ওয়েব সিরিজ রিভিউ: কারাগার ( সিজন ২: পর্ব ৩ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা ব্রাদার্স"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, মাহা ডেভিডের সাথে জেলের ভিতরে কথা বলতে গিয়েছিলো এবং তার পরে কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☀মূল কাহিনী:☀
মাহা মূলত ওখানে নিজের জন্যই গিয়েছিলো আর আলফ্রেড এবং দিয়ার সাথে কিসব কথা হয়েছে বা প্ল্যানের বিষয়ে সেই বিষয়গুলো বলার জন্য। আর ডেভিডের কাছ থেকে বাকি প্ল্যানটা শোনার জন্য। কিন্তু মোস্তাক সাহেব ওখানে সেইরকম কোনো স্পেস দেয়নি আলাদা করে কথা বলার। উনি নিজেও একটা ঝামেলার মধ্যে আছে অর্থাৎ তার ছেলেকে নিয়ে। কারণ তার ছেলেকে সে যেকোনো মূল্যে জেল থেকে বের করতে চায়। এখন এখানে সে একটা ভুল করেছিল নিজের স্বার্থের জন্য অর্থাৎ আতাউর নামের একজন এর দোষ তার ছেলের ঘাড়ে দিয়ে দিয়েছিলো। আর তাদের মধ্যে একটা চুক্তিও হয়েছিল যে আতাউর এসে ধরা দিলে তার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এখন আতাউরও পাল্টি খেয়েছে এখানে, সে বাড়ি থাকা সত্বেও তাকে বারবার বলে দেওয়া হয় যে সে বিদেশে চলে গিয়েছে বা বাড়িতে নেই।
এদিকে মাহার তার সেই প্রেগনেন্সির বিষয়ে সেখান থেকে ডক্টরের সাথে আলোচনা করতে যায় এবং সে এবরশন করাতে চায়, কিন্তু ডাক্তার এখানে মানা করে, কারণ এখন যে সময় পার হয়ে গিয়েছে তাতে সেটা করলে যেমন রিস্কি আর সেটা কোনো লিগ্যাল ওয়ের মধ্যেও পড়বে না। সুতরাং এখানে বিষয়টা নিজের মধ্যে রেখে দেয়, কিন্তু দিয়া তাদের সাথে সবসময় লেগে থাকে অর্থাৎ সে এখন যেমন তাদের টিমের একজন মেম্বার হয়েছে, সেক্ষেত্রে এটা স্বাভাবিক। তবে মাহা তাদের এই বিষয়গুলো একদমই পছন্দ করতে চায় না, সবসময় একটা বিরক্তিকর মনে করতে থাকে। কিন্তু তারা তার ভালোর জন্যই কিন্তু একপ্রকার করছে। এদিকে আতাউর একদিন বাড়িতে আসলে তাকে যে জেলার খোঁজ করছে, মানে ধরতে পারলে সারাজীবন জেল, এইসব বলে একজন মহিলা তাকে ওই রাতেই পালিয়ে যেতে বলে। তবে এটা দিয়াই ছিল।
জেলের ভিতরে কয়েদীগুলো তো একপ্রকার পুলিশদের মানেই না, তাদের উপরই হুকুম চালায় বলতে গেলে। কার একজনের বাইক এক্সিডেন্ট করে হাত ভেঙেছিল, সে আবার ডেভিডের গায়ে হাত তুলেছিল, ফলে তার জন্য তাকেই ধরে মারধর আর গালিগালাজ করে, কারণ তারা ডেভিডকে বাবা মনে করে। আর তার শাস্তি স্বরূপ আবার তাকে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতেও রাজি করে। পুলিশগুলোই যেন ভেজা বিড়াল হয়ে আছে ওর মধ্যে হা হা। যাইহোক, এরপর এদিকে মন্ত্রণালয় থেকে নোটিশ জারি করে দেয় যে, কয়েদিদের বিভিন্ন জেলে স্থানান্তর করা হবে, এখন মোস্তাকের নিজের ছেলেরই ট্রান্সফার করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সাথে যদি ডেভিডকেও না সরিয়ে ফেলে এই সময়ের মধ্যে তাহলে এর ঝামেলাও পোহাতে হতে পারে।
কিন্তু তিনি আবার রিজাইন করার সিদ্ধান্ত নেয় এর মধ্যে। এদিকে ডেভিড তার প্ল্যান অনুযায়ী যে রাজু নামের একজনকে পাগলাগারদ থেকে জেলে নিয়ে এসেছিলো তার সাথে কথা বলে যে এখান থেকে কিভাবে বের করা যায় একজনকে অর্থাৎ এই একজনকে বলতে এই জেলের মধ্যে একজন বয়স্ক লোক আছেন, যাকে বের করার জন্যই ডেভিডের এই মিশন। এখন ডেভিড মূলত যে টানেল দিয়ে ওই সেলে ঢুকেছিলো, সেটি উপর থেকে খোলা যাচ্ছে না, একমাত্র নিচের দিক দিয়েই খোলা যাবে এই টানেলের মুখ। এখন সেই লোকটা আবার তাদের বিশ্বাসই করতে চাচ্ছে না এমন একটা ব্যাপার, এদিকে তাদের হাতে সময়ও নেই, দ্রুত বের করতে হবে এখান থেকে।
☀ব্যক্তিগত মতামত:☀
মূলত এই ডেভিড আর আলফ্রেড এর সাজানো প্লানগুলো পদে পদে কাজে লাগাচ্ছে। এখানে এই যে বিষয়গুলো হচ্ছে তার ফ্ল্যাশব্যাকে গেলে বোঝা যাবে যে, যখন এই প্ল্যানটা সাজিয়েছিল মানে টানেলের ভিতর দিয়ে সেলের ভিতর গিয়ে বোবা সেজে অভিনয় করা। তখন তার এই সহযোগিতার জন্য রাজু নামের একজনকে সাথী বানায়। যে এই প্ল্যানের প্রথম দিকে তাকে পাগলাগারদে পাগল সেজে যেতে হবে এবং সময় সুযোগ বুঝে তাকে জেলে ডেকে নিয়ে আসবে প্ল্যানমাফিক অর্থাৎ এমন একটা কিছু করে যে পুলিশেই এই ব্যাপারে সহযোগিতা করে। তবে এখন বিষয় দাঁড়িয়েছে যে, ডেভিড যে লোকটার জন্য জেলের ভিতরে গিয়েছে তাকে কিভাবে বের করে নিয়ে যাচ্ছে। আর মোস্তাক কিভাবে তার নিজের ছেলেকে বাঁচাচ্ছে বা অন্য জেলে যাওয়া থেকে আটকাচ্ছে। এই বিষয়গুলো এখন বেশ ইন্টারেষ্টিং হয়ে উঠেছে। পরের পর্বে আরো ভালো বোঝা যাবে এর পরের বিষয়টা।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৮.৯/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা অনেক সুন্দর করে কারাগার ওয়েব সিরিজটার সিজন 2 এর তিন নাম্বার পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর দেখছি এই পর্বের নাম "দ্যা ব্রাদার্স"ছিল। এই ওয়েব সিরিজের প্রত্যেকটা পর্বই আমার পড়া হয়েছে। যার কারণে এই পর্বটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। ডেভিড আর আলফ্রেডের সাজানো প্ল্যান দেখছি পদে পদে কাজে লাগানো হচ্ছে। আরো অনেক কিছুই জানতে পারছি এই পর্বগুলোর মাধ্যমে। বিশেষ করে টানেল এর ভেতর দিয়ে জেলের ভেতরে গিয়েছিল, আর বোবা সেজে অভিনয় করেছিল এসব কিছু জানতে পারলাম। তারপর আবার একজন সাথী বানিয়েছে রাজু নামের। তাদেরকে দেখছি পুলিশে ও সাহায্য করেছিল তারা কিছু একটা করেছিল এজন্য। আসলে দাদা বিষয়গুলো ইন্টারেস্টিং হয়ে উঠছে। এখন পরবর্তী পর্বগুলো দেখার জন্য তো আমার আরো বেশি আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে। আস্তে আস্তে আরো অনেক কিছুই জানতে পারবো আশা করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা এই পর্বটা শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনি সুন্দর করে সব সময়ের মতো আজকেও ওয়েব সিরিজটার আরেকটা পর্ব শেয়ার করেছেন। শুরু থেকে এই পর্যন্ত ওয়েব সিরিজটার সবগুলো পর্ব পড়তে আমার কাছে ভালো লেগেছে। আর এভাবে নাম ছিল দ্যা ব্রাদার্স। এর আগের পর্বের মাধ্যমে জেনেছিলাম জেলের ভেতরে ঢোকার মূল কাহিনীটা। এমনকি প্ল্যান। এই পর্বে এটা জানলাম যে কিভাবে সেলের ভিতরে আসা হয়েছিল। সে তো দেখছি সেলের ভেতরে গিয়ে বোবা সেজে অভিনয় করেছিল, আর টানেলের ভেতর দিয়েই এসেছিল সেলের মধ্যে। জেলের মধ্যে থাকা একজন বয়স্ক লোককে তারা বের করার জন্য সব প্ল্যান করেছিল। আর টানেল এর দরজাও দেখছি খোলা যাচ্ছে না। নিচ দিয়ে খোলা গেলেও উপর দিয়ে খোলা যাচ্ছে না দেখছি। লোকটা যদি তাদেরকে বিশ্বাস করতো তাহলেও একটা ব্যাপার ছিল, কিন্তু লোকটাও তাদেরকে বিশ্বাস করছে না। এখন কিভাবে কি হয় এটাই দেখতে হবে। যেহেতু তাদের হাতে খুব একটা সময় নেই, তাই তাড়াতাড়ি বের করতে হবে। আশা করছি তারা ভালোভাবেই পারবে বের করতে। অধীর অপেক্ষায় থাকলাম দাদা, এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব টার রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য।
রাজু ডেভিডের পরিকল্পনার মধ্যে একজন ছিল। অন্যদিকে আতাউর এর হয়ে জেলে আছে জেলারের ছেলে। আতাউর দেশে থাকলেও তার স্ত্রী বলছে বাইরে আছে। এখানে জেলার বেশ ভালো একটা ঝামেলায় পড়ে গেছে। আর অন্যদিকে মাহা তার প্রেগনেন্সি নিয়ে রয়েছে একটা ঝামেলায়। কারাগার ওয়েব সিরিজের এই এপিসোড টার রিভিউ বেশ দারুণ করেছেন দাদা।
ওয়েব সিরিজ কারাগার এর প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বের রিভিউগুলি আমি দেখেছিলাম দাদা আপনার প্রত্যেকটি রিভিউ আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং আজকের রিভিউটি ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন। ডেভিড এবং আলফ্রেডের সাজানো প্রতিটি প্লান সঠিক জায়গায় কাজে লাগাচ্ছে তারা। আর বেশ শুনে অবাক হলাম যে কয়ে দিরাই পুলিশদেরকে হ্যান্ডেল করছে তথা পুলিশরা একরকম ভেজা বিড়ালের মত হয়ে আছে কয়েদিদের কাছে। পুরো রিভিউটি বেশ ভালো লেগেছে দাদা পরবর্তী রিভিউ এর অপেক্ষায় থাকলাম।
দাদা এই পর্বটি আসলেই বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। একসাথে তো দেখছি সবাই ঝামেলায় পরেছে। একদিকে প্রেগন্যান্সি নিয়ে মাহা বেশ ঝামেলায় পরেছে। অপরদিকে মোস্তাক যদি তার ছেলেকে জেল থেকে মুক্ত করতে না পারে, তাহলে তো মনে হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই তার ছেলেকে অন্য কোনো জেলে স্থানান্তর করে দিবে। তখন তো মোস্তাকের দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যাবে। এমনিতেই জেলের ভিতরের কয়েদীরা বেশ ডেঞ্জারাস। কখন তার ছেলেকে মেরে ফেলে,সেটা তো বলা যায় না। ডেভিড কেনো টানেল দিয়ে সেলের ভিতরে ঢুকেছে, সেটা এই পর্বে একেবারে ক্লিয়ার হয়ে গেলো। তবে ডেভিড কি আসলেই পারবে সেই বয়স্ক লোককে জেল থেকে মুক্ত করতে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। এই পর্বের রিভিউ পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ক্লিয়ার করেছেন। আসলে ডেভিড কিভাবে এই জেলের ভেতরে ঢুকলো সেটা আজকে বুঝতে পারলাম। ডেভিড টানলের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করেছে আর আজকের পর্বে ভিতরে দেখতে পেলাম সকলেই ঝামেলার মধ্যে রয়েছে। মহা ঝামেলা প্রেগনেন্ট নিয়ে এসে দুশ্চিন্তার ভিতরে পড়ে গেছে। আর মোস্তাক তার ছেলেকে নিয়ে। আসলে তার ছেলেকে যদি না ছাড়তে পারে তাহলে আরো বিপদের মুখে পড়ে। কারণ অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, দেখা যাক আগামী পর্বে কি হয়।
দাদা এই ওয়েব সিরিজটা খুবই সুন্দর। আস্তে আস্তে কিন্তু অনেক কিছুই বের হয়ে আসছে। এই পর্বটা অনেক সুন্দর হয়েছে। ডেভিড কিভাবে ওই সেলের ভেতরে ঢুকেছে, এটা ভালোভাবেই জানতে পারলাম। এটা একেবারে ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে এই পর্বের মধ্যে। যা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। টানেলের ভেতর দিয়ে ডেভিড এসেছিল। আর আসার পর সে বোবার অভিনয় করেছে। মোস্তাক নিজের ছেলেকে অন্য জেলে যাওয়ার থেকে আটকাতে পারবে কিনা এমন কি বাঁচাতে পারবে কিনা এটা ভাবছি। এই বিষয়গুলো আসলে কিন্তু একেবারে ইন্টারেস্টিং হয়েছে। আর সবাই একসাথে দেখছি ঝামেলায় পড়েছে। ওই লোককে ডেভিড জেল থেকে মুক্ত করতে পারবে কিনা এটাই দেখতে হবে এখন। আস্তে আস্তে আশা করছি এইসব কিছু জানবো। তবে যাই হোক দাদা সিজন ২ এর তিন নাম্বার পর্ব টা অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে সময় যদি পাই তাহলে পুরো ওয়েব সিরিজটাই দেখার চেষ্টা করব, সবগুলো পর্ব দেখার চেষ্টা করব। এই পর্বটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।