এবং এই দেশটাকে নিরাপদ রাখো,তোমার সন্তানের কষ্ট দূর করে দাও”।
মায়ের চরনে অঞ্জলি নিবেদন শেষে আমরা প্রসাদ নিলাম এবং মা মেয়ে কিছু ছবি তুলে বাসায় চলে আসি। এভাবেই কেটে গেল আমার অষ্টমীর সকালবেলা ।আশা করি তোমাদেরও পূজার দিনগুলো খুব ভালো কেটে ছিল এবং এখন ভালো আছেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।
.png)








