হাসির কিছু মুহূর্ত…[১৬]
জীবনে হাসি-ঠাট্টা কতটা দরকারি, তা তো আর বলে দিতে হবে না। মন খারাপের দিনে হুট করে কারো বলা একটা দুষ্টুমি, কিংবা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কোনো মজার কাণ্ড মুহূর্তেই আমাদের মন ভালো করে দেয়।তাই ভাবলাম, আগের সপ্তাহের মতো আজকেও আপনাদের জন্য নিয়ে আসি কিছু হাসির মুহূর্ত। মানে পুরাই দম ফাটানো কিছু কৌতুক।
চলুন তবে আর দেরি না করে শুরু করা যাক...
শিক্ষক এবং 'বুদ্ধিমান' ছাত্র
গ্রামের এক স্কুলে নতুন শিক্ষক এসেছেন। শহরের কলেজ থেকে সদ্য পাশ করে এসেছেন তিনি। ক্লাসের প্রথম দিনেই তিনি ছাত্রদের বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
শিক্ষক বললেন, "আজ আমি তোমাদের কিছু কঠিন প্রশ্ন করব, দেখি কে কে উত্তর দিতে পারো।"
সবাই চুপচাপ। এমন সময় সবার পেছনের বেঞ্চ থেকে টিংকু নামের এক ছাত্র হাত তুলল। টিংকুর সুনাম ছিল পড়াশোনা কম করে, কিন্তু বুদ্ধি দিয়ে সবকিছু চালিয়ে নেওয়ার।
শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, "তোমার নাম কী?"
টিংকু বলল, "স্যার, আমার নাম টিংকু।"
শিক্ষক বললেন, "টিংকু, একটা সহজ প্রশ্ন করি। যদি তোমার কাছে পাঁচটা আপেল থাকে, আর তুমি সেখান থেকে তিনটা আপেল নিয়ে নাও, তাহলে তোমার কাছে কয়টা আপেল থাকবে?"
টিংকু এক সেকেন্ডও না ভেবে বলল, "স্যার, আমার কাছে তিনটা আপেল থাকবে।"
শিক্ষক অবাক হয়ে বললেন, "কেন? তোমার কাছে তো পাঁচটা ছিল!"
টিংকু বলল, "স্যার, আমি তো পাঁচটা থেকে তিনটা নিয়ে নিলাম। তাহলে আমার কাছে তো সেই তিনটাই থাকবে, তাই না?"
শিক্ষক বুঝলেন, টিংকু খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু তার বুদ্ধির দিকটা একটু অন্যরকম। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, "আচ্ছা ঠিক আছে। এবার বল, একটা পুকুরে ১০টা মাছ আছে। তার মধ্যে দুটো ডুবে গেল, দুটো সাঁতরে পাড়ে উঠে এল, আর দুটো অন্য দিকে চলে গেল। তাহলে এখন পুকুরে কয়টা মাছ আছে?"
টিংকু এবারও দ্রুত উত্তর দিল, "স্যার, ১০টা মাছই থাকবে।"
শিক্ষক হতাশ হয়ে বললেন, "কীভাবে?"
টিংকু বলল, "স্যার, মাছ কি কখনো ডোবে নাকি? আর মাছ পুকুর ছেড়ে পাড়ে উঠে আসে না বা অন্য কোথাও চলে যায় না।"
শিক্ষক এবার হাসতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, "বাহ, তোমার বুদ্ধি তো বেশ প্রখর। এবার শেষ একটা প্রশ্ন, দেখি তুমি পারো কিনা।"
"ধরো, তুমি আর আমি পাশাপাশি বসে আছি। তোমার সামনে দুটি রাস্তা আছে। একটি সোজা চলে গেছে, আর অন্যটি বাঁক নিয়ে দূরে মিলিয়ে গেছে। এই অবস্থায় তুমি কোন রাস্তাটি বেছে নেবে?"
টিংকু এবার একটু ভাবল। তারপর বলল, "স্যার, আমি বাঁকা রাস্তাটা নেব।"
শিক্ষক আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "কেন?"
টিংকু বলল, "কারণ সোজা রাস্তায় তো আপনি যাচ্ছেন, আর আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই না।"
পুরো ক্লাস হাসিতে ফেটে পড়ল। শিক্ষক নিজেও হাসতে হাসতে বললেন, "বাহ, টিংকু! তোমার মতো বুদ্ধিমান ছাত্র জীবনে আর দেখিনি।"
টিংকুর উত্তরগুলো সত্যিই হাসির খোরাক যোগায়।
আসলে জীবনটা অনেক ছোট। সবসময় সিরিয়াস হয়ে থাকা যায় না। মাঝেমধ্যে এমন হাসি-ঠাট্টা, পাগলামি দরকার। তাতে মনও ভালো থাকে, দিনটাও জমে যায়।তাই বলব - হাসুন, খুশি থাকুন। কারো খারাপ দিনটা একটুখানি ভালো করে দিতে পারলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় আনন্দ।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
X-Promotion
আপনার হাসির মুহূর্তের এই গল্পগুলি পড়ে খুবই ভালো লাগে। শিক্ষক এবং টিংকুর মধ্যে চমৎকার কথোপকথন হয়েছে। শহর থেকে পাশ করে আসা শিক্ষক গ্রামে এসে টিংকুর থেকে পরীক্ষা নিতে গিয়ে নিজেই হাবাগোবা হয়ে গেছে। যাইহোক দারুন ফানি ছিল আজকের পোস্ট।
Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀
This is an automated message.
If you wish to stop receiving these replies, simply reply to this comment with turn-off
Visit here.
https://www.steempro.com
SteemPro Official Discord Server
https://discord.gg/Bsf98vMg6U
💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!
🟩 Vote for witness faisalamin
https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin