ছোটবেলায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্প।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
আজ রোজ বুধবার
৯ই অগাস্ট ২০২৩ ।
|
|---|
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে আপনাদের সাথে ছোটবেলার মাছ ধরার স্মৃতি শেয়ার করবো।আসলে ছোটবেলার কথা মনে পরলেই মনে হয় যদি আগের দিনগুলো ফিরে পেতাম তাহলে বেশ ভালো হতো।বড় হলেই সমস্যা।বড় নানা চিন্তা ভাবনা সব মিলিয়ে ঝামেলা।
আগে বর্ষাকালে টানা বৃষ্টি হতো চারদিকে পানি থইথই করতো।এমনকি রাস্তাঘাট বেশ কয়েকদিন পানিতে ডুবে থাকতো।প্রতিদিন দোয়া করতাম যেন সকাল টাইমে বৃষ্টি হয়।তাহলে আর স্কুলে যেতে হবে না।মাঝে মাঝে দোয়া কবুল হতো তাই স্কুলে যাওয়া হতো না আবার মাঝে মাঝে স্কুলে যাওয়ার সময়টাই বৃষ্টি থেমে যেত।তবে একটা মজা ছিলো বৃষ্টির পানি পেরিয়ে স্কুলে যাওয়ার মজাই আলাদা ছিলো।
যাই হোক আমাদের বাসার পাশেই একটা ডুবা ছিলো মোটামুটি বর্ষাকালে পানিতে থইথই করতো তাই পানিগুলোও মোটামুটি পরিষ্কার ছিলো।মাঝে মাঝে জানালা দিয়ে মাছ দেখা যেতে।বেশ ভালোই লাগতো দেখতে।আবার আরেকদিক দিয়ে ও অন্য বাসা আর আমার বাসার মাঝে খালি জায়গা ছিলো সেখানে পানি জমে থাকতো আর কোথা থেকে যেন মাছ আসতো।দেখতে বেশ ভালোই লাগতো।
যাই হোক আমার বড় বোন বড়শি দিয়ে মাছ ধরার বেশ এক্সপার্ট ছিলো।সব সময়ই বর্ষার মৌসুমে আমার বোন মাছ ধরার জন্য বড়শি যত যাবতীয় কিনে আনতো।আমরা তখন নিচ তলায় থাকতাম, জানালা নিয়ে এই ডুবা থেকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতো আমার বোন।প্রায় একদিনে ৫/৬ এর মত ধরতে পারতো।
আমি তখন ছোট ছিলাম বসে বসে দেখতাম।আর মাছ ধরলে বালতি কিংবা পাতিলে পানি নিয়ে এসে মাছ রেখে এগুলা দিয়ে খেলতাম।যদিও এখন আর আগের মত তেমন মাছ দেখা যায় না।
যাই হোক আপু যখন মাছ ধরতো তখন আমার বেশ ইচ্ছে হতো মাছ ধরার জন্য কিন্তু তখন তো আমাকে বড়শি ধরতে দিবে না।আমাদের বড়শি আবার রাখতো আবার খাটের নিচে।একদিন আপু বাহিরে ছিলো আমি চুরি করে খাটের নিচ থেকে বড়শি নিয়ে বাহিরে গেলাম বাসার সামনের ডোবা থেকে মাছ ধরার জন্য।
আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
| device | samsung SM-A217F |
|---|---|
| Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি ই কোনকিছু খুব বেশী হলে ভালো লাগেনা।এতোদিন শুধু গরম আর গরম।এরপর টানা বৃষ্টি। যাক আজ তবুও সূর্যিমামার দেখা কিছুটা পেলাম।আপু আপনার মতো আমার ছেলেও বলে যদি বৃষ্টি হয় তবে আজ আর স্কুলে যাবো না।🤣যাই হোক মাছ ধরার গল্প শুরু হতেই শেষ হয়ে গেলো। আপনার বড় বোন বাসার পাশের ডোবা থেকে মাছ ধরতো কিন্তু আপনাকে দিতো না।পরে একদিন সুযোগ পেয়ে মাছ ধরতে গেলেন, এরপর কি হলো?? পরের পর্বে জানতে হবে।ঠিক আছে। ধন্যবাদ আপু মাছ ধরার গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
বরশি দিয়ে মাছ ধরতে বেশ মজা লাগে। ছোটবেলায় আমরা অনেক বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছি। আমার বরশিতে খুব একটা মাছ উঠত না। তবুও আনন্দ করে মাছ ধরতে বেশ ভালো লাগত।আপনি বরশি চুরি করে বাড়ির পাশে ডোবাতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। এটি শুনে আমার বেশ মজা লেগেছে। সত্যি আপু এই স্মৃতিগুলো সারা জীবন চিরনবীন হয়ে থাকে আমাদের স্মৃতিতে।
সত্যি বলতে আপু ছোটবেলার স্মৃতিগুলো যদি আবারও এখন স্মরণ করা যায় তাহলে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। আপনিও আপনার ছোটবেলায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পরিবেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আপনার বড় বোন বড়শি দিয়ে মাছ ধরায় বেশ এক্সপার্ট ছিল জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনি বড়শি চুরি করে আপনাদের বাড়ির পাশে ডোবাতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এই বিষয়টি সত্যি বেশ মজার। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
মাছ ধরার গল্প পরে তো ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। পুকুরে অনেক মাছ ধরেছি। বরশি দিয়ে মাছ ধরতে ভীষণ ভালো লাগতো। তবে অনেক দিন হয়েছে মাছ ধরা হয়নি। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ছোটবেলায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছেন আর সেই গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। তবে তফাতটা আপনার থেকে আমার এই জায়গাটাই আপু আপনার ছোটবেলায় ধরেছেন আর আমরা ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত ধরছি। যাইহোক অনেক সুন্দর ছিল, ভালো লাগলো আপনার ছোটবেলার এই কাহিনীটি পড়ে।