হ্যালো বন্ধুরা
আমি বাংলাদেশ থেকে @mahmudul20
কেমন আছেন আপনারা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমত এবং আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আমাদের দেশে বিভিন্ন পেশার ব্যবসায়ী রয়েছে। তবে গ্রাম অঞ্চলে ক্ষুদ্রতম ব্যবসায়ীর আনাগোনা বেশি। এই ফটোগ্রাফিতে একটি ছোট ভাই সাইকেলে করে অল্প কিছু কসমেটিক এবং কিছু পরিমাণ খেলনা বিক্রি করতেছেন। গ্রাম অঞ্চলে এমন ব্যবসায়ী গুলোকে আমরা সেই প্রাচীনকাল থেকেই দেখে আসতেছি। আগে গ্রাম অঞ্চলের মা-বোনেরা এমন ছোটখাটো কসমেটিকের দোকান থেকে বেশি কেনাকাটা করত। কারণ তেনারা বেশি বাজারে যাইতেন না। কিন্তু এখন এই ক্ষুদ্র কসমেটিক ব্যবসায়ী গুলোদের কাছ থেকে বেশি মানুষ কেনাকাটা করেন না, সবাই এখন বাজার মুখি হয়ে গিয়েছে। তাই এই ক্ষুদ্র কসমেটিক ব্যবসায়ীদের বিক্রিও কমে গিয়েছে।
| |
এই ভাইটির কাছে রয়েছে কিছু কসমেটিকের জিনিসপত্র এবং বাচ্চাদের জন্য কয়েকটি খেলনা। ব্যবসাটি ছোট হলেও এখানে অনেক প্রকারের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। যেমন ভেন্টি ব্যাগ, হাতের চুরি, কানের দুল, গলার চেইন, খোপায় দেওয়া ব্যান, ইত্যাদি জিনিসপত্র এখানে পাবেন। এছাড়াও এখানে রয়েছে বাচ্চাদের প্লাস্টিকের গাড়ি ছোট বাচ্চাদের ঝুনঝুনি এবং ছোট বাচ্চাদের খেলার জন্য বল। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হলেও উপকরণ কিন্তু অনেক কিছুই রয়েছে। এসব ছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আপনার অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র দেখতে পারবেন। যদিও দাম অল্প হয় কিন্তু কসমেটিকের জিনিসগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
আমি ছোট ভাইদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম তার দিন ইনকাম কিরকম হয়। সে আমায় বলল আগের তুলনায় এখন খুবই কম বিক্রি হয়। এরপরেও দিনশেষে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি করেন। তিনি আমাকে বলল যদি তেনার ৮০০ টাকা বিক্রি হয় সেখানে তেনার ৪০০ টাকায় লাভ হয়ে থাকে। আমারও জানা মত কসমেটিকের জিনিসপত্রে একটু লাভ বেশি হয়। এবং শেষে তিনি বলল এই ব্যবসা করে তেনার দিনকাল মোটামুটি ভালোই চলে। এরপরে ভাইটি আমার কাছ থেকে চলে গেলেন।
| |
আমরা অনেক মানুষজন আছি যারা এরকম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তেমন ভালো চোখে দেখি না। তবে আমি বলবো কোন ব্যবসাকেই ছোট করে দেখা ঠিক না। আর ব্যবসা তো ব্যবসায়ী চাই যেটা ছোট হোক কিংবা বড় হোক। যার সাদ্ধে যেরকম ব্যবসা করা সম্ভব সে তো তেমন ব্যবসা করবে তাই না। যাইহোক এ নিয়ে আর কথা না বলি। আপনার এখন লক্ষ্য করে দেখবেন এমন ক্ষুদ্র কসমেটিক এবং খেলনার বিক্রেতা খুবই কম দেখা যায়। আগেতো গ্রাম অঞ্চল গুলোতে একটু পর পর এরকম ক্ষুদ্র বিক্রেতা গুলোকে দেখা যাইত। তবে যুগ পরিবর্তন হওয়ার কারণে এখন এসব ক্ষুদ্র বিক্রেতা গুলোকে খুবই কম দেখা যায়। কয়েক বছর পর এমনও দেখা যাবে এই ক্ষুদ্র বিক্রেতা গুলোকে আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না। যাইহোক সবশেষে এটাই বলব আমাদের কাছ থেকে দিন দিন ঐতিহ্যের অনেক কিছুই বিলুপ্ত হয়ে যাইতেছে।
বিষয় | কসমেটিক এবং খেলনা বিক্রেতা |
ক্যামেরা মডেল | Realme C55 |
ফটোগ্রাফার | @mahmudul20 |
লোকেশন | কিশোরগঞ্জ নীলফামারীর |
❤️🔥-আল্লাহ হাফেজ-❤️🔥
VOTE for @bangla.witness
Best Regards:-
@mahmudul20
Twitter link:-
https://twitter.com/mahmudul20m/status/1691777169662558400?s=20
ব্যবসাটি অনেক ক্ষুদ্র হলেও এই ব্যবসা প্রচুর লাভ হয়। বর্তমান সময়ে ক্ষুদ্র ব্যবসার মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হল এটি। যেখানে হাজার টাকা ইনভেস্ট করার মধ্য দিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায় এবং খুব সহজেই অধিক মুনাফা পাওয়া যায়। ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার আর অনেক সুন্দর লিখেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি ক্ষুদ্র কসমেটিক বিক্রেতা নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনি ঠিকই বলছেন। কোন ব্যবসাকে ছোট চোখে দেখা যাবে না। ব্যবসা তো ব্যবসায়।আগে এইরকম গ্রামে কিছু ফেরিওয়ালা আসতো।বর্তমান তেমন একটা ফেরিওয়ালা গুলো আসে না।আপনি আরো একটা সুন্দর কথা বলছেন। মা বোনেরা সবাই বাজার মুখি।তারা বাজারে গিয়ে সব ধরনের জিনিস ক্রয় করে।আপনি সুন্দর লেখছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার পোস্ট দেখে একটা কথা মনে হচ্ছে ভাই যে, বয়স যখন দারিদ্রতার কাছে হার মানে ঠিক তখন হয়তো এরকম একটা করুন পরিস্থিতি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এই বয়সটা হয়তো তার দায়িত্ব নেওয়ার মতো বয়স না অথচ উপায় না থেকে তাকে এখনই সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। এরকম হালকা বয়সে কাউকে কাজ করতে দেখলে আমার খুব খারাপ লাগে। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু
আপনি ক্ষুদ্র কসমেটিক ব্যবসা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। ব্যবসা ক্ষুদ্র হলেও অনেক সম্মানের। এরা গ্রাম গঞ্জে ঘুরে ঘুরে মালামাল বিক্রি করে। এদের বেশিরভাগ ক্রেতা মেয়েরা। আপনার ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমিও এটাই বলি যে, কোন পেশাকেই আমাদের ছোট চোখে দেখা উচিত নয়। সকল পেশাকে আমাদের সম্মান জানানো উচিত বিশেষকরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। ধন্যবাদ আপনাকে এই বিষয়টি বলার জন্য। সাইকেলে করে এতগুলো জিনিস বিক্রি করা আসলেই অনেক কষ্টের, তাদের অর্জিত অর্থগুলোও অনেক কষ্টের। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু
গ্রাম অঞ্চলে এই সব ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলো সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের এলাকায় এই ছোট দোকান ওয়ালাকে ফেরিওয়ালা বলা হয়। এই দোকান গুলো গ্রামে আসায় অনেক সহজে চুড়ি দুল বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহজেই কিনতে পারে। এই দোকান গুলো সবথেকে বেশি বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
এমন ক্ষুদ্র বিক্রেতা গুলোকে গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন আগের তুলনায় এখন এই ক্ষুদ্র ফেরিওয়ালাদের খুবই কম দেখা যায়। এবং এই ক্ষুদ্র ফেরিওয়ালারা গ্রামে আসার কারণে পর্দাশীল মহিলাদের কসমেটিক কেনা অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনি ক্ষুদ্র বিক্রেতা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই কোন ব্যবসাই ছোট নয়।ব্যবসা যতই ছোট হোক না কেন সৎ পথে উপার্জন করলে তার একটা আলাদা মর্যাদা ও সম্মান থাকে । এরকম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আগে গ্রামে প্রায় প্রায়ই দেখা যেত। সাইকেল নিয়ে কসমেটিক খেলনা বিক্রি করতে এদের এখন আর দেখা যায় না। এখন যারা এরকম গ্রামে গ্রামে ঘুরে কসমেটিক বিক্রি করে তারা এখন ভ্যান ব্যবহার করে। এখন আর সাইকেলে বিক্রি করতে দেখা যায় না। খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া