চট্টগ্রাম ভ্রমণ//আমার পরিবার নিয়ে ভ্রমণ গাজীপুর থেকে চট্টগ্রাম(বি এফ ডি সি)পর্ব-৪
স্টিমিটের বন্ধুরা,
আসসালামুয়ালাইকুম।
আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব নিয়ে। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। তাহলে চলুন চতুর্থ পর্বের ভ্রমণ কাহিনীটি শুরু করা যাক।
চট্টগ্রামের পারকি বিচের ভ্রমণ শেষ করে সেদিন বাসায় ফিরে ঐদিন রাতেই পরবর্তী দিনে কোথায় যাওয়া যায় তার একটা চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিলাম। তারপর অনেক আগে থেকেই শুনেছি চট্টগ্রাম মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন নাকি অনেক সুন্দর, সকলের সম্মতি ক্রমে পরবর্তী দিনে চট্টগ্রাম মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন যাওয়ার সিদ্ধান্ত হল। আসলে এত শর্ট টাইমে এত সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্দেশ্য হল আমাদের সময় কম ছিল, কারণ আমাদেরকে আবার গাজীপুরে ফিরে যেতে হবে খুব তাড়াতাড়ি।
যাইহোক পরের দিন সকালে উঠে আমরা সবাই নাস্তা করে নিলাম। যেহেতু চট্টগ্রাম মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন আমার ছোট বোনের বাসা থেকে খুবই কাছে, কর্ণফুলী নদীটা পার হলেই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি দুপুরের পরেই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাইকে নিয়ে ঘুরে আসব। দুপুর পর্যন্ত সবাই অনেকটা রেস্ট করে নিলাম, যেহেতু এর আগে অনেক ঘুরাঘুরি করা হয়েছে। যেহেতু দুপুর পর্যন্ত সবাই বাসায় রয়েছে তাই বাসায় আমার ছোট বোন বেশ ভালো খাবার-দাবারের আয়োজন করেছে। আসলে ওদের বাসায় খুব একটা আসা হয় না, অনেকদিন পর আসলাম তাই ওরাও অনেক রকম আইটেমের খাবার দাবার তৈরি করেছে।
কথা বলতে দুপুর হয়ে গেল সবাই গোসল করে রেডি হয়ে নিলাম । এর মধ্যে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফেললাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আরো ঘন্টাখানে রেস্ট করে নিলাম, তারপর সবাইকে নিয়ে চট্টগ্রাম মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। মোটামুটি আমরা সবাই মিলে মানুষ ছিলাম ৮ থেকে ১০ জন বাচ্চারা সহ। তাই চারটা রিক্সা নিয়ে আমরা প্রথমে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাশে সদর ঘাটে চলে গেলাম। কারণ সদরঘাট থেকেই নৌকা করে আমাদেরকে নদী পার হয়ে যেতে হবে। সদরঘাটে এসে আমরা নৌকায় উঠে গেলাম। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি এখানে নৌকা ভাড়া জনপ্রতি ১০ টাকা করে নিয়ে থাকে। তারপর আমরা নৌকায় উঠে আস্তে আস্তে নদী পার হতে লাগলাম।
নদীর পার হওয়ার মধ্যেই নৌকায় একটা লোকের সাথে পরিচয় হলো সে অবশ্যই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের একজন কর্মকর্তা। তিনি আমাদের কথাবার্তা শুনে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কোথায় যাবেন? তারপর আমার হাজব্যান্ড বললেন যে মেরিন একাডেমিতে যাব। তখন তিনি বললেন যে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনে তো সবাই ঢুকতে পারে না আপনাদের কি কোন পরিচিত কেউ আছে যার মাধ্যমে আপনারাই সেখানে ঢুকবেন? তখন আমার স্বামী উত্তর দিলেন যে না, আর আমরা তো কখনো যাইনি আসলে বিষয়টা সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। তখন লোকটি আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন আমরা কোথা থেকে এসেছি? তখন আমার হাজব্যান্ড বললো যে আমরা অনেক দূর গাজীপুর থেকে এসেছি চট্টগ্রাম শহর দেখার জন্য।
তারপর তিনি আমাদেরকে বললেন যাই হোক আপনারা চিন্তা করবেন না আমি অবশ্য মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের একজন কর্মকর্তা, আমার নাম ইসমাইল হোসেন। আপনারা গেটে গিয়ে আমার নাম বললেই হবে। গেটে গিয়ে বলবেন আমরা ইসমাইল সাহেবের আত্মীয় এরপরও যদি আমাকে ফোন করে আমি বলে দেবো কোন সমস্যা নেই। আমরা তো প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম কিন্তু ওনার কথাতে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এলো। তারপর উনাকে ধন্যবাদ দিয়ে উনি সহ আমরা একসাথে নৌকা থেকে নেমে পড়লাম। আসলে আমরা সব সময় বলি যে পৃথিবীতে ভালো মানুষ নেই, ভালো মানুষ না থাকলে পৃথিবী চলতোই না কত আগেই ধ্বংস হয়ে যেত, এই লোকটি তার একটা উদাহরণ। সে নিজ থেকে আমাদেরকে অনেকটা সহযোগিতা করল তা না হলে আমাদেরকে কিন্তু গেট থেকে ফিরে আসা লাগতো।
নৌকা থেকে নেমে আমরা মোটামুটি হেঁটে হেঁটে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের গেটে চলে গেলাম ১০ মিনিটের মধ্যে, কাছে থাকার কারণে আর গাড়ি নেই নেই। গেটে গিয়ে সিকিউরিটি কে সেই ইসমাইল সাহেবের নাম বললেন আমার স্বামী। অবাক বিষয় সিকিউরিটি আর একটা কথাও জিজ্ঞাসা করেনি সে সরাসরি আমাদেরকে ঢুকতে অনুমতি দিয়ে দিল। এতে করেই বুঝা গিয়েছে যে ইসমাইল সাহেব এই প্রতিষ্ঠানের অনেক বড় একজন কর্মকর্তা। যাই হোক আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমরা গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম যেতে যেতে অনেকটা ভিতরে চলে গেলাম। ভিতরে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের বাগান রয়েছে প্রথমে সেই ফুলের বাগান গুলো পরিদর্শন করলাম।
লোকেশন
চলবে...............
ধন্যবাদান্তে
@sanuu
গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.