Steem Bangladesh Contest - Travel | | Travel to a Nursery | | 30% beneficiaries goes to @hive-138339
আসসালামু আলাইকুম
আজকে আমি Steem Bangladesh কর্তৃক আয়োজিত Travel কন্টেস্টটিতে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে একটি নার্সারীতে গিয়েছিলাম।
নার্সারী কী
নার্সারী হলো এমন একটি স্থান যেখানে সব ধরনের গাছের চারা পাওয়া যায়। আজকাল মানুষ তাদের বাড়ির সামনে বাগান করে বা সরকাল রাস্তা ও নদীর দুই পাশে যে বৃক্ষগুলো রোপন করে এতো চারা কোথায় পায়? সব চারা আসে নার্সারী থেকে। নার্সারী হলো একটি পরিবেশ বান্ধব প্রতিষ্ঠান। কেননা এটি পরিবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গাছ বা বৃক্ষ নিয়ে কাজ করে। এখন আমি আমার নার্সারী ভ্রমনের কাহিনীটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
একদিন বিকালে আমার বন্ধু ফেরদৌস ও সৌম্য ফোন দিয়ে আমাকে পার্কের মোড়ে ডাকলো। পার্কের মোড় হলো রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মোড়। আমার মেস থেকে পার্কের মোড় মাত্র ৫টাকা ভাড়া। তাই আমিও চলে গেলাম ওদের কাছে। গিয়ে ফেরদৌসের মেসে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলাম। তারপর সৌম্য আসলো এবং বললো যে আমরা একটি নার্সারীতে যাবো এবং সৌম্য কয়েকটা গাছের চারা কিনবে। তারপর আমরা একটা রিকশা নিলাম। রিকশায় করে তিন বন্ধু মিলে চললাম নার্সারীর উদ্দেশ্যে। পার্কের মোড় থেকে নার্সারীটির দুরত্ব ছিলো সামান্য। তাই কিছুক্ষনের মধ্যেই সেখানে পৌছে গেলাম।
আমার বন্ধু সৌম্য হলো রংপুরের স্থানীয়। আর ও এর আগেও ওই নার্সারী থেকে চারা কিনেছিলো তাই নার্সারীর দায়িত্বে থাকা লোকটির সাথে সৌম্যের বেশ ভালো খাতির ছিলো। নার্সারীর নাম ছিলো বাবলু নার্সারী। সম্ভবত এই নার্সারীর মালিকের নাম বাবলু। এই নার্সারীটিতে ছিলো অনেক রকমের ফুলের গাছ। আমাদের খোলাহাটিতে যতগুলো নার্সারী আছে সবগুলো মিলে এই নার্সারীর সমান হবে কি না সন্দেহ আছে। বিশাল আয়তন জুড়ে থাকা এই নার্সারীটিতে দেখাশোনা করার জন্য মাত্র দুইজন লোক থাকে। এরপর সৌম্যর সাথে একটা লোক দেখা করলো এবং সৌম্যকে তার প্রয়োজনীয় গাছের চারা দেখাতে নিয়ে গেলো। এই ফাকে আমি নার্সারীটি ঘুরে দেখতে শুরু করলাম।
নার্সারীটিতে অনেকগুলো ফুলের গাছ ছিলো। কিন্তু আমি ফুলগুলোর নাম জানতাম না। তাই ঘুরতে শুরু করলাম আর ছবি তুলতেছিলাম। ঘুরতে ঘুরতে দেখলা ২জন মেয়ে এসেছে চারা কেনার জন্য। মেয়েদুটো একটু দেখাদেখির পর ২টা গোলাপ ফুলের গাছ কিনলো। সেখানে কর্মরত থাকা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন যে এই নার্সারীতে প্রায় ৬০ রকমের ফুলের চারা আছে। শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। মাত্র ৮-১০ টা ফুল ছাড়া বাকি একটাও চিনি না আমি। যাই হোক সেখানে থাকা ফুলগুলো আমাকে আকর্ষিত করেছে। অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ ছিলো সেখানে।
নার্সারীতে ফুলের গাছের পাশাপাশি অনেকগুলো ফলের গাছ ও ঔষধি গাছের চারা ছিলো। অ্যালোভেরাসহ নাম না জানা অনেকগুলো ঔষধি গাছের চারার উপস্থিতি ছিলো নার্সারীটিতে। অনেকদিন পর একটা নিরিবিলি পরিবেশে অনেকগুলো গাছের চারা একসাথে দেখে বেশ ভালোই লাগলো। আর নার্সারীর ভিতরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা ছিলো গাছ লাগান পরিবেশ বাচান। যেটা সত্যিই একটা চমৎকার বিষয়। তবে নার্সারীটি রাস্তার ধারে থাকার কারনে মাঝে মাঝে যানবাহনের ধোয়া আসে এখানে। এছাড়া এর পরিবেশ অনেক সুন্দর।
ঘুরতে ঘুরতে সৌম্য গাছের চারা কিনে ফেললো। কয়েকটা অ্যালোভেরার চারা ও কয়েকটা ফুলের গাছের চারা কিনলো। ফুলের চারা ছাদে ও অ্যালোভেরা ড্রয়িং রুমে লাগাবে। চারা নেয়ার পর তিনজন মিলে আর একবার নার্সারীটি ঘুরে দেখলাম। তারপর কয়েকটা ছবিতুলে সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম। নার্সারী থেকে এসে চারাগুলো সৌম্যের বাড়িতে রেখে চলে গেলাম হোটেলে। হোটেলে গিয়ে নাস্তা করে তারপর সেখান থেকে চলে আসলাম আমার মেসে। আর এভাবেই আমার ভ্রমনের পরিসমাপ্তি ঘটলো।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য @maulidar ও @mn14 কে আমন্ত্রণ যানাচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
very beautiful place. bright flowers as a beautiful sight.😊
অনেক সুন্দর ছিল আপনার ভ্রমন স্থানটি। নার্সারি মানে সকল গাছের বাগান। ধন্যবাদ সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য।।
বাগান সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানতে পারলাম। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
ভ্রমণের পাশাপাশি আপনি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন