The Diary Game Season 2: August 3, 2020: আমার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন কবে পূর্ন হবে।
যৌবন আমার টলমল। সেই কবেই বিয়ের বয়স পার হয়েছে। যাক অনেকদিন পর বাসায় বিয়ের কথা উঠেছে। হঠাৎ করেই আজ মেয়ে দেখতে যাবে। আমি তো মহা খুশ। ভিতরে লাড্ডু এক্কেবারে ফুটে গেছে। যাক আমিও ভালো করে শ্যাম্পু সাবান মেখে গোসল করে একেবারে চকচকা হয়ে গেলাম। আয়নায় নিজের চেহারাটা বার বার দেখছি আর মুচকি হাসছি। মাঝে মধ্যে দরজার দিকে উঁকি মারছি কেউ দেখছে না তো আবার। না হলে ভিষন লজ্জায় পরে যাবো।
যাক শুট বুট আর পার্ফিউম মেরে রেডি। বাড়ির দুজন মুরুব্বি আর এক ভাবি সহ আমি মেয়ের বাসায় উপস্থিত। যথারীতি মেহমানদারি চলছে। মেয়ে চা নিয়ে আসলো। আমি তো লজ্জায় বাকা চোখে একটু দেখেই চোখ বড় বড় করে ফেলেছি। মনে ধরেছে মেয়ে। মনে মনে পন করে ফেললাম বিয়ে করলে এই মেয়েরেই করবো।
মুরুব্বি আর ভাবীরা আপনাদের হবু ভাবীকে বিভিন্ন ধরনের যেরা করতে থাকলো। আর এদিক আমি বিরক্ত হচ্ছি। যতোই হোক মনে ধরেছে, তার কষ্ট হলে আমারও তো কষ্ট হবে। সব শেষে আমাদের দুজনকেই আলাদা রুমে ছেড়ে দিল কথা বলার জন্য। আমিও লজ্জা পাই সেও লজ্জা পায়। এভাবেই দুই মিনিট নীরবতা পালন করে লজ্জা শ্রমের মাথা খেয়ে বলেই ফেললাম নাম কি তোমার? তারপর একে একে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করে রীতিমতো একটা কনভারজেশন হয়ে গেলো।
অবশেষে সব কিছু ঠিকঠাক দিন তারিখ ও ঠিক করে বিয়ে হয়ে গেলো। বাসর রাতে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে যেই বউয়ের পাশে বসে ঘোমটা উঠাবো ওমনি চিৎকার দিয়ে
-নবাবজাদা, আর কত ঘুমাবি, তোর বাপ জমিদারি রাখে গেছে? উঠ জলদি করে।
বিয়ে সাদী সব খান খান হয়ে গেলো। বাসর রাতের মধু আর খাওয়া হল না। ইহা একটা স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন ভঙ্গের মধ্য দিয়ে ঈদের তৃতীয় দিনটি শুরু হলে।
একে তো এতো মধুর স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো তার উপর মায়ের বোকা। এই নিয়েই দিনটি শুরু হলেও মোটেও খারাপ যায় নিই। তারাহুরা করে ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে আসে নাস্তা করতে বসলাম। কোরবানির গরুর গোস্তের ঝোল আর গরম গরম রুটি আহ কি টেষ্ট। আমি আবার খাওয়ার সময় পিক তুলে না। খুব মনোযোগের সহিত খাই। এমনিতেই মায়ের হাতের রান্না পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রান্না। ঘ্রান যেন লেগেই থাকে।
যাক নাস্তা করে একটু বিছানায় রেস্ট নিলাম। রেস্ট তো যেমন তেমন গরমে অবস্থা খারাপ। ফ্যানের বাতাস গায়ে লাগতেই না। ভাবলাম যাই একটু মাঠে গিয়ে গাছের নিচে বসে থাকি।
যেই ভাবা সেই কাজ। এইতো ১০০ গজ দূরেই মাঠ। রোদের তাপ আর গরম সহ্য করে মাঠে গিয়ে দেখি অনেকেই খেলছে। এই গরমে খেলার আর সাহস যোগাতে পারলাম না। গাছের ছায়ার নিচে বসে বসে খেলা দেখছিলাম। তাতেও শান্তি নেই। গাছের একটা পাতাও নরে না। বসে বসেই ঘেমে যাচ্ছিলাম।
অবশেষে আবার বাসায় এসে গোসলটা সেড়ে নামাজ পরে দুপুরের খাওয়া করলাম আমি আম্মু আর আপু।
বলতে ভূলে গিয়েছিলাম এরেই মাঝে আমার কাজিনের জামাই আর তার দুটা কিউট বাবু এসেছিল। তাদের সাথে অনেকক্ষণ কথা মজা সব হয়েছে।
অবশেষে দুপুর গড়িয়ে বিকাল, বিকাল গড়িয়ে রাত যেভাবে প্রতিনিয়তই আমার সময় কাটে। রাতে বন্ধুদের এলাকায় গিয়ে অনেকদিন পর আড্ডা। অতঃপর রাত ১০.৩০ মিনিট হয়ে গেলে বাসায় এসে ডিনার নামাজ পরে পোস্ট লিখতে বসলাম।
সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কষ্ট করে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমর জন্য দোয়া করবেন যেন আগামীকালও আপনাদের সামনে নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হতে পারি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
আপনার কথার মাঝে যেমন কৌতুক ভাব থাকে ঠিক আপনার ব্লগে সেই কৌতুকের মিল পাওয়া যায় সত্যি আপনি অনেক মজার কথা ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করেন। কিন্তু দুঃখটা এক জায়গাতেই আপনি ক্রিকেটার না আপনি দর্শক🤣
জীবনে ভালো থাকতে হলে মনে রং রাখতে হবে। যেদিন থেকেই তোমার মনের রং চটে যাবে সেদিন থেকেই জীবনটা পানসে হয়ে যাবে। আমি সব সময় হাসি খুশি থাকতে পছন্দ করি।
তবে ক্রিকেট অনেক আগেই বাদ দিছি। সেই বাদ দিছি আর কখনো ব্যাট হাতে ক্রিজে নামি নাই বল হাতে দশ কদম দৌড়ে এসে ব্যাটসম্যানকে উদ্দেশ্য করে ছুড়ে মারা আর হয় নাই। সেই থেকে ইয়োরকার আর মারা হয় নিই বলের আঘাতে ব্যাটসম্যানের পিছনের ইউকেট গুলোও ফেলা হয় নিই।
সেই আগের খেলা গুলো মনে পরলে খুব মিস করি আমি নিজেকেই।
আমিও সবসময় হাসিখুশি থাকি এবং অন্যেও হাসাই।আমিও ক্রিকেট খেলা কমাই দিছি। রংপুর স্টেডিয়াম পর্যন্ত আমি খেলছি😁😁
খেলাধুলা করলে শরীর ও স্বাস্থ্য দুটাই ভালো থাকে। আমি সময়ের অভাবে খেলাধূলা ছাড়ছি।
সবকিছুরই একটা লিমিটেশন থাকে ভাই।বয়স তো আর কম হলো না,কিছু করতে হবে বিয়ে করার লাগবে🙄🙄
হুম ভাই। আগে স্টিম কামাই করি। তারপর বিয়ে 😛
আসলেই আপনার কাজিনের বাবু অনেক কিউট দেখতে। অনেক সুন্দর ব্লগ লিখেছেন৷ ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই। একটু লেখার চেষ্টা করি। ভাঙ্গাচুড়া হাতে ভালো লিখতে পারি না তবুও একটু চেষ্টা।
সুন্দর ডায়েরি পোস্ট।
আশা করি আপনার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন একদিন পূর্ণ হবে। আর স্বপ্ন পূর্ণ হলে (বিয়ে হলে) আমাদের দাওয়াত দিতে ভুলবেন না। কয়েক দিন থেকে প্রচুর গরম। এই গরমে খেলাধূলা করা খুব কঠিন। গরমে বেশি বেশি পানি পান করতে পারেন। লেবুর শরবত পান করতে পারেন। এতে আপনি সতেজ থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাই।
এই গরমে অবস্থা কাহিল। অন্তত স্বপ্নটা পূরন হলে বউয়ের হাতের শরবত শরীর ও মন দুটোকেই শিতল করে ফেলতো।
আপনাকে ধন্যবাদ কষ্ট করে পোস্টটি পরার জন্য ও সুন্দর সাজেশন দেওয়ার জন্য।
সুন্দর পোস্ট ভাই।
প্রথম এ লেখা পড়ে ভেবেছিলাম আজ সত্যি মনে হয় মেয়ে দেখতে যাচ্ছেন।কিন্তু একদিন এ যখন বিয়ে পর্যন্ত চলে গেলেন তখন আমিও ভাবলাম স্বপ্নই হবে হয়ত।
আমাদের এইদিকেও প্রচুর গরম। তাই আমি বিকেল বেলা খেলা করি।
হা হা হা । ধন্যবাদ ভাই কষ্ট করে পড়ার জন্য।
যা গরম তাতে সহ্য করা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভাই। আজকের পোস্টটি পড়ার আমন্ত্রণ রইলো ভাই। আশা করি মজা পাবেন।
Steem Bangladesh
Hi @unicode your post has been upvoted by @steem-bangladesh courtesy of @sajibmolla17
JOIN US ON Discord
You have been upvoted by @tarpan A Country Representative from BANGLADESH we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update on Steem Community and other writing challenges and contest such as The diary game
Also join LUCKY 10S