আজকের কিশোররা ফ্রি ফায়ার গেমে আসক্ত

in Steem For Traditionlast year

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি একটি নতুন টপিক নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। তো চলুন শুরু করা যাক।

Picsart_23-07-21_12-41-15-368.jpg

বর্তমানে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন। আর এই যুগের বাচ্চারাও অনেক এডভান্স। যার কারনে এখন সবার হাতেই স্মার্টফোন থাকে। স্মার্টফোন এখন মানুষের জীবনের সাথে এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে এটা ছাড়া এক মুহুর্তও থাকা যায় না। আগেকার কিশোররা অবসর সময় পেলে ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি খেলা খেলতো। এইতো করোনা ভাইরাস আবিষ্কারের আগে পর্যন্তও আমরা পাড়ার ছেলেরা সকালে করে ক্রিকেট খেলতাম। কিন্তু সময় এখন বদলে গেছে। এখন ছেলেরা সবাই স্মার্টফোন কিনেছে আর মোবাইল গেমগুলোর প্রতি আসক্ত হয়ে গেছে। বিশেষ করে ফ্রি ফায়ার। এই গেমটা আমাদের পাড়ার সব ছেলেরাই খেলে। বৃষ্টির সময় যখন সবাই ফুটবল খেলতে যাই তখনো অনেকে ফুটবল খেলতে না এসে ফ্রি ফায়ার খেলে।


Picsart_23-07-21_12-43-05-319.jpg
Picsart_23-07-21_12-41-40-292.jpg
Picsart_23-07-21_12-41-59-045.jpg

বড়রা গেম খেলে আর ছোটরা পিছন থেকে তাদের খেলা দেখে। গেম খেলা দেখাও ছোটদের একটা নেশা হয়ে গেছে। বড় হয়ে যখন ওরাও মোবাইল কিনবে তখন নিশ্চয়ই ওরাও গেমটা খেলবে। গ্রামের সব ছেলে দোকানদার থেকে শুরু করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সবাই এই গেমে আসক্ত। আগে যেমন সবাই একসাথে ক্রিকেট খেলতাম এখন সবাই একসাথে ফ্রি ফায়ার খেলে। এই ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে যে শুধু নেট খরচ হয় তা না এই গেমের ভিতরে অনেকগুলো ইভেন্ট আসে। সেই ইভেন্ট গুলোতে কিছু জিনিস আসে যেগুলো নিতে গেলে ডায়মন্ড লাগে আর ডায়মন্ড কিনতে লাগে টাকা। ছোট ছোট ছেলেরা স্কুলের টিফিনের টাকা না খেয়ে সেই টাকা দিয়ে ফ্রি ফায়ারে ডায়মন্ড টপ আপ করে। আবার অনেকে বাড়িতে ডায়মন্ড কেনার টাকার জন্য বাবা-মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহারও করে থাকে।


Picsart_23-07-21_12-39-43-794.jpg
Picsart_23-07-21_12-40-19-030.jpg

করোনা ভাইরাসের সময় আমিও এই গেমটা খেলা শুরু করেছিলাম। তবে আমি তখন একটা টাকাও খরচ করিনি গেমের পিছনে। এখনো আমি গেমটা মাঝে মাঝে খেলি তবে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য। যখন আমার বন্ধুরা খেলে তাদের সাথে ২-১ টা ম্যাচ খেলি। কিন্তু আজকালকার ছেলেরা এটায় আসক্ত হয়ে গেছে। আমার এমন একজন বন্ধু আছে যে শুধু ২ বেলা ভাত খায়, গোসল করে আর ঘুমায় তাছাড়া সারাদিন ফ্রি ফায়ার খেলে। এইসব গেমের আসক্তি আমাদের দেশের কিশোরদের উন্নতিতে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে। আমাদের সবারই উচিত গেমে আসক্ত এই কিশোরদেরকে এটা থেকে বের করে আনা। আর এর প্রতিকারের জন্য আমাদের সবারই উচিত ১৮ বছরের আগে নিজের সন্তানকে স্মার্টফোন না দেয়া।


ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১৩
ক্যামেরা৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশনজমির হাট, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr673527MWFPCsxERaZquGbUkHMV9WZ5MJwmXkTuv41F5Tq4AiFtFdLYgppcpWVNLwb...45PzVWAMcnH3yQBxf5fXNb4aF4ANTTkpXKaNkmtZGTkGBuPWrd7E3SfVFzVaxiHJgeTsGASc2ZrWcbGiPkcj8D1MPwYnifrMpkxFpyc2eASgEzhaJ8suX7YJTg.png

তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে


Vote for @bangla.witness

Sort:  

It must be a very good game becasue everyone plays it.

 last year (edited)

আপনি ঠিকই বলেছেন এটা এখন একটি নেশায় পরিণত হয়ে গিয়েছে। করোনা চলাকালীন আমাদের এলাকার ছেলেরা এতে বেশি আসক্ত হয়ে গিয়েছিল। এখন মোটামুটি এই গেম খেলার হার অনেকটাই কমে গেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপু

 last year 

আসক্তি বড় খারাপ জিনিস বেশ কিছু দিন আগেও টেলিভিশনে দেখলাম যে কিছু ছেলে গেম খেলতে খেলতে পাগল হয়ে গেছে এবং তারা মোবাইল ছাড়া কিছুই বোঝে না। তবে তাদের ফ্রী ফায়ার গেম থেকে আসক্তি কমানোর জন্য খেলাধুলার প্রতি বেশি নজর দিতে হবে। আর অবশ্যই ছোটদের যেন তারা নষ্ট না করে সেইজন্য তারা বাহিরে না খেলে বাসায় যেন খেলে।

 last year 

হ্যাঁ ভাই। ঠিক বলেছেন।

Loading...
 last year 

ভাই আপনি সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।ফ্রি ফায়ার বর্তমান অনেক ছেলে মেয়ে খেলে।এই খেলা আমিও খেলছিলাম তবে এখন বাদ দিয়ে দিছি।সবার হাতে হাতে ফোন থাকার কারনে এ সব দেখতে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

আমাদের দেশের অধিকাংশ কিশোররা গেমে আসক্ত। এসব গেমে আসক্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন অপরাধ বেড়েই চলেছে। আগে বিকেলে দেখা যেত মাঠে ছেলেরা খেলতেছে এখন আর সেরকম দৃশ্য খুব একটা দেখা যায় না। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।শুভকামনা রইল

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

বর্তমান যুগে প্রতিটি গ্রাম বা শহরে ছেলেরা গেমস খেলায় আসক্ত। আগের যুগে প্রযুক্তি তেমন উন্নত না থাকায় তখনকার ছেলেরা অবসর সময়ে বিভিন্ন খেলাধুলায় আসক্ত ছিল।

 last year 

জি আপু

 last year 

যেকোনো অনলাইন গেমের প্রতি এরকম তীব্র আসক্তি শিশু এবং কিশোরদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শুধু এটি ব্যক্তি পর্যায়ে নয় বরং একটি পরিবারের জন্য যেরকম ক্ষতিকর তেমনি এটি দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমাদের উচিত এই বয়সের বাচ্চাদের মোবাইল এবং মোবাইল ক্রিম এর আসক্তি থেকে দূরে রাখা।বর্তমানে এই আসক্তি একটি জাতি ধ্বংসের মূল কারণ হতে পারে বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

জী আপু। ধন্যবাদ।

 last year 

স্মার্টফোনের যুগে, এখনকার পোলাপান মোবাইল আসক্ত হয়ে গিয়েছে। আগের দিনের বিভিন্ন রকম খেলা খেললেও এখনকার পোলাপান শুধু মোবাইলে গেমিং করে। যা অনেকটা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি সম্পন্ন। এবং কি এটা এক প্রকার নেশা। এসব গেমিং বর্জন করতে পারলেই জাতি উন্নদের শহরে পৌঁছাতে পারবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 65726.71
ETH 2677.61
USDT 1.00
SBD 2.91