বর্ষাকাল নিয়ে আমার অভিমত, আমার পছন্দ এবং অপছন্দ।

প্রিয় পাঠকগণ,
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আজ কলকাতায় সারাদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল, এমনকি এখনও পরিস্থিতি একইরকম।
এইরকম পরিস্থিতিতে সবচেয়ে হট সমস্যা সেটা হলো বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজে বেরোনো। সত্যি কথা বলতে এই বর্ষার দিনে আমার বাইরে বেরতে মোটেও ইচ্ছে করে না, তবুও বেরতে তো হয়। কারণ আর সকলের মত আমার ও পেটের দায়ে।
আফিস কছারি কাজ কম্ম আরও অনেক দায়িত্ব পালন তো কম থাকে না।
অপছন্দের কারণের পাশাপাশি, ঐই বৃষ্টির দিনে আমি আদা দিয়ে চা খেতে খুব ভালবাসি।
আনেকে আবার খিচুড়ি, পাপরভাজা, তেলে ভাজা খেতে খুব পছন্দ করেন।

(আমার প্রিয় ইলিশ মাছ)
বর্ষাকালে বাঙালীর যে প্রিয় জিনিসটির কথা না বললেই নয় সেটি হল ইলিশ মাছ।
এই মাছ স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়।বর্ষাকালে খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা ভালবাসেনা তেমন বাঙালি মনে হয় নেই।এই মাছ আমার সবচেয়ে প্রিয় মাছ।আর মাছ টা দেখতে এত সুন্দর যে দেখলে মন ভরে যায়।
বর্ষার ঠিক আগের ঋতুই গ্রীষ্ম।
গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে যখন খুব কষ্ট হয় তখন কেবলই মনে হয় বর্ষা কবে আসবে।আর বর্ষা আসলে মনে হয় বৃষ্টি কখন থামবে।
এই বর্ষায় প্রকৃতি নব রুপে সেজে ওঠে।গাছপালা গুলি সবুজে ঝলমলে হয়ে যায়।কত নতুন নতুন ফুল ফোটে।নাম না জানা জংলি গাছ গুলিও ফুলে ফুলে অপরুপা হয়ে ওঠে।

(জলে পরিপূর্ণ নদী)
সেই সৌন্দর্য দেখলেই মনে কেন জানিনা আলাদা ধরনের ভাল অনুভূতি কাজ করে।মনটা অনাবিল আনন্দে ভরে যায়।
যে নদীটার জল কদিন আগে গরমের তাপে শুকিয়ে গেছিল সেই নদীটিই বর্ষার জলে কানায় কানায় পরিপূর্ণ স্রতোস্বিনী খরস্রোতা।
তার তখন মন ভোলান রুপ।সেই রুপের কথা বারবার ঘুরে এসেছে কবিতায় সাহিত্যে।সেই রুপের টানে ছুটে আসে কত দুরান্তের ভ্রমণপিপাসু মানুষ।
এতো গেল বর্ষার এক অপরুপ সৌন্দর্যের দিক।এর আর একটি দিকও আমার চোখে প্রকট ভাবে ধরা পড়ে।যখন বৃষ্টি মাথায় মাছওয়ালা হেকে বেড়ায় তার সারা শরীর বৃষ্টিতে ভেজা- জীবিকার কি তাগিদ।
সব্জিওয়ালা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে দোরে দোরে পৌঁছে যায় তার পসরা নিয়ে।মনে মনে ভাবি এই মানুষ গুলির জন্য বৃষ্টি আশির্বাদ না আভিশাপ।
জীব জন্তুর কষ্টের সীমা পরিসীমা থাকে না।বর্ষাকালের একটি প্রয়োজনীয় জিনিস হল ছাতা।
যারা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বাস করে তারা বর্ষাকালে প্রতি বছরই তাদের ঘর বাড়ি,জমিজমা, গৃহপালিত পশুপাখি অনেক কিছু হারিয়ে ফেলে।

(জল পড়ে, পাতা নড়ে)
একদিকে বর্ষাকালে প্রকৃতি যেমন শষ্য শ্যমলা হয়ে ওঠে তেমনি অন্যদিকে মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না।
আসলে সব ভলোর পাশাপাশি খারাপ ও থাকে।
আসলে প্রতিটি কালের কিছু ভালো দিক যেমন আছে, তেমনি কিছু অসুবিধার দিক ও রয়েছে, সব মিলিয়ে কবিদের জন্য এটা শ্রেষ্ঠ কাল, কারণ কবিগুরু তো নিজের কবিতা শুরুই করেছিলেন, জল পড়ে, পাতা নড়ে দিয়ে তাই না?
আজ এই পর্যন্তই, ভালো থাকবেন সবাই, আজ অনেকটা রাত হয়ে গেলো কাজ থেকে ফিরে লিখতে বসতে, তাছাড়া নতুন কাজ করছি, কাজেই শিখিয়ে নেবেন আর ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন।
ভালো থাকবেন সবাই, শুভ রাত্রি।
সব কিছুরই একটা ভালো দিক আর একটা মন্দ দিক রয়েছে। বর্ষাকাল তার অন্যথা নয় @baishakhi88 । ইলিশ মাছ আমারও ভীষন প্রিয়। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল আগামী দিনের জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আপনার আগামীদিন অনেক সুন্দর হোক
এটা একদম সত্যি যে, ইলিশ মাছ পছন্দ করে না , এমন বাঙালি অতি বিরল, তবে ঘরে বসে আমার বৃষ্টি দেখতে ভালো লাগে এবং ছোটোবেলায় আমিও প্রচুর ভিজেছি বৃষ্টিতে, কিন্তু এখন ছাদে ভিজতে ভালো লাগে কারণ রাস্তার জমা জলে এখন একটু অস্বস্তি হয় ময়লার জন্য, ছোটোবেলায় ঐসব তোয়াক্কা করার বিষয় থাকে না তাই সেই সময়ের বৃষ্টির মুহূর্তগুলো অন্য রকম ছিল।
আপনি আমার লেখা পড়েছেন এটা এটা জেনে আমার খুব লাগল। সত্য ছোটবেলা দিন গুলি খুব ভাল ছিল।
বর্ষায় দৈনন্দিন কাজ কর্মে অসুবিধা হয় কিন্তু এই অসুবিধা প্রকৃতিকে বাড়তে এবং বাঁচতে সাহায্য করে যেটা আমাদের অসুবিধার চাইতে বেশি গুরুত্বপুর্ণ। তাছাড়া এখন আগের মত বৃষ্টি আমরা সত্যি কি পাই? সেই কারণটা এখন ভাবার বিষয়।
আপনি সঠিক বলেছেন বর্ষা প্রকৃতিকে বাচিয়ে রাখে। কিন্তু কিছু মানুষের খুবই কষ্টে দিন কাটে।
আপনি আমার লেখা পড়েছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
*Hilsa fish is a favorite of most Bengalis. Well written. Best wishes for the future.
We would like to appreciate your presence and activities towards the community. Our community also like to inspire you to participate in the engagement by visiting others post and make insightful comments .
Regards
@sampabiswas(Moderator)
Incredible India
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে