প্রায় ২০ বছরের পুরনো সিমেন্টের তৈরি লবনদানি বা লবন রাখার পাত্র
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি অনেক পুরনো দিনের জিনিস নিয়ে লিখব। সেই জিনিসটির নাম হলো লবনদানি। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। চলুন শুরু করি,
লাবনদানি বা লবণ রাখার পাত্রের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমরা বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন সাইজের লবণদানি দেখে অভ্যস্ত। আমরা সাধারণ দুই ধরনের লবণদানি দেখতে পাই। যার মধ্যে একটি হল রান্না করার জন্য পরিমাণ বেশি লবণ রাখার পাত্র এবং খাবার খাওয়ার সময় লবণের প্রয়োজন হলে অল্প পরিমাণ লবণ টেবিলে ছোট একটি পাত্রে রাখা হয় সেটি। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো পরিবারের সদস্যসংখ্যার ভিত্তি করে লবণদানির সাইজ ছোট-বড় হয়ে থাকে।
আমরা কাঠের, মাটির, প্লাস্টিকের লবনদানির সাথে সবাই পরিচিত। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে প্লাস্টিকের লবণদানি। তবে আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি সিমেন্টের লবনদানি নিয়ে লিখব। হ্যাঁ, আপনারা ঠিকই শুনেছেন এটি একটি সিমেন্টের তৈরি লবনদানি যেটির ব্যবহার আমার জন্মের আগে থেকে হয়ে আসছিলো। এই লবণদানিটি বাজার থেকে কেনা হয়নি বরং বানানো হয়েছিল। লবন রাখার পাত্রটি আমার মা দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছেন। আমার যতদূর মনে পড়ে ছোটবেলায় আমিও এটিকে লবণ রাখতে দেখেছিলাম। এই পাত্র সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হলেও এটির ভিতরে ছিল অত্যন্ত মৃসন এবং পরিপাটি।আপনারা ছবিগুলো দেখে বুঝতেই পারছেন ভেতরের অংশটি অনেক মৃসন।
আমাদের বাড়িতে কিছু কাজ করায় পুরনো কিছু জিনিস বের করা হয়েছিল। সেই জিনিসগুলো আবার যথাস্থানে রেখে দেওয়া হলেও এই লবণ রাখার পাত্রটি ঘরের ভিতর নিয়ে রাখা হয়নি কেননা বর্তমানে এটি কোন ব্যবহার নেই। এবার ইদে আমি আমার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম।বাড়িতে যাওয়ার পর দেখি আমাদের উঠানে এই পাত্রটি রাখা আছে।আমি আমার মাকে জিজ্ঞেস করে সে উত্তর দেন এটিতে প্রায় ২০ বছর আগে লবণ রাখা হতো কিন্তু এখন আর এই ধরনের পাত্রতে কেউ লবণ রাখে না তাই এটি এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন বাহিরে পড়ে থাকার কারণে এবং বাইরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে এটির গায়ে সবুজ শ্যাওলার মত হয়ে গিয়েছে। যদিও কড়া রোদে ফেলে রাখলে এই সবগুলো সবুজ দাগ আবার উঠে যাবে কিংবা এটি ঘষে পরিষ্কার করলে আবার আগের মত পরিপাটি হয়ে যাবে।
পাত্রটি দেখার পর আমার তাৎক্ষণিকভাবে মনে হয় এটি ছবি তুলে আপনাদের সাথে শেয়ার করার কথা। যদিও আমি সাথে সাথে ছবি তুলতে না পারিনি তবে আমি বাড়ি থেকে ফিরে আসার আগে একদিন এটির ছবি তুলে রাখি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। এইটার সাথে কোন ঢাকনা ছিল না।
এই লবণদানির মত অনেক জিনিসের সাথে ছোটবেলায় আমরা পরিচিত ছিলাম কিন্তু এখন আর চোখের সামনে শেষের জিনিস দেখতে পাই না। পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের আগের প্রজন্মের অনেক বিষয় জানবে না এবং অনুমানও করতে পারবে না। এজন্যই আমি মনে করি আমাদের ঐতিহ্যকে লালন, পালন এবং সংরক্ষণ করার দায়িত্ব আমাদেরই।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
এরকম লবনদানি আমি জীবনে প্রথম দেখলাম। এটা দেখেই মনে হচ্ছে যে অনেক পুরনো একটা জিনিস। পুরাতন একটি ঐতিহ্য নিয়ে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন আপু।
টুইটার শেয়ার লিংক
https://twitter.com/pea079/status/1682624972269948929?t=_48t7UG7Cqu9Tke573Xp0Q&s=19
আমি প্রথম দেখলাম যে সিমেন্টের তৈরি লবণ দানি হয়। আপনার বাসায় তাহলে অনেক পুরাতন ঐতিহ্যবাহী একটি লবনদানি রয়েছে, সেটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। আমি কখনো সিমেন্টের তৈরি লবণদামী দেখিনি। ধন্যবাদ আপু আমাদের এরকম একটি লবনদানি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আমার জীবনে প্রথম আমি এরকম লবনদানি দেখলাম।সিমেন্টের তৈরি লবণ দানি আমাদের উত্তরবঙ্গে সাধারণত দেখা যায় না।লবণ দানিটি দেখে বেশ বড়ই মনে হচ্ছে। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাদের বাসায় ব্যবহার হয়ে আসা এই লবণ দানিটি সত্যি অন্যরকম। আমি এর আগে সিমেন্ট দিয়ে তৈরি এরকম লবণদানি দেখিনি।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের বাসায় ব্যবহার করা এই লবণদানি আমাদের সামনে সুন্দর ফটোগ্রাফি করে তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো আপু ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে সাজিয়ে এই পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু
আমি জীবনের প্রথম এমন লবনদানি দেখলাম। আমাদের এলাকায় আমি দেখেছি বাঁশ কেটে তাদের লবন রাখা হয়। তবে এমন লবনদানি আমি আগে কখনো দেখিনি। আসলে বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্য বিভিন্ন রকম। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে নতুন একটি ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারলাম যেটি আপনাদের এলাকায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
সিমেন্টের তৈরি লবনদানি আমি কখনো দেখি নাই।তবে বর্তমান যুগে সবাই প্লাস্টিকের পন্য লবনদানি ব্যবহার করে আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি এতদিন অনেক কিছুর লবণদানি দেখেছি কিন্তু আজকে প্রথম দেখলাম যে সিমেন্টের তৈরি লবণদানি।তবে আমাদের এলাকায় নারিকেলের কৌকা ব্যবহার করতে দেখেছি অনেক জনকে। আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন পরবর্তী প্রজম্ম জানতে পারবে এমন একটি জিনিস ব্যবহার করা হয়েছিলো।
It's new thing which i see first in my life 👀😍