ভালো লাগার কিছু ফটোগ্রাফি || ১০% বেনিফিসিয়ারি @shy-fox এর জন্য ||
হ্যালো বন্ধুরা
শুরুতেই সবাই কে জানাচ্ছি নমষ্কার ও আদাব ৷ আশা করি আপানারা সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন ৷ আমি ও ইশ্বরের কৃপায় অনেক সুস্থ এবং ভালো আছি ৷আমি আজকে " আমার বাংলা ব্লগে " আমার কিছু ভালো লাগার ছবি শেয়ার করতে যাচ্ছি ৷ আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ৷
পিকচার-১
আজকের সকাল টা অনেক সুন্দর ছিল ৷ কোন রকম কুয়াশা ছিল না ৷ এবং কি কোন বাতাস ছিল না ৷ তার জন্য আজকের সকলে ঘড় থেকে বেড়িয়ে নিজ নিজ কাজে চলে গেছে খুব তারাতারি ৷ অনেক সময় দেখা যায় কোন সকাল বেলা কুয়াশাচ্ছন্ন দিয়ে ভরে গেছে কাছের জিনিস পর্যন্ত দেখা যায় না ৷ তারপর ঐ দিকে হালকা বাতাস মানুষ ঘড় থেকে বেড় হতে পারে না ৷ এবং অনেকে তাদের কাজে যেতে পারে না ৷ তবে আজকের সকাল টা অনেক মিষ্টি ছিল ৷ সকাল হওয়ার সাথে সাথেই হালকা মিষ্ট রোদ উঠেছে ৷ এবং চারপাশের পরিবেশ টা অনেক সুন্দর মনোরোম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল ৷
পিকচার-২
আমাদের গ্রাম অঞ্চলে কিন্তু অনেক ধরনের পেশা কর্মের মানুষ রয়েছেন ৷ যারা তাদের নিজ নিজ পেশায় সবসনয় নিয়েজিত থাকে ৷ তারা ঝড় বৃষ্টির দিন ভুলে যায় ৷ কারন তারা তাদের পেশা টাকে বেশী মুল্যায়ন করে ৷ কারন তারা জানে তাদের সংসার চালাতে হবে ৷ ঘড়ে বসে থাকলে চলবে না ৷ আমাদের বাড়ির পাশেই নদী রয়েছে ৷ জেলে যাচ্ছে জাল নিয়ে মাছ ধরতে ৷ এর এই মাছ বাজারে বিক্রি করে তারা তাদের সংসার চালাতে হবে ৷ আমাদের এবং প্রত্যেকের গ্রামে এই ধরনের পেশা কর্মের মানুষজন রয়েছে ৷ তবে মাছ ধরার দৃশ্য টা অনেক ভালো লাগে ৷ যখন ছোট ছিলাম আমরা তখন আরো বেশী করে ভালো লেগেছিল ৷
পিকচার-৩
আপনারা যে এই মূর্তি টি দেখতে পাচ্ছেন ৷ এটা আসলে একটা বিষ্ণু মূর্তি ৷ যা আমরা সনাতন ধর্মের মানুষজন পূজা করে থাকি ৷ এই মূর্তি টি আসলে যখন নদীতে বালু খনন করতেছিল তখন এই বিষ্ণু মূর্তি টা নদীতে বালুর নিচে পাওয়া গেছে ৷ অনেক মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল এই মূর্তি টিকে দেখার জন্য ৷ আমরা জানি না এই মূর্তি টি কোথায় থেকে এসেছে বা কিভাবে এসেছে ৷ তবে এটা জানি যে এই মূর্তি টি বালুর নিচে থাকা অবস্থায় এই মূর্তির কোন প্রকারের ক্ষতি হয় নি ৷ অনেক চক চক করতেছিল মূর্তি টি ৷ পরে এই মূর্তি টি নিতে থানার মানুষ ও চলে এসেছিল ৷ পরে আমরা সবাই এলাকা বাসি একত্রিত হয়ে এই মূর্তি টি পূজা করবো বলে আমাদের নিজ গ্রামেই রেখে দেই এবং পূজা করে থাকি ৷
পিকচার-৪
আমাদের গ্রামে কিন্তু আগের মানুষজন নানা ধরনের খড় খটি যোগাড় করে ভাত রান্না করেছিল ৷ আর বর্তমানে তো অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে ৷
আগের মানুষজন অনেক কষ্ট করে খড় খটি যোগাড় করে চুলা জ্বালিয়ে ছিল ৷ তখন তো এখন কার মত কোন সুযোগ সুবিধা ছিল না ৷ তাই আমি আজকে আপনাদের বলতে চাই আগের মানুষজন যেই খড় খটি কে বেশী প্রধান্য দিয়েছিল সেটা হচ্ছে গোবড় এর খড়ি ৷ যেটা.দিয়ে আগের মানুষজন খড়ি বানিয়েছিল এবং রোদের মধ্যে শুকিয়ে তারপর চুলা জ্বালিয়েছিল ৷
আদিম যুগের মানুষগুলো অনেক কষ্ট করে জীবনজাপন করেছিল ৷ যাদের গরু ছিল না তারা গোবড় কুড়িয়ে বেড়াত এবং সেটা দিয়ে তারা গোবড়ের খড়ি বানিয়ে থাকতো ৷ আর সেই আদিম যুগের বেশী প্রধান্য দেওয়া কর্মকান্ড এখনো চলতেই আছে ৷ সেই আদিম যুগের কর্মকান্ড এখনো আমরা ধরে আছি ৷ বর্তমান যুগেও দেখা যায় অনেক জায়গায় বা অনেক বাড়িতে এখনো খড়খটির অভাব চলতেই আছে ৷ এগুলা থেকেই আমরা অনেক কিছু শিখতে এবং বুঝতে পারি ৷
বিষয় | ভালো লাগার কিছু ফটোগ্রাফি ২০২২ |
---|---|
ছবি ক্লিক | @yoyopk |
ডিভাইস নাম | vivo Y11 |
লোকেশন | W3W |
আপনার একটা বিষয় আমার খুবই ভালো লেগেছে প্রতিটা ছবিতে আপনি খুহ সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন।ছবিগুলোও দারুন ছিল শুভ কামনা রইল।
ওয়াও সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বিশেষ করে প্রথম এবং দ্বিতীয় নাম্বার ফটো আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে সেই সাথে আপনিও ফটোগ্রাফি গুলা সুন্দর উপস্থাপন করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো প্রত্যেকটা বাস্তব জীবনের কিছু মুহূর্তর অসাধারণ ফটোগ্রাফি হয়েছে। আপনি খুবই চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফিক গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন বিশেষ করে গোবরের খড়ি তৈরি করার দাদিটিকে দেখে আমার অনেক মায়া লাগছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন সুন্দর একটি ফটোগ্রাফিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
বাস্তবমুখী কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। তার সাথে আপনার বর্ণনাও অনেক সুন্দর ছিল। আসলে নিত্যদিনের অনেক বিষয়ই আমাদের প্রতিনিয়ত চোখের সামনে ঘটে থাকে। যেটা ভালোভাবে উপভোগ উপলব্ধি করা হয় না। আপনার করা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেটা উপলব্ধি করতে পারলাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া