প্রিয় বিদ্যাপীঠ মির্জাপুর হাতেম আলী বি এল উচ্চ বিদ্যালয়
আজ শনিবার
২৯ জুলাই ২০২৩
প্রিয় স্টিমবাসী সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনাদের জন্য রইলো অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা। প্রিয় বিদ্যাপীঠ যেখান থেকেই মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন শুরু, সেই বিদ্যাপীঠ মির্জাপুর হাতেম আলী বিএল উচ্চবিদ্যালয় সম্পর্কে বলবো। এবং দেখাবো, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক।
টাঙ্গাইল জেলায় গোপালপুর উপজেলায় মির্জাপুর ইউনিয়নে মির্জাপুর হাতেম আলী বি এল উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত, ১৯৭০ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। তৎকালীন সময়ে হাতেম আলী চেয়ারম্যান এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করে। তার নাম অনুসারেই মির্জাপুর হাতেম আলী বি এল উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৮ সালে এই স্কুলে মাধ্যমিক জীবন শুরু হয়। দীর্ঘ পাঁচটা বছর এই স্কুলে পড়াশোনা করি। কতইনা স্মৃতি বিজড়িত স্কুলটি। আমরা যখন পড়াশোনা করতাম তখন, টিনের ঘর ছিলো। দুতলা বিশিষ্ট একটা ভবন ছিল। পাশে টিনের ঘর ছিলো, সে টিনের ঘরেই পড়াশোনা করতাম। ক শাখা এবং ক শাখা দুইটি শাখায় বিভক্ত করা হয়েছিল। ক শাখা ছিল মেয়েদের জন্য বরাদ্দ এবং খ শাখা ছেলেদের জন্য বরাদ্দ ছিলো। মেয়েদের জন্য দুতলা ভবন বরাদ্দ ছিলো আর ছেলেদের জন্য টিনের ঘর সীমাবদ্ধ ।
এখন স্কুল অনেক উন্নত হয়েছে, চারতালা নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে । যা দেখতে অনেক দৃষ্টিনন্দিত। আমাদের স্কুলের পড়াশোনার মান অনেক উন্নত আগে থেকেই। স্কুলে অনেক মজার কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক যার নাম ছিলো মিজানুর রহমান। মজার বিষয় হলো তার ডাকনাম ছিল নগেন। ভূরি মোটা লোকটাকে সবাই নগেন বলে ডাকতো । দেখতে অনেকটা ভয়ানক ছিলো। সবাই স্যারকে দেখে ভয় পেতাম। স্যার চাকরি থেকে এখন অবসরে গিয়েছে। নতুন স্যার এসেছে তাকে আমরা চিনিনা।
বন্ধুদের সাথে স্কুল ফাঁকি দেওয়া। পড়া না শিখে গিয়ে বেঞ্চের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা। কতইনা স্মৃতি রয়েছে আমাদের জীবনে। আর সেই স্মৃতিগুলো শুধুই আবেগ। আমরা যারা সবাই একসাথে এসএস সি পরীক্ষা দিয়েছি , এখন তাদের কারো সাথে দেখা হয় না বললেই চলে। সবাই যার যার মতো ব্যাস্ত। বিদায়ের অনুষ্ঠানে কত না কষ্ট হয়েছিলো, আবেগ মাখা সময়টা আজও ভুলতে পারি না। আমাদের নিপা ম্যাডাম অনেক কান্না করেছিলো, সেটা এখনো মনে পরে।
স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানে আমরা একটি আলমারি উপহার দিয়েছিলাম স্কুলকে, সেটাতে আমাদের নাম লেখা ছিলো। সেই নামগুলো এখনো রয়েছে স্কুলের আলমারিতে। আমাদের বন্ধু গুলো সবাই যার যার কর্মস্থলে । তাইতো হয়তো কারো সাথে কারো দেখা হয় না । তবে যোগাযোগ মোটামুটি রয়েছে, আর যোগাযোগের মাধ্যম হলো ভার্চুয়াল মাধ্যম। এসএসসি ব্যাচ ২০১৩ একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ রয়েছে। সেখানেই সবার কথা চলে।
নতুন ভবন হওয়ার জন্য স্কুলের পরিবেশ বদলে গেছে । স্কুলে এখন অনেক বড় মাঠ হয়েছে। যেখানে সবাই খেলাধুলা করতে পারে। আমাদের সময় স্কুলের মাঠ ছোট ছিলো। কেমন লাগলো স্কুল নিয়ে আমার এই সামান্য লেখাগুলো, সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনার প্রিয় বিদ্যাপীঠ নিয়ে কোনো স্মৃতি থাকলে সেটাও কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজ এ পর্যন্তই, আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।
মোবাইল | TECNO CAMON 16 PRO |
---|---|
ধরণ | প্রিয় বিদ্যাপীঠ |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | গোপালপুর, টাংগাইল। |
আপনি আপনার স্কুল জীবনের অনেক স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার ও স্কুল জীবনের অনেক কথা মনে পড়ে গেল। আসলেই স্কুল জীবনের এমন অনেক স্মৃতি রয়েছে যেগুলো কখনোই ভোলার নয়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। লিখেছেন ও অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ ভাইয়া
ধন্যবাদ আপি এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টুইটার লিংক -
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1685238413082136576?t=KV4ZhZ81KjpZWRfeMEoZvg&s=19
স্কুল জীবনের লাইফ বেস্ট লাইফ।বন্ধুদের সাথে অনেক স্মৃতি হয়ে থাকে।আপনি আপনার বিদ্যালয় নিয়ে দারুণ লেখছেন।আগের স্কুল গুলো সবার টিনের বা ছোট খাটো ভবন ছিল।এই ৩-৪ বছর আগে প্রতিটা প্রতিষ্ঠান উন্নত হচ্ছে।আপনি মির্জাপুর হাতেম আলী বি এল উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে সুন্দর আলোচনা উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আপনার স্কুল জীবনের বেশ কিছু স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই আমাদের প্রত্যেকের জীবনে স্কুল লাইফটা এক অন্যরকম ভালো সময় হিসেবে রয়ে গেছে। অনেক স্মৃতি অনেক আবেগ নিয়ে পেরিয়ে এসেছি সেই সময়টাকে। আপনি সেদিন গুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন। পোস্টটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আপনার স্কুল জীবনের অনেক সুন্দর কিছু স্মৃতি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকের কাছেই তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয় অনেকটা আবেগময়। আপনি আপনার স্কুলের অনেক সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আপনি যে ২০১৩ সালের এস এস সি ব্যাচ ছিলেন তাও জানতে পারলাম। স্কুলটি সম্পর্কে অনেক সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের পর থেকে পুরো বাংলাদেশের সকল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন গুলো বহুতল এবং এই একই রংয়ের রাঙিন করা হয়েছে। ছবিতে আমার কাছে সবগুলো উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন কেমন জানি একই রকম লাগে। মির্জাপুর হাতেম আলী বি এল উচ্চ বিদ্যালয় সম্পর্কে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমানে স্কুলটি দেখে মনে হচ্চে আধুনিক ছোঁয়া লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি চারতলা বিশিষ্ট ভবন এটি। আপনি তো দেখি স্কুল জীবনে অনেক মজা করেছেন ভাই।আপনার ২০১৩ সালে পরিক্ষা দিয়েও আপনাদের মেচেঞ্জার গ্রুপে কথা হয় মানে আপনাদের বন্ডিং ভালো কিন্তু আমরা ২০১৭ সালের পরিক্ষার্থী তবু আমাদের কারো সাথে কোনো যোগাযোগ হয় না।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হাতেম আলী বি এল উচ্চ বিদ্যালায় দেখতে অনেক সুন্দর, আপনি ওই বিদ্যালায়ে পরেছেন শুনো আরও ভালো লাগলো, এছাড়াও আপনি অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন, যা মানুষের অনেক উপকারে আসবে, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার প্রিয় বিদ্যাপীঠ নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই। সবারই স্কুল লাইফে মজার মজার ও কষ্টের কিছু স্মৃতি থাকে। আপনার মতো আমিও স্কুল ফাকি দিতাম। বিদায়ের সময় আপনাদের নিপা ম্যাডাম অনেক কান্না করেছিলো এটা শুনে কষ্ট পেলাম। কিন্তু একটা বাক্য আছে, যেতে নাহি দিতে চাই তবু যেতে দিতে হয়। সেটা মেনে নিতে হবে। আমাদের স্কুলও এখন আর আগের মতো নাই। নতুন বিলডিং ও রঙ করে স্কুল সম্পূর্ণ নতুন হয়ে গেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।