রেসিপি||শিং মাছ ভুনা||
আজ-২১ই কার্তিক||১৪২৯ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল||
আসসালামুআলাইকুম/আদাব। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগবাসি? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।আজকে আমি আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হলাম।আমার আজকের রেসিপি শিং মাছ ভুনা।শিং মাছ কতোটা উপকারি আমাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সেটা আমরা সবাই জানি।প্রাচীন যুগ থেকেই রক্তশূন্যতার রোগীদেরকে এই মাছ খেতে বলা হয়ে থাকে।এই মাছে প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,আয়রন ইত্যাদি রয়েছে।আমি শিং মাছ ভুনা রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করেছি নিম্নে সমস্ত প্রক্রিয়া বর্ণনা করছি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
শিং মাছ | ১৪ পিচ |
পেঁয়াজ | ৩টি |
রসুন | ২ কোয়া |
কাঁচা মরিচ | ২টি |
শুকনো মরিচ | ৫টি |
জিরা | ১ চা চামচ |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ চা চামচ |
লবণ | স্বাদ মতো |
প্রথমে মাছগুলোকে এবং পেঁয়াজ,মরিচ(দুই ফালি),রসুন কোয়া ছাড়িয়ে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।।এবারমাছগুলোকে পরিমাণ মতো লবণ,হলুদ দিয়ে মেখে নিতে হবে। তারপর কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে মাছগুলো হালকা করে ভেজে নিতে হবে।
এবার কড়াইতে আরও পরিমাণ তেল দিয়ে একসাথে বেটে রাখা মসলা(২ কোয়া রসুন,শুকনো মরিচ ৪ টি,২টি পেঁয়াজ) দিয়ে দিতে হবে।তারপর একটি পেঁয়াজ কুচি,পরিমাণ মতো হলুদ গুড়া,ধনিয়া গুড়া দিয়ে দিতে হবে এবং অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে ২ মিনিট মতো নাড়তে হবে।
এবার মাছগুলোকে দিয়ে দিতে হবে এবং ৫ মিনিট মতো নাড়তে হবে।তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিতে হবে।
এবার ৫-৭ মিনিট পর ধনিয়া পাতা কুচি এবং ফালি করে রাখা দুইটি কাঁচা মরিচ দিয়ে দিতে হবে।
এবার ১০-১৫ মিনিট মতো রান্না করতে হবে এবং ঝোল কমে আসলে চুলা অফ করে দিতে হবে। ব্যাস আমার শিং মাছ ভুনা রেসিপি রেডি।
এ পর্যায়ে একটি বাসনে রেসিপিটি পরিবেশন করছি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি।আবার নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন।
রেসিপি ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শিং মাছ পছন্দ করে এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে আপু অত্যন্ত সুন্দর এবং বেশ কয়েকটি ধাপে শিং মাছ ভুনা রেসিপিটি তুলে ধরেছেন। যা দেখে আবার রান্না করতে মন চাচ্ছে।
জি আপু রান্না করে ফেলুন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
শিং মাছে অনেক পরিমাণ রক্ত আছে, ক্যালসিয়াম আছে ঠিক বলেছেন।তাছাড়া বাজারে শিংমাছের অনেক চাহিদা যেমন রয়েছে।তেমনি অনেক দামও রয়েছে।তবে শিং মাছ আমি খাই না, কেন জানি আমার খেতে ইচ্ছে করেনা।কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য রান্না করে দিই।আপনার আজকের শিং মাছের রেসিপি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।শিংমাছ অনেক পুষ্টিকর ও বলদায়ক।আর রেসিপি টি অনেক সুস্বাদু।তবে আজকাল শিংমাছ প্রায় পাওয়াই যায় না। অনেক ধন্যবাদ আপু এমন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শিং মাছ আমার ভীষণ প্রিয়। আমিও মাঝে মাঝে শিং মাছ ভুনা করে খাই। শিং মাছের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাই আমাদের মাঝে মাঝে শিং মাছ খাওয়া উচিত ।আপনার শিং মাছের রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। খুব চমৎকার হয়েছে রান্না পদ্ধতি।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, শিং মাছ আমাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আপনার রেসিপিটি খুবই লোভনীয় লাগছে। শিং মাছের টুকরোগুলো দেখে মনে হচ্ছে মাছগুলো খুব বড় ছিল। শিং মাছ ভুনা আমারও খুব পছন্দ। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
জি আপু মাছগুলো বড় ছিল চাষের মাছ নাকি এগুলো এজন্য।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শিং মাছ আমাদের শরীরের জন্য সত্যিই অনেক উপকারী। বিশেষ করে শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে শিং মাছ খাওয়া খুবই উপকারী। আপনার তৈরি করা শিং মাছের রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। লোভনীয় এই রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
শিং মাছ আমাদের শরীর এর জন্য উপকারী এটা তো জানি, কিন্তু এত বড় শিং মাছ কই পেলেন আপনি। আমি তো সারা বাজার ঘুরেও এত বড় শিং মাছ পাই না। আমার খুব পছন্দের একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার উপস্থাপনা ও চমৎকার ছিল।
ভাইয়া আপনাদের ইন্ডিয়া তে ভেজাল ২ নম্বর জিনিস কম পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে অভাব নেই ভেজাল খাবার এর। এগুলো চাষের মাছ এজন্যই বড় সাইজ। আমাদের বাজার থেকে নিয়ে এসেছিল আব্বু। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমাদের বাড়িতে শিং মাছের হাল্কা পাতলা ঝোলটাই বেশী হয়। আলু, কাঁচকলা দিয়ে। এই ভাবে পেঁয়াজ রসুন দিয়ে কখনও খাই নি। শুনেছি এই ভাবে কষা খেতেও নাকি বেশ ভালো লাগে।
জি আপু এভাবেও ভালো লাগে ।একদিন ট্রাই করে দেখবেন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন বহু কাল আগে থেকে বলছে যে রক্তশূন্যতার জন্য এই মাছ বেশি বেশি খাওয়ার জন্য ।শিং মাছ আসলে আমাদের সকলের জন্য খুবই উপকারী। এই মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে ছোট-বড় সবাই এই মাছ আমার মনে হয় বেশ পছন্দ করে। আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপি টি করেছেন ।আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামতের জন্য।
শিং মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে অনেকদিন ধরেই শিং মাছ খাওয়া হচ্ছে না। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। আপনার রেসিপি কালার টি অনেক সুন্দর এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
জি আপু আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।