একজন ভ্রাম্যমাণ হরেকরকমের দোকানদার
স্টিম ফর ট্রেডিশন |
---|
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ।আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি গ্রামাঞ্চলে আসা ফেরিওয়ালা সম্পর্কে আপনার মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবার ভাল লাগবে।
জীবীকা নির্বাহ করার জন্য আমাদের নানা কিছু করতে হয়। আমাদের সমাজে যেমন উচ্চশ্রেণির মানুষ রয়েছে তেমনি নিম্নশ্রেণির মানুষজনও রয়েছে। আমার সমাজে অনেকেই চিকিৎসক,প্রকৌশলী,শিক্ষক,সিভিল ডিফেন্স ইত্যাদি নানা ধরনের সম্মানজনক পেশায় নিয়োজিত আছেন।আবার অনেকেই রিকশা চালক,মুচি,বিভিন্ন ধরনের ফেরিওয়ালা,খুচরা ব্যবসায়ী,দিনমজুর,নাপিত এসব পেশার সাথে জড়িয়ে আছেন।আমাদের সমাজে এই পেশাগুলোকে নিম্নশ্রেণির পেশা বলা হয়। যদিও আমার মতে হালাল সবকিছুই উত্তম।অনেকেই আবার ব্যবসার সাথে জড়িয়ে থাকেন।কারও আবার অনেক বড় ব্যবসা,কারও ব্যবসা ছোট্ট। এই ছোট্ট ব্যবসাগুলোর মধ্যে একজন ফেরিওয়ালার ব্যবসা অন্যতম।
যারা মূলত শহরে ও গ্রামে খুচরা জিনিসপত্র ফেরি করে থাকেন তাদের ফেরিওয়ালা বলে।গ্রামে বিভিন্ন ধরনের ফেরিওয়ালা থাকেন।যেমন:অনেকেই ভাংড়ি মালামাল ক্রয় করে বাদাম,ছোলা,চানাচুর মাখা বিক্রি করেন।এরা এক ধরনের ফেরিওয়ালা। আবার অনেকেই চুরি,দুল,ফিতা,সাজ সজ্জার জিনিসপত্র এসব বিক্রি করেন।আবার অনেকই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করে থাকেন।আমি আজ এ ধরনের ফেরিওয়ালা নিয়ে কথা বলব।
এই ব্যবসাটি মূলত স্বল্প পুঁজির একটি ব্যবসা।স্বল্প পুঁজির ব্যবসায় লাভ বেশি হয়।এই ফেরিওয়ালারা মূলত ভ্যানে করে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে আসেন।আগে কিন্তু এসব ফেরিওয়ালারা কাঁধে ভার নিয়ে এসব জিনিসপত্র নিয়ে আসতেন।কিন্তু এখন প্রযুক্তি উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে।সবাই এখন সুবিধা খোঁজে।তাই তারাও কষ্ট করে ঘাড়ে চেপে না এনে ভ্যানে করে আনেন।এতে পরিশ্রম কম হয়।ফেরিওয়ালারা মূলত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরি করে থাকেন।এজন্য তাদের সারাদিন বাইরে কাটাতে হয়।তাদের কাছে মূলত সিলভার ও স্টিলের হাড়ি-পাতিল,বালতি,মগ,গ্লাস,গামলা,খেলনা,বিভিন্ন ধরনের কন্টেইনার ও টিফিন বক্স ছাড়াও প্লাস্টিকের সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়।উপরের ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায় যে তারা কেমন জিনিসপত্র থাকতে পারে।তাদের কাছে ভাল ও খারাপ উভয় মানের জিনিসপত্র পাওয়া যায়।যার যেরকম চাহিদা সে ভিত্তিতে তিনি জিনিসপত্র এনে থাকেন।
এদের মূলত গ্রামেই এসব জিনিস বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। কারণ গ্রামের মহিলারা তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো কিনতে বাজারে যেতে পারেন না।কারণ তারা সবসময় ঘরমুখো।তাই তাদের যেসব জিনিসপত্রের প্রয়োজন পড়ে তারা সেগুলো এই ফেরিওয়ালাদের কাছে ক্রয় করেন।এই ফেরিওয়ালারা অল্প লাভেই এসব জিনিসপত্র বিক্রি করেন।তাদের দৈনিক লাভের পরিমাণ ১০০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কারণ এসব জিনিসে লাভ বেশি হয়।তবে এই টাকা দিয়েই তাকে তার সংসার চালাতে হয়।আমরা অনেকই এই ছোট পেশাগুলোকে মূল্যহীন মনে করি।তবে অনেকের এই পেশা দিয়েই সংসার চলে।আমাদের উচিৎ সকল হালাল কর্মকে সম্মান দেওয়া। কারণ হালালে বরকত অর্থ্যাৎ সমৃদ্ধি রয়েছে।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
---|---|
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
এরকম ভ্রাম্যমান দোকানদার আমাদের এলাকায় প্রতিদিনই দেখা যায়। খুব কম দামে এদের কাছ থেকে জিনিস পাওয়া যায়। এদের দোকান ছোট হলেও এরা বিভিন্ন ধরনের আইটেম রাখে। বিক্রিও অনেক ভালো এসব দোকানের। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ।
এই ভ্রাম্যমাণ হরেকরকমের দোকানদার গুলো সাধারণত গ্রামাঞ্চলেই বেশি পরিমাণে দেখা যায়। হরেকরকমের দোকান বলতে বুঝায় সাধারণত যে সব দোকান সব ধরনের জিনিসপত্র থাকে তাদেরকে বলা হয়েথাকে।
ধন্যবাদ।
ভ্রাম্যমান এই ফেরিওয়ালাগুলো গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকেন। এরা একটি সাইকেলে এত বেশি জিনিস নিয়ে কিভাবে যাতায়াত করে আমার দেখলে অবাক লাগে।আপনার শেয়ার করা ছবিটা দেখলেই বোঝা যায় এরা আসলে কতগুলো পণ্য একসাথে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
ভ্রাম্যমাণ হরেকরকমের দোকানদার গ্রামের শহরের অলিতে-গলিতে ঘুরে মালামাল বিক্রি করে। এদের গ্রাহক মহিলা মানুষ বেশি। গ্রামের মা বোনরা তাদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এসব দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারে। সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করছেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
এরকম হরেক মালের দোকানগুলো সাধারণত গ্রাম অঞ্চলেই বেশি দেখা যায়।এই দোকানগুলোতে গ্রামের মহিলারাই বেশি ভিড় হয়।তারা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এইসব দোকান থেকে ক্রয় করে। আমাদের গ্রামেও এইরকম হরেকমালের দোকান আসে। একজন ভ্রাম্যমান হরেক মালের দোকান নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ।
গ্রামের মানুষের কাছে হরেক রকম মালের এই ফেরিওয়ালা গুলো বেশ পরিচিত। কারণ তারা প্রায়ই গ্রামে গ্রামে ঘুরে এবং তাদের এই হরেক রকমের জিনিস গ্রামের মানুষের কাছে বিক্রি করে। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ।
ফেরিওয়ালা নিয়ে দারুণ লেখছেন আপু ।আপনি সুন্দর একটা কথা বলছেন আমাদের সমাজে কারো বড় পেশা আর কারো ছোট পেশা।জীবিকা নির্বাহের জন্য সব কিছু করতে হয়।ফেরিওয়ালা সব থেকে গ্রামের মধ্যে বেশি দেখা যায়।আপনি দারুণ আলোচনা করছেন ফেরিওয়ালা নিয়ে।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ।
https://twitter.com/Tamanna21464/status/1685623240843255810?t=ovUhHKb_ebAVrWc4ztRc1A&s=19
আমাদের এলাকায় কমবেশি প্রতিদিন দশ থেকে বারোটা করে হরেক মালের দোকানদার আছে। আমাদের এলাকাটা অনেক বিশাল তাই এখানে বিভিন্ন রকমের হরেক মালের দোকানদারেরা আসে। হরেক মালের দোকানদারদের প্রদান আকর্ষণ মহিলা মানুষেরা এবং ছোট বাচ্চারা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ।
গ্রামে ভ্রাম্যমাণ এমন হকানের দোকান গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গ্রামের মা চাচিরা সবসময় বাজারে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস পাতি কিনতে পারেনা কিন্তু এমন হকারের দোকান গ্রামে আসায় সহজেই কিনতে পারে।হাড়ি, পাতিল অনেক সহজেই কেনা যায় তাদের কাছে থেকে আবার পুরাতন পাতিল দিয়েও নতুন পাতিল নেওয়া যায়। তারা অল্প পুজিতে এই ব্যবসা করে থাকে।
ধন্যবাদ।