1000 DAYS OF STEEM|| THE DIARY GAME:10/08/2020|| A Jolly Day
হ্যালো বন্ধুরা,, কেমন আছো সবাই আশা করি সবাই খুব ভাল আছ এবং নিরাপদে আছো। আমার দিনটা আজকে সত্যি খুব ভালো কেটেছে। চলো তোমাদের সবার সাথে সেই ব্যাপারটা শেয়ার করা যাক কি কি করলাম আজ সারাদিন।
আমার সকাল
আজকে সকাল ৮ টায় ঘুম থেকে উঠলাম।ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ছাদে গেলাম কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। তারপর পেট ভরে জল খেলাম ।রোজ সকালবেলা জল খাওয়া আমার একটা ভালো অভ্যাস বলা যায়। কিছুক্ষণ পরেই সকালবেলা খিচুড়ি আর ডিম ভাজি খেয়ে নিলাম। সকালবেলা খিচুড়ি আর ডিম ভাজি হলে মনটা আসলে একদম চাঙ্গা হয়ে যায়। যাই হোক তারপরে পড়ার টেবিলে বসলাম। আসলে করোনার জন্য অফিসে এখনো জয়েন করিনি তাই যতদিন বাড়িতে আছি চেষ্টা করছি টুকটাক সরকারি চাকরির প্রিপারেশন নেয়ার ।
আমার দুপুর
দুপুর বারোটা বাজলে পড়ার টেবিল থেকে উঠে গেলাম। যখন দেখলাম রান্নাঘরে আজকে দারুন রান্নার আয়োজন আছে মনটা আবার খুশিতে ভরে গেল ,আসলে আমি খেতে খুব ভালোবাসি তো। বুঝতে পারলাম আজকে সারাদিন আমার ভুড়ি ভোজন টা বেশ ভালই হবে। তারপর আমার সেই প্রিয় জিনিস আমার উকেলেলে নিয়ে বসলাম। এই জিনিসটা বাজানোর জন্য আমার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। সারাদিন রাতে যখন ইচ্ছে করে তখনই নিয়ে বসি। আজকে আমার প্রিয় এক ছোটভাই রাজীব কর্মকার এর সাথে অনেকক্ষণ ধরে ভিডিও কলিং এ ইউকুলেলে প্র্যাকটিস করেছি । সত্যি ভীষণ ভালো সময় কেটেছে।
দিনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত
তারপর যখন 1:30 বেজে গেল আমি স্নানে গেলাম। ঠিক 2:30 দিকে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
আমার দুপুরের ভোজন😊😊
বাড়িতে সারাদিন থাকতে-থাকতে দুপুরে ঘুমানোর একটা ভালো অভ্যাস হয়ে গেছে বলা যায়। কিছুক্ষণ হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুকে সময় দিয়ে ছোট্ট একটা ঘুম দিয়ে নিলাম।
আমার বিকেল সন্ধ্যে ও রাত
গতকাল রাতে আমার স্কুলের বন্ধু অর্ক আমাকে ফোন করেছিল, আমরা দুজন তখনই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে আজকে বিকেল ছয় টায় আমরা একসাথে ঘুরতে বেরোবো। যা কথা সেই কাজ। দুজন বিকেলে অনেক ঘোরাঘুরি করলাম। সত্যি বলতে দুজন দুজনের অনেক কথা শেয়ার করলাম। মনটা কেমন যেন হালকা হয়ে গেল একদম। বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা টা পার হয়ে গেল। বাইরে থেকে এসে খুব ভালোভাবে হাতমুখ ধুয়ে মা-বাবার সাথে চা খেয়ে নিলাম। সাথে পাড়ার প্রতিবেশীর নানান ধরনের গল্প হল। ঠিক যখন রাত আটটা বেজে গেল যথারীতি আমার সেই দুষ্টু ভাগ্নে ভিডিও কলিং এ উপস্থিত হল। কত মজা যে করলাম ,ও আমাকে অনেক ছড়া শোনালো। আসলে ওর আদো আদো মুখে যেটাই বলে সেটাই যেন শুনতে একদম মধু মধু লাগে। অনেক হাসাহাসির পরে আবার পড়তে বসলাম। সন্ধ্যার পরের সময়টা আমি অংক করতে বেশি ভালোবাসি। আর এই অংক গুলো করার সময় স্কুল লাইফের অনেক কথাই মনে পড়ে যায়। কত দুষ্টুমি কত আড্ডা। কি সময় গুলোই না পার করে এসেছি।
এই বই টা দিয়েই রোজ প্র্যাক্টিস করছি
এই তো এভাবেই কখন যেন দশটা বেজে গেল। পড়ার টেবিল থেকে উঠে হাতে উকেলেলে টা নেয়া আমার এক ধরনের অভ্যাস হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ বাজানোর পরে মা রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার জন্য ডাকলো। সারাদিন তো একদম বিন্দাস খাওয়া হয়েছে তাই রাতে একটু হালকা খাবার খেয়ে নিলাম। কিছুক্ষন টিভি দেখলাম । আর তারপর অল্প একটু পড়াশোনার নাটক করলাম। কারণ ওই সময়টাতে বই পড়ার বদলে ফোনটা নিয়েই মনে হয় বেশি পড়ে থাকি। ও হ্যাঁ, সারাদিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমার প্রিয় মানুষটাকে সময় দিতে আমি একদম ভুল করিনা। 😊❤️😍
তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই রাখছি। কালকে আবার দেখা হবে । সবার দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতা কামনা করছি।🌛🙏
অনেক সুন্দর হয়েছে ব্লগটি।আপনি একজন অনেক ভালো ব্লগ লেখক।
ভাই @sanaulhaque অনেক ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য।
সুন্দর ডাইরি লিখেছ দাদা।
সকাল বেলা জল খাওয়া আসলেই একটি ভালো অভ্যাস । আমিও ঘুম থেকে উঠে জল খাওয়ার চেষ্টা করি। @roy.sajib দাদা কেমনে এত কিছু করেন🙄
একাধারে চাকরি, তারপর BCS নামক সোনার হরিন, ইউকুলেলে , এত খাওয়া দাওয়া কিন্তু শরীর ফিট রাখা, আবার সময়ও দেন 👀👀 পুরাই গুরু🙏
অনেক ভাল লেখেন দাদা , আপনার দিন অনেক ভাল কাটছে আজকে।
ধন্যবাদ
Excellent post bro, carry on
Valoi thasicchu.