Better Life With Steem || The Diary game || 2/09/2024
![]() |
---|
আলহামদুলিল্লাহ আবারও আপনাদের মাঝে চলে এসেছি আজকের ডায়েরি গেম নিয়ে, আশা করি সব বন্ধুরা, আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও এই তিন - চার দিনের তুলনায় আজকে ভালো আছি এবং ছেলেও । আমার আজকের পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।।
![]() |
---|
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠতে লেট করেছি, ভাইয়াকে নাস্তা বানিয়ে দিতে পারেনি। এবং ঘুম থেকে উঠে দেখি ভাইয়া চলে গেছে। আর আজকে সকালে কোন নাস্তা জামেলা করিনি। আমি ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ ঘরের কাজ করে পান্তা ভাত এবং ডিম ভাজি দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। এরপর ছেলে উঠল ওকে বিস্কিট খাইয়ে দিলাম।
এরপর সাহেবেও উঠল সে হাতমুখ ধুয়ে কিছু না খেয়ে বাজারে গেল বলল বাজার থেকে এসে খাব। এরপর সে বাজার থেকে আসলো কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল, গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে মার্কেটে চলে গেল।
এদিকে আমি রান্না বসিয়ে দিলাম তার ফাঁকে আবার মেয়ের মাদ্রাসায় গেলাম মেয়ে আজকে ভোর পাঁচটার সময় মাদ্রাসায় গেছে এবং কোন টিফিন নেইনি আর খাইও যায়নি তাই ওকে খাবার দিয়ে আসি।
মেয়ের মাদ্রাসা থেকে এসে তরকারি রান্না বসিয়ে দিলাম। আজকে দুপুরে রান্না করলাম মাছ আলু, ডাল, আর করলা ভাজি, রান্না শেষ করতে আমার সাড়ে বারোটা লেগে গেল। রান্না শেষ হওয়ার পর ঘরের কিছু অগোছানো কাজ করে গোসল করতে চলে যাই। যার বাসায় আমার মতন এরকম ছোট বাচ্চা আছে গুছানো জিনিস আবারো গুছিয়ে রাখতে হয়। এক দিক থেকে গুছিয়ে আসি আর একদিক থেকে এলোমেলো হয়ে যায়। এসব বাড়তি কাজ করতেই সময় চলে যায়।
এরপর গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ি তারপর ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দি। আজকে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে গিয়ে আমার মাথায় ১০০ ডিগ্রি রাগ উঠে গেল। খেতে তো চায়না জোর করে এক লোকমা দিলে তাও আবার ফেলে দেয়। এরকম বারবার করার কারনে সবকিছু রেখে না খেইয়ে উঠে পড়ি।
এরপর নিজে কয়টা খেতে বসলাম মুখের ভাতের লোকমা তুলবো তার ভিতরে ছেলে এসে বলল আম্মু আমি বাথরুমে যাব। তারপর ভাত সাইট করে রেখে ছেলেকে ছেলের কাজ করে আনি। এর মধ্যে আবার ভাইয়া এসে পড়ে তাই ভাত খাওয়ার ভিতরে আগে ভাইয়াকে খেতে দিয়ে তারপর আমার খাওয়া শেষ করি।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর সাহেব আসে সাড়ে পাঁচটার সময় এসে দেখে আমি ঘুমিয়ে পড়ছি তারপর আর আমাকে ঘুম থেকে না উঠিয়ে সে নিজে থেকে ভাত বেড়ে খেলো । আমিও তার খাওয়ার ভিতর উঠে পড়ে উঠে দেখি সে খাচ্ছে তারপর আসরের নামাজ পড়ি।
আসরের নামাজ পড়ে জাম্বুরা খেলাম, জাম্বুরাটা খেতে অনেক মিষ্টি ছিল। ভর্তা করে খাইনি এমনিতেই খেলাম হয়তো ভর্তা করে খেলে আসল স্বাদটা পেতাম না। এইতো এরপর মাগরিবের আজান দিল নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ দোয়া-দরুদ পড়ে ছেলেকে পড়তে বসাই। তবে ও বেশিক্ষণ ধৈর্য ধরে পড়ে না,কিন্তু না পড়লেও পরতে বসার অভ্যাসটা করি। যাতে এই অভ্যাসটা নিজে থেকেই তৈরি হয় তাই আস্তে আস্তে পড়তে বসার অভ্যাস করার চেষ্টা করি।
ছেলে নিজের ইচ্ছামতন কিছুক্ষণ বই পড়লো,আবার পড়া শেষে গুছিয়ে রাখলো। ছেলের পড়া শেষ হলে এরপর আমি আজকের পোস্ট লিখি। পোস্ট লেখাটা কমপ্লিট করে এশার নামাজ পড়ি। এইতো এভাবেই করে আজকের দিনটা পার করি।।
আজকের লেখায় এখানেই শেষ করছি, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
মাঝে মাঝে আমাদের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়, আমাদের কারোরই প্রতিদিন একরকম যায় না, সকালের নাস্তা বানানোর ঝামেলা থেকে বেঁচে গেছেন, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ছোট বাচ্চাদের এখন বিস্কুট খাওয়াতে ও ভয় করছে কেননা বাংলাদেশের কয়েকদিন আগে ব্র্যান্ডের একটি কোম্পানির বিস্কুট খেয়ে একজন মারা যায় ও দুইজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই আমি মনে করি ছোট বাচ্চাদের বিস্কুট খাওয়া থেকে বিরত রাখাই উচিত।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
লেক্সাস বিস্কুট আমার খেতে বেশ ভালোই লাগে,। আজ দেরি করে ঘুম থেকে ওঠাতে নাস্তা তৈরি করতে পারেনি আসলে এরকমটা হয়।। তারপর প্রতিদিনের মতোই দুপুরে রান্নাবান্না করেন। এছাড়াও ছেলেমেয়েদের ও দেখাশোনা করে সব মিলিয়ে সুন্দর একটি দিন পার করেন।।
"আরো ভালো করে এই পোস্টটা মনের বইয়ে রাখতে হলে, নিচে থাকা button-এ ধনাত্মক/ নেতিবাচক ভোট দিতে পারেন 🙌💖.
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন কাজের প্রতি মনোযোগী থেকে শুরু করে, রান্না, নামাজ, এবং ছেলে-মেয়ে সবকিছু সামলানো সত্যিই প্রশংসনীয়।আপনার আজকের দিনের সবকিছুই ভালোভাবে সামলাতে পেরেছেন। সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।